মেটাভার্স প্রযুক্তি দানব ইসলামিক স্কলাররা বলছেন দাজ্জালের আবিরভাব

মেটাভার্স প্রযুক্তি দানব ইসলামিক স্কলাররা বলছেন দাজ্জালের আবিরভাব

metaverse,
মেটাভার্স,
মেটাভার্স অর্থ কি,
মেটাভার্স ফেসবুক,
মেটাভার্স উইকিপিডিয়া,
মেটাভার্স প্রথম আলো,
মেটাভার্স মানে কি,
মেটাভার্স কোম্পানি,
মেটাভার্স এর অর্থ কি,
What is Metaverse,
মেটাভার্স কি,
মেটা,
ফেসবুক মেটা,
ফেসবুক কেন মেটাভার্সে পরিণত হল,
meta,
metaverse facts in bangla,
metaverse bangla,
metaverse facebook,
facebook metaverse,
ফেসবুক তাদের কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রেখেছে মেটা

ক্লিক হেয়ার

বর্তমান প্রযুক্তি বিশ্ব সবচেয়ে আলোচিত বিষয় মেটাভার্স প্রযুক্তি দানব প্রতিষ্ঠান ফেসবুক তাদের কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রেখেছে মেটা কারণ তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জুড়ে রয়েছে মেটাবাস প্রযুক্তি’ মেটাভার্স প্রযুক্তির হাত ধরে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে,

এটা পুরোপুরি কার্যকর হলে আমাদের চেনা-জানা পৃথিবীর সম্পূর্ণ বদলে যাবে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ তাঁর কোম্পানির নাম বদলে রেখেছে মেটা প্ল্যাটফর্ম ইনকর্পোরেটেড সংক্ষেপে মেটা মেটাভার্স শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল 1992 সালে’

একজন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী!

স্নেহ ক্রাশ নামক একটি উপন্যাসের মেটাভার্স অবতারনা করেন
নীল টিফিন স্যার নামক একজন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক তার স্নেহ ক্রাশ নামক একটি উপন্যাসের মেটাভার্স অবতারনা করেন,এরপর বহু বছর কেটে গেলেও এই প্রযুক্তির অস্তিত্ব তৈরি হয়নি ইন্টারনেটের ব্যাপক উন্নতি ঘটার পর’

প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো মেটাভার্স নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে এখন প্রশ্ন হলো মেটাভার্স কি মেটাভার্স হল ইন্টারনেটের প্রাণসঞ্চার করার মত একটি বিষয়|

এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের থ্রিডি বা ত্রিমাত্রিক জগতে প্রবেশ করা যাবে অর্থাৎ শুধু স্মার্ট ফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার বদলে আপনি সরাসরি স্মার্ট ফোনের ভেতরে ঢুকে যেতে পারবেন,

মূলত এটি এমন এক ভার্চুয়াল জগত যেখানে মানুষ বাস্তবের মতন মিলিত হতে পারবে একসাথে কাজ করতে পারবেন, আর এসব করার জন্য দরকার হবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট অথবা অগমেন্টেড রিয়েলিটি গ্লাস বিশেষ ধরনের অ্যাপের সাহায্যে নিমিষেই চারপাশের পরিবেশকে বদলে ফেলা যাবে,

একটি ভার্চুয়াল দুনিয়ায়!

মেটাভার্স কে সহজভাবে সংজ্ঞায়িত করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি

সত্যি কথা বলতে মেটাভার্স কে সহজভাবে সংজ্ঞায়িত করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি পুরো বিষয়টি প্রাথমিক ধারণার পর্যায়ে আছে, মেটাভার্স হচ্ছে ভবিষ্যতে ইন্টারনেট ব্যবহারের ধরন মার্ক জাকারবার্গের মতে মেটাভার্স হল ইন্টারনেটের পরবর্তী অধ্যায়ে,

মেটাভার্স মাধ্যমে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন কেনাকাটায় শুধু তাই নয় চোখে একটি চশমা আর কানে হেডফোন লাগিয়ে বাসায় বসেই অন্য কোন দুনিয়ায় চলে যাওয়া যাবে,

এই ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আপনার মন যা চাইবে তাই করতে পারবেন মার্ক জাকারবার্গের মেটা প্রেজেন্টেশন থেকে প্রাথমিক কয়েকটি দিক সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়’ বিষয়গুলো হল উপস্থিতি অবতার নিজস্ব ভার্চুয়াল জায়গা টেলিপোর্টিং আন্তকার্যক্ষমতা নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ভার্চুয়াল পণ্য এবং প্রাকৃতিক ইন্টারফেস|

বিষয়গুলো সহজে ব্যাখ্যা করতে গেলে বলা যায় মেটাভার্স একটি সাধারন সার্বজনীন জগত থাকবে যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজস্ব ভার্চুয়াল অবতার বা চরিত্র ধারণ করে বিচরণ করতে পারবেন’

মেটাভার্সের জগতে নিমিষে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া যাবে অন্যদের সাথে মিলে কাজও করা যাবে, এছাড়া বাস্তব জগতের সকল বিষয়ের অনুরূপ ভার্চুয়াল জগতের পণ্য থাকবে মেটাভার্সের মার্ক

আগামী 5 থেকে 10 বছরের মধ্যে মেটাভার্স!

আগামী 10 বছরের মধ্যে বিশ্ববাসীকে তাক লাগানোর মত টেকনোলজি নিয়ে আসছে ফেসবুকের ' ফাদার গুরুপ মেটাভার্স যেটাকে নিয়ে সরগরম রয়েছে’ বিশ্বের মিডিয়াগুলো বিশেষজ্ঞদের মতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ববাসী পেতে যাচ্ছে অন্যরকম একটি ভার্চুয়াল পৃথিবী|

যে পৃথিবী মানুষকে নিয়ে যেতে পারে একিবারে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ইসলামিক স্কলাররা এটি কে বলছেন দাজ্জালের আবির ভাবের প্রথম পদক্ষেপ জাকারবার্গের মতে আগামী 5 থেকে 10 বছরের মধ্যে মেটাভার্স প্রযুক্তির অনেক কিছুর মূল ধারার ইন্টারনেট ব্যবস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে|

গত 29 অক্টোবর মার্ক জাকারবার্গ পৃথিবীতে একটা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে 21 শতকের একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা বিশেষ করে ইন্টারনেটের একটা মাইলফলক”

শুধু তাই না এই দুনিয়ায় আপনি পছন্দ মত যে কোন পোশাক পরতে পারবেন কাপড় ও আসবাবপত্র কিনতে পারবেন আপনার ভার্চুয়াল আপনার ইচ্ছা মত সাজাতে পারবেন এখানে এবং তার সাথে পাশাপাশি বসে কথা বলতে পাবেন

এয়ার গ্লাস চোখও হাতের মুভমেন্ট অনুসরণ করবে!

এজন্য আপনাকে একটা এয়ার গ্লাস পরতে হবে যা আমাদের সাধারণ চশমার মতই যেখানে একটা ক্যামেরা লাগানো থাকবে আর কাজ করবে আপনার চোখও হাতের মুভমেন্ট অনুসরণ করবে

জাকারবার্গ এর ভাষায় মেটাভার্স ইজ দা সাকসেস অফ ইন্টারনেট অনিকের শুধু এটা জেনে কিংবা খেলতো দিয়েছেন যে ফেসবুক ফেসবুকে থাকছে শুধু মেটাভার্স নামে একটা নতুন কোম্পানির আবির্ভাব হয়েছে’

মেটাভার্স এর মাধ্যমে মানুষ যাতে নিজেদের মধ্যেমে যোগাযোগ করতে পারে সেজন্য ফেইসবুক তৈরি করছে সম্পূর্ণ নতুন এক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ায় যার নাম হরাইজন,

এখানে বন্ধুদের সাথে মিলিত হওয়া শুধু ছবিতে ট্যাগ করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং মনে হবে আপনি সহশরীরে সত্যি সত্যি বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করছেন’

এর প্রথম ধাপে থাকবে হরাইজন এটা হবে আপনার ভার্চুয়াল বাড়ি যেখানে আপনার বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন,

হরাইজন ওয়ার্ক!

হরাইজনের আরো বিস্তৃত দিক হলো হরাইজন ওয়ার্ক এখানে যে কেউ যে কারো সাথে মিলে নতুন কিছু তৈরি করতে পারবেই’ শুধুমাত্র কাজ করার জন্য থাকবে হরাইজন ওয়ার্ক রুম ভবিষ্যতের অফিস হিসেবে কাজ করবে|

মেটাভার্সের মাধ্যমে শুধু যেখানে খুশি সেখানে যাও নয় চাইলে অতীতের যেকোনো সময়ের ভ্রমণ করা যাবে’ এছাড়া মেটাভার্সের মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ভিডিও কল বদলে যাবে মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহার করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কল করা যাবে”

এই ধরনের কলে মনে হবে আপনি সামনাসামনি বসে কথা বলছে মেটাভার্সের জগতে বিচরণ করতে আরো উন্নত প্রযুক্তির নতুন ধরনের ডিভাইস এর দরকার হবে’ সেজন্য ফেসবুক তৈরি করছে প্রজেক্ট কেমরিয়া নামের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিআর হেডসেট’

কেমরিয়া ব্যবহার করে মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলা বা মানুষের চেহারার স্বাভাবিক অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলা যাবে|

সাধারন নেটওয়ার্ক ব্যবহার!

ইন্টারনেট আবিষ্কারের শুরুর দিকে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি এই সাধারন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কত রকমের অসাধারণ কাজ করা যেতে পারে” ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠিত হবার পরেও এক কথায় ইন্টারনেটের সংজ্ঞা দেওয়াটাই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের পক্ষেও কঠিন|

ইন্টারনেট আবিষ্কারের পরেও দিনে দিনে বহু অনুষঙ্গ আমাদেরকে ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কে বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করেছে’ এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্মার্টফোন আজ থেকে মাত্র 10 বছর আগেও আমরা কল্পনা করিনি আমাদের সবার হাতে স্মার্টফোন থাকবে”

অথচ আজকাল আমরা স্মার্ট ফোন ছাড়া একটি দিনও কল্পনা করতে পারিনা ভবিষ্যতে হয়তো আমরা মেটাভার্সের  দুনিয়ায় স্মার্টফোনের চেয়েও অনেক বেশি ভূত হয়ে থাকবো’ কারণ মেটাভার্সের হতে যাচ্ছে এক ধরনের ইন্টারনেটভিত্তিক জীবনব্যবস্থা|

 বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য আমরা স্মার্ট ফোন ল্যাপটপের সাহায্য নিচ্ছি” অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে হবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি চশমা,মেটাভার্সের দুনিয়ায় কোন ডিভাইসের স্ক্রিনে আপনাকে তাকিয়ে থাকতে হবে না মনে হবে যেন নতুন কোন জগতে আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন|

শুধু ফেসবুকে নয়!

যেখানে সব কিছু ঘটবে আপনার চোখের সামনে শুধু ফেসবুকে নয় প্রভু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব মেধা ভারত তৈরি করার প্রকল্প শুরু করেছে মাইক্রোসফট এবং ইন্ডিয়ার মত বৃহৎ প্রতিষ্ঠানও তাদের নিজস্ব মেটাভার্স  জগত তৈরি করছে”

Microsoft এবং  NVIDIA মত বৃহৎ প্রতিষ্ঠানও তাদের নিজস্ব মেটাভার্স  জগৎ তৈরি করছে বর্তমানে আমরা যেমন একটি ওয়েবসাইট থেকে আরেকটি ওয়েবসাইটে ভিজিট করি’ ভবিষ্যতে ঠিক একিভাবে মেটাভার্স   একটি ভার্চুয়াল  জগত থেকে আরেকটি জগতে যেতে পারবো|

 তবে মেটাভার্স  সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হতে যাচ্ছে ভিডিও গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে এবং EPIC GAMES-ROBLOX ইতি মধ্যে বিলিয়ন ডলার অর্থ খরচ করে তাদের ত্রিমাত্রিক জগত তৈরীর কাজ শুরু করে দিয়েছে’

মেটাভার্স প্রযুক্তি আমাদের জীবনে প্রবেশ করলে ফেসবুকের মত প্রযুক্তি দানব প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের জীবনকে প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন’ বিশেষজ্ঞদের মতে ভার্চুয়াল জগতের তথাকথিত উন্নত জীবন আমাদের বাস্তবের পৃথিবীতে আরো অনেক বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে|

{-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন