আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আজন্ম উড়ে বেড়ানো স্বপ্ন পূরণ হল

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আজন্ম উড়ে বেড়ানো স্বপ্ন পূরণ হল

মহাকাশ স্টেশনে যেতে কত সময় লাগে,
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন,
পৃথিবী থেকে মহাকাশ স্টেশনের দূরত্ব,
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন তৈরির ইতিহাস,
মহাকাশ সম্পর্কে তথ্য,
রকেট কিভাবে মহাকাশে যায়,
মহাকাশ স্টেশন ভিডিও,
মহাকাশ স্টেশন কোন স্তরে অবস্থিত,
মহাকাশ স্টেশন কি,
মহাকাশ স্টেশন কয়টি,
মহাকাশ স্টেশন কোন স্তরে দেখা যায়,
মহাকাশ স্টেশন কোন স্তরে অবস্থান করে,
মহাকাশ স্টেশন ছবি,
মহাকাশ স্টেশন এর কাজ,
মহাকাশ স্টেশন,
মহাকাশ সম্পর্কিত বই,
মহাকাশ স্টেশনের কাজ কি,
মহাকাশ স্টেশন কোন স্তরে অবস্থিত,
মহাকাশ স্টেশন কয়টি,
মহাকাশ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান,
মহাকাশ,
মহাকাশ কাকে বলে,
মহাকাশ ও মহাবিশ্ব,
মহাকাশ বিজ্ঞান,
নভোচারীদের বসবাসের

মানবজাতি বরাবরই অজানাকে জানার আগ্রহ অদম্য আর এই অজানা পথে পাড়ি জমাতে মানুষ তৈরি করেছেন নানা ধরনের যানবাহন’ বিভিন্ন ধরনের জলযানে ছেলে মানুষ প্রথমবারের মতো নিজেদের বাশস্থান পৃথিবী কে আবিষ্কার করেন” এরপর উড়োজাহাজ তৈরীর মাধ্যমে মানুষপূরণ করেছে তার আজন্ম উড়ে বেড়ানো স্বপ্ন’অবশেষে একসময় মানুষ পৃথিবীর গণ্ডি পেরিয়ে পৌঁছে যায় মহাকাশে আর বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নিয়মিতভাবে মানুষ বসবাস করছে|

পৃথিবীর গণ্ডি পেরিয়ে মহাশূন্যে সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি!

সভ্যতার সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি

পৃথিবীর বাইরে মনুষ্যনির্মিত সবচেয়ে বড় স্থাপনার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রতিটি যুগে মানবজাতির সবচেয়ে চৌকস ও সাহসী সন্তানেরা পাড়ি জমিয়েছে আবিষ্কারের নেশা’

ঠিক একিভাবে পৃথিবীর গণ্ডি পেরিয়ে মহাশূন্যের বিপদসংকুল পথে যাত্রা করতে দরকার হয়েছে মানব সভ্যতার সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি|

বিজ্ঞান কে কাজে লাগিয়ে মানুষ মহাশূন্যে গড়ে তুলেছে এক অভূতপূর্ব ঘাঁটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন হল এক বিশেষ ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ’

বসবাস করতে পারে এটি ওজনবিহীন পৃথিবী!

রাশিয়ার সয়ুজ রকেট


যেখানে মানুষ বসবাস করতে পারে এটি ওজনবিহীন পৃথিবী যেখানে মধ্যাকর্ষণ বল এতটাই হালকা যে শুধু ছোটখাটো বস্তু নয় মানুষ সহ এখানে থাকা সকল উপাদান এই সবসময় ভেসে বেড়ায়|

এখানে উপর নিচ বলে কিছু নেই তাছাড়া নেই কোন দিন রাত হিসেবে মনুষ্যনির্মিত বিজ্ঞানের এই দুর্গ অনবরত ছুটে চলেছে মহাকাশের অজানা অন্ধকারকে দূর করে’

আর এই অসামান্য অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল এমন এক সময়ে যখনকার কম্পিউটার গুলো ছিল আমাদের স্মার্টফোনের চেয়েও কম ক্ষমতাসম্পন্ন,

এভরট হেল প্রথম মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করেন!

1869 সালে এভরট হেল প্রথম মহাকাশ স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনা করেন এরপর বিংশ শতকের প্রথম দিকে কন্সট্যান্টি তিশোলকোভস্কি হারম্যান ওবেথ এই সম্পর্কিত আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারণা যোগ করেন’

1929 সালে হামান পোটকনিক তার দা প্রবলেম অফ থিস পেইজটাবল বইতে সম্ভাব্য মহাকাশ স্টেশনের নকশা প্রণয়ন করেন

এরপর আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা ISS কল্পনা থেকে বাস্তবে রূপান্তর করতে বহু সময় লেগেছে 1984 সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি মহাকাশ প্রকল্প হাতে নেয় এর নাম দেওয়া হয় স্পেস স্টেশন ফ্রিডম’

এর মূল পরিকল্পনা ও নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি পরবর্তীতে অন্যান্য কয়েকটি দেশ এখানে তাদের কর্ম কান্ডব শুরু করার পর 1993 সালের এর নাম দেওয়া হয় ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন,

মহাকাশের নির্মাণ স্থালে পৌঁছানোর কাজে ব্যবহার তিন ধরনের রকেট!

এরপর নানা ধাপে বহু চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ যোগ্য সম্পন্ন করে ISS আজকের পর্যায়ে আসতে পেরেছে এর পরও এই স্টেশন নিয়ত পরিবর্তনশীল’

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন মহাশূন্যের মনুষ্যনির্মিত সবচেয়ে বড় স্থাপনা পৃথিবীতে বিভিন্ন খন্ডে এই স্টেশন নির্মাণ করে মহাকাশ নিয়ে এগুলোকে জোড়া দেওয়া হয়েছে|

মহাকাশ স্টেশনের একটি খন্ড বা মডিউল তৈরি করা হয়েছে এশিয়া-ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার একাধিক দেশের সহায়তা’

মডিউলগুলোকে পৃথিবী থেকে মহাকাশের নির্মাণ স্থালে পৌঁছানোর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে তিন ধরনের রকেট’ রকেটগুলো হলো আমেরিকান স্পেস শাটল, রাশিয়ান প্রোটন রকেট, রাশিয়ার সয়ুজ রকেট,

13 বছরেরও বেশি সময় লেগেছে!

রকেট গুলো আবিষ্কার না হলে মহাকাশ স্টেশন কখনোই নির্মাণ করা সম্ভব হতোনা রকেটগুলো ব্যবহার করে মহাশূন্যে ভাসমান এই মানব দুর্গ নির্মাণ করতে 13 বছরেরও বেশি সময় লেগেছে’

এই স্টেশন নির্মাণ এর শুরুটা হয়েছিল আমেরিকান রাশিয়ান দুটি স্টেশনকে মহাকাশের সংযুক্ত করার মাধ্যমে দুটি দেশের মহাকাশযান নির্মাণের প্রযুক্তির ভিন্নতার কারণে দুটি স্টেশকে সহজে সংযুক্ত করা যাচ্ছিল না|

পরবর্তীতে এই দুটি ভিন্ন প্রযুক্তির মহাকাশ কামড়াকে একত্রিত করতে নির্মাণ করা হয় এক বিশেষ ধরনের converter.jar নাম হলো প্রেসারাইজড মেটিং এডাপ্টার সংক্ষেপে একে বলা হয় PMA’1998 সালের বিএম এর মাধ্যমে মহাকাশ স্টেশন দুটিকে যুক্ত করা হয়’

মহাকাশ স্টেশন নভোচারীদের বসবাসের উপযোগী ছিল!

কিন্তু তখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নভোচারীদের বসবাসের উপযোগী ছিল এরপর 2000 সাল পর্যন্ত একের পর এক এই স্টেশন উন্নয়নের কাজ চলতে থাকে|

পরবর্তীতে 2000 সালের নভেম্বরের পর থেকে মহাকাশচারীরা নিয়মিতভাবে এখানে বসবাস করতে শুরু করে এরপর থেকেই এখনো পর্যন্ত মহাকাশ স্টেশন কখনো জনশূন্য হয়নি’ সার্বক্ষণিকভাবে 6 জন নভোচারী মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করে,

তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো এমন সব বিজ্ঞান ভিত্তিক গবেষণা করা যা শুধুমাত্র মহাশূন্যে করা সম্ভব আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সাধারণত প্রত্যেক নভোচারীর অবস্থানের সময় হল ছয় মাস’

 মহাকাশ স্টেশন টির দৈর্ঘ্য!

কিন্তু কোন ISS কর্মীকে প্রায় বছর খানেক এখানে থাকতে হয় দীর্ঘ সময় পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে মানব শরীরে কি কি ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে তাদের উপর সে সব পরীক্ষা করা হয়’

মহাকাশ স্টেশন টির দৈর্ঘ্য একটি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড় এবং এর ভেতরের পরিষর 6 বেড রুমের একটি বাসার সমান  বর্তমানে 15 দেশ আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে তাদের গবেষণা ও কার্যক্রম পরিচালনা করে’

তিন দশকের বেশি সময় পাই সাড়ে 300 জনের বেশি নভোচারী কাজ করেছে!

এখানে কাজ করা দেশগুলো হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কানাডা রাশিয়া জাপান এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির অধীনে থাকা 11দেশ’ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর হল যুক্তরাজ্য জার্মানি ফ্রান্স স্পেন সুইডেন সুইজারল্যান্ড নেদারল্যান্ড বেলজিয়াম ও ডেনমার্ক’

বহু দেশের দক্ষ গবেষকদের অংশগ্রহণের কারণে প্রকৃতপক্ষেই এটি একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণাগার পরিণত হয়েছে তিন দশকের বেশি সময় পাই সাড়ে 300 জনের বেশি নভোচারী কাজ করেছে’

দুইটি দুর্ঘটনায় 14 জন নভোচারী মারা যায়!

অতীতে মহাকাশ স্টেশন থেকে ফিরে আসার সময় দুইটি দুর্ঘটনায় 14 জন নভোচারী মারা যায় এই দুর্ঘটনা আমাদেরকে স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দেয় সকল ধরনের সর্তকতা ও পূর্ব প্রস্তুতি থাকা সত্বেও প্রতিটি মহাকাশ ভ্রমণে রয়েছে সম্ভাব্য বিপদের ঝুঁকি,

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে করা বিভিন্ন গবেষণা মহাবিশ্ব সম্পর্কে মানব জাতির ধারণা ও জ্ঞান কে এক অনন্যা পর্যায়ে নিয়ে গেছে’

ভবিষ্যতের মহাশূন্যের আরো গভীরে অভিযান পরিচালনার!

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভবিষ্যতের মহাশূন্যের আরো গভীরে অভিযান পরিচালনার জন্য মানুষ যে সমস্ত অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে এখানে অবস্থানরত বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে সেসব সমস্যা সমাধানে কাজ করে চলেছেন’

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রতি ঘন্টায় 28 হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে এই গতিতে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করতে ISS সময় লাগে মাত্র 92 মিনি’

মহাকাশ স্টেশন তুলনামূলক পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে প্রদক্ষিণ করে ঘুরতে ঘুরতে এক সময় ISS পৃথিবীর আরো কাছাকাছি চলে আসবে’ যদি কোন ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে এটি প্রচন্ড গতিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে’

এর বাইরের আবরণের সৃষ্টি হবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড!

আর সাথে সাথে এর বাইরের আবরণের সৃষ্টি হবে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এর মারাত্মক দুর্ঘটনা রোধ করতে নির্দিষ্ট সময় পরপর বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে স্টেশন টেনে উপরে দিকে পাঠানো হয়’

যাতে করে স্টেশন তার নিজস্ব কক্ষ পথে প্রদক্ষিণ করতে পারে মানুষের এই মহাকাশবিজয় নিঃসন্দেহে মানবসভ্যতার এক অবিস্মরনীয় অর্জনের’ তবে এই অর্জনের সূত্রপাত হয়েছিল উড়োজাহাজ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে উড়োজাহাজ আবিষ্কারের তীব্র এক প্রতিদ্বন্দিতার গল্প

আমাদের পৃথিবী এই সৌরমন্ডলে সবথেকে সুন্দরতম গ্রহ কেননা একমাত্র পৃথিবীতে আছে প্রাণের স্পন্দন যে সমস্ত মানুষ পৃথিবীর বাইরে মহাকাশ গিয়ে পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন তারা সত্যিই ভাগ্যবান কিন্তু সকলে তো মহাকাশ গিয়ে পৃথিবী উপভোগ করার সুযোগ পানা তবে বর্তমান প্রযুক্তী ও বিজ্ঞানকে অনেক ধন্যবাদ

{-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন