ওসমানী খেলাফত মুসলিম ইতিহাসে এটাই ছিল শেষ জিহাদের ঘোষণা

ওসমানী খেলাফত মুসলিম ইতিহাসে এটাই ছিল শেষ জিহাদের ঘোষণা

উসমানীয় সাম্রাজ্য,
উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন,
উসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাস pdf download,
ওসমানী সাম্রাজ্যের ইতিহাস,
অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানদের নামের তালিকা,
অটোমান সাম্রাজ্য ধ্বংসের কারণ,
অটোমান সাম্রাজ্য মানচিত্র,
অটোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল,
বাংলায় তুর্কি আক্রমণ pdf,
বাংলায় তুর্কি আক্রমণের ফলাফল,
বাংলায় তুর্কি আক্রমণ ঘটে কত সালে,
অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে,
বাংলায় তুর্কি শাসনের সূত্রপাত ঘটান কে,
উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতানদের তালিকা,
অটোমান সাম্রাজ্য সুলতান সুলেমান,
অটোমান সাম্রাজ্যের শেষ সুলতান কে ছিলেন,
ওসমানী খেলাফত
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ইউরোপে মোট চারটি মেজর বা পরাশক্তি ছিল ফ্রান্স রাশিয়া জার্মান অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি ইতালি এবং উসমানী খেলাফত, বর্তমান ফিলিস্তিন পুরোটাই কিন্তু ওসমানী খেলাফত নিয়ন্ত্রণে ছিল আর এখানেই চোখ ছিলো ইয়াজুজ মাজুজের’

অর্থাৎ ইউরোপিয়ান খাজার ধর্মান্তরিত জায়োনিস্ট ইহুদিদের আজ ডিপ ফেন্স ফাইটিন্যান্স ছিলেন austro-hungarian এম্পিয়ার একজন রয়েল  প্রিন্স, যাকে কিছু সার্বিয়ান এর দ্বারা বর্তমান বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভোতে হত্যা করা হয়,

austro-hungarian এম্পিয়ার এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত!


austro-hungarian এম্পিয়ার এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত

যা তৎকালীন সময়ে austro-hungarian এম্পিয়ার এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চল ছিল এই হত্যাকাণ্ডের পর এক পর্যায় austro-hungarian হত্যা কান্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে সার্বিয়ার বিপক্ষের যুদ্ধ ঘোষণা করে’ ফলে austro- hungarianতার ঘোষণা মোতাবেক সার্বিয়ার উপর হামলা করে,

সার্বিয়ার সাথে সম্পর্কের কারণেই রাশিয়ান এম্পায়ার austro- hungarian উপর যুদ্ধ ঘোষণা করে তখন জার্মানির এম্পায়ার ও austro- hungarian সমর্থনে এগিয়ে আসে, এবং রাশিয়ার বিপক্ষের যুদ্ধ ঘোষণা করে এক পর্যায়ে ফ্রান্স এবং ব্রিটেন জার্মানির বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করে,

পরবর্তীতে ইতালি ফ্রান্স ব্রিটেন এর সাথে যোগ দেয় এবং জার্মানি austro- hungarian বিপক্ষের যুদ্ধ ঘোষণা দেয় তবে  আমরা বেশি আগ্রহী উসমানি খেলাফতের বিষয়ে অটোমান এম্পায়ার কিভাবে এই যুদ্ধ জড়ালো,

1918 পর্যন্ত সুলতান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে!


যুদ্ধ শুরুর প্রায় ছয় মাস

সেই সময় উসমানি খেলাফতের সুলতান ছিলেন সুলতান মুহাম্মদিপুত যিনি 1918 পর্যন্ত সুলতান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, ওসমানী খেলাফত প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শুরুর দিকে ইতালি এবং ইউনাইটেড স্টেট নিউনাইটেড ছিল তবে দুঃখের  বিষয় হচ্ছে সুলতান মুহাম্মদ না চাইলেও এক পর্যায়ে বিভিন্ন কারণে তিনি সম্প্তি দেন’

বলা হয়ে থাকে যে সুলতানের ইনার কডে দুইজন অন্যতম সদস্য প্রধান বৌজির সাঈদ পাশা এবং যুদ্ধমন্ত্রী আনোয়ার পাশা’ এই দুইজন সুলতান মাহমুদ কে না জানিয়ে গোপনে জার্মানদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয় এবং তারা অটোমান জার্মান অ্যালায়েন্স গঠন করে 1914 সালের আগস্ট মাসে,

অর্থাৎ যুদ্ধ শুরুর প্রায় ছয় মাস পরবর্তী সময়ে ফলে এক পর্যায়ে সুলতানের এই চুক্তি মেনে নিতে বাধ্য হন অতঃপর তিনি 1914 সালের নভেম্বর মাসে জিহাদের ঘোষণা দেন কারণ খলিফা ছাড়া অন্য কেউ জিহাদের ঘোষণা দেয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে না’

1917 সালের মার্চ মাসে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইরাক দখল করে!

এবং ইসলামের ইতিহাসে এটাই ছিল শেষ জিহাদের ঘোষণা অতঃপর যা হবার তাই হল 1917 সালের মার্চ মাসে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী ইরাক দখল করে নেয়, অন্যদিকে জেনারেল এলেমবিকে দায়িত্ব দেয়া হয় যেকিস মাসের  মার্চের পূর্বে ফিলিস্তিনি যেভাবেই হোক দখল তখন করতে হবে|

অন্যদিকে  লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া যিনি একজন ব্রিটিশ ছিলেন তাকে আরবে পাঠানো হয় যাতে আরবরা উসমানী খেলাফত থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নেয়,এবং তাদেরকে আরব থেকে বিতাড়িত করে দেয় অর্থাৎ এক কথায় গৃহযুদ্ধ যেমনটা ইউনাইটেড স্টেটস করছে এখন মুসলিম বিশ্বের’

1917 সালে মার্চে বাগদাদ দখলের পর 1917 নভেম্বরে জেরুজালেম দখল করা হয়| অতঃপর 1918 সালের অক্টোবর দামেশকে দখল করা হয়|

সবচেয়ে বড় পরাজয় মুসলিম উম্মার জন্য!

এবং অবশেষে 1918 নভেম্বর 13 তারিখে ব্রিটিশ এবং ফ্রেন্ডস আরর্মি ইস্তাম্বুল দখল করে নেয় মঙ্গল তাতারীদের হামলার পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় পরাজয় মুসলিম উম্মার জন্য, কেন এমনটা হল তা বোঝার জন্য আমাদের কিছু ইতিহাস জানতেই হবে’

ইনি হচ্ছেন শারিফ হসাইন ইভেন্ট আলী যিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাতি হাসান রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুর সরাসরি বংশধর, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের 37 তম প্রজন্ম ছিলেন এবং মক্কার আমির ছিলেন অর্থাৎ মক্কা প্রবীণশের গভর্নর|

তিনি এবং তার পরিবারে সেই আব্বাচির আমল থেকে  প্রায় 700 বছর ধরে মক্কা নগরীর গভর্নর ছিলেন পরবর্তীতে মামলুক এবং ওসমানিয়রা এই পরিবারকে সবসময় মক্কা প্রবীণশের শাসক হিসেবে বহাল রেখেছে’ যেহেতু তারা আহালিল বাইত অর্থাৎ নবী পরিবারের ছিলেন আর ব্রিটিশরা শারিফ হসাইন ইভেন্ট আলীকে টার্গেট করে|

লরেন্স অব অ্যারাবিয়া একপর্যায়ে শারিফ হসাইন এবং তার তিন পুত্র ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহযোগী তে পরিণত হয় শারিফ হসেন নিজেও খলিফা হতে চেয়েছিলেন

ব্রিটিশ  সহযোগিতা  জন্য একাধিক চিঠি প্রেরণ !

এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বথেকে  তিনি ব্রিটিশ  সহযোগিতা পাওয়ার জন্য একাধিক চিঠি প্রেরণ  করেছিলেন যদিও সেই সময় ব্রিটিশ তাকে সহযোগিতা করার প্রতি এত আগ্রহ দেখায়নি’

কেননা এর ফলে অটোমানের এম্পায়ার সাথে দন্ধ জড়াতে হবে’ তবে এখন ব্রিটিশরা নিজ থেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে` কারণ এই যুদ্ধে অটোমান এম্পায়ারকে হারাতে হবে|

অতঃপর ব্রিটিশরা তাকে লোভ দেখায় যে তিনি অটোমান এম্পায়ার বিরুদ্ধে ব্রিটিশদের সহযোগিতা করলে তাকে পুরো আরবদের বিশ্বের খলিফা করা হবে’ পুরো জাজিরাতুল আরব অর্থ আরব উপদ্বীপ সাম এবং ইরাক আর এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য’যে আমরা আমাদের বিরুদ্ধে ছিলাম|

 এটি হচ্ছে সেই চুক্তিপত্র!

ব্রিটিশরা যেমন দোষী আমরা ঠিক তেমনি দোষী এটি হচ্ছে সেই চুক্তিপত্র’ এক কথায় শারিফ হোসেনের ডিমান্ড পূর্ণ করা হবে’ তুরর্কিদেরকে আরব থেকে বিতাড়িত করা হবে এবং আরব ভূখণ্ডকে ওসমানী খেলাফত শাসন থেকে মুক্ত করা হবে|

ব্রিটিশদের পক্ষ থেকে এই ওয়াদা করার পর শারিফ হসেন অটোমান এম্পায়ারে বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা হবে এবং আক্রমণ লঞ্চ করে অর্থাৎ বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানে আরবরা বিদ্রোহ যুদ্ধ শুরু করে” যার নির্দেশ দেয়া হতো ব্রিটিশ কর্তৃক নিয়োগ দেয়ার গোয়েন্দা লরেন্স অফ অ্যারাবিয়া মাধ্যমিক’

এবং তাদের আক্রমণের প্রথম টার্গেট ছিল সেই বিখ্যাত রেলরোড যা তুরস্ক থেকে জয়র্ডান হয়ে মদীনা পর্যন্ত ছিল যাতে করে ওসমানীয় সেনারা আরবের প্রবেশ করতে না পারে’ অন্যদিকে একই বছর অর্থাৎ 1915 সালে  ব্রিটেন ফ্রান্স এবং রাশিয়ার একটি এগ্রিমেন্ট করে,

অটোমান এম্পায়ারে  পতন হলে কোন কোন অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ  পাবে!

যে অটোমান এম্পায়ারে  পতন হলে কোন কোন অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ  পাবে রাশিয়ার দাবি ছিল ইস্তাম্বুল সহ গোটা তুরস্ক অঞ্চল ফ্রান্সের দাবি ছিল লেবানন ও সিরিয়া কিছু অঞ্চল’ আর বাকি অঞ্চল ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ থাকবে,

আর এই এগ্রিমেন্ট কে বলা হয় সাইজ পিকো এগ্রিমেন্ট অর্থাৎ একইসাথে একই অঞ্চলের জন্য 2টি বিভিন্ন চুক্তি অন্যদিকে ব্রিটিশরা  জায়োনিস্ট ইহুদিদেরকে ওয়াদা করে রেখেছে যে ফিলিস্তিন ভূমি তাদেরকে দেয়া হবে”

কিন্তু আগে তো যুদ্ধে জয়ী হতে হবে গ্রেট ব্রিটেন এত শক্তিশালী হওয়া সত্বেও জার্মানের এম্পায়ারে সাথে পেরে উঠছিলো না আর এর কারণ ছিল জার্মান হিউবোর্ড  

ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের প্রায় 500 জাহাজ ডুবিয়ে দেয়!

অর্থাৎ জার্মান সাবমেরিন যা পুরো গ্রেট ব্রিটেনকে চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছিল এককথায় সিপ ব্রিটেনের বিপক্ষে জার্মানির  অন্যতম শক্তি ছিল এই আন রেস্ট্রাইক্টেদ সাবমেরিন ওয়ার পেয়ার,

1917 শুধু এপ্রিল মাসে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের প্রায় 500 জাহাজ ডুবিয়ে দেয় যার সবগুলোই ছিল খাদ্য এবং অন্যান্য সামরিক সহায়তা’ জার্মানদের এই সাবমেরিন ধ্বংস না করা গেলে বৃটেনের মানুষ খুব শীঘ্রই অনাহারী মারা যাবে|

এমনকি জার্মানরা যুদ্ধবিমানে এগিয়েছিল আকাশ ও পাই তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল এরই মধ্যে ইউরোপের জায়নিস্ট ইহুদিরা  ব্রিটেনসাথে গোপন চুক্তি করে’ ব্রিটেন তাদেরকে ফিলিস্তিন দিয়ে দে তবে তারা ইউনাইটেড স্টেটস কে যুদ্ধের টেনে নিয়ে আসবে”

অতঃপর জায়নিস্টদের ব্রিটিশদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী 1917 আগস্ট সম্পর্কে ব্রিটিশ ক্যাবিনেটে আলোচনা করা হয় এবং তা ক্যাবিনেটের পাস হয়ে যায়’

 {-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন