হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)কে 32টি ক্যাটাগরি উপর,মাইকেল
হার্ড এর নেতৃত্বে 1নম্বরের রাখতে বাধ্য হয়,
ক্লিক হেয়ার |
অধিকাংশ ইতিহাসবেত্তা
ও বিশেষজ্ঞদের মতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে
প্রভাবশালী রাজনৈতিক সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা”কারণ তিনি আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় ক্ষেত্রেই
চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব,
এই বই রচনার উদ্দেশ্য
প্রভাবশালী
100 জন মনীষীর জীবনী সংকলন
করা!
অর্থাৎ যাদের কর্মের দ্বারা এই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে এই তালিকা তৈরি করতেন তারা 32 টি বিশেষ ক্যাটাগরি বা যোগ্যতার উপর নির্ভর করে” মাইকেল হার্ড এর নেতৃত্বে গবেষকগণ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে এই তালিকায় এক নম্বরের রাখতে বাধ্য হয়,
এ বিষয়ে কারো দ্বিমত
পোষণ করার কোনো সুযোগ
ছিল না কারণ সকল
ক্যাটাগরিতেই তিনি ছিলেন অবিসংবাদিত
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম তার নিজের যোগ্যতা
বলেন এই অবস্থান অর্জন
করে নিয়েছেন, মাইকেল হার্ড বলেছিলেন
আমি একজন খ্রিস্টান হিসেবে
এই তালিকায় সবার ওপরে যীশু
খ্রীষ্ট কে রাখতে চেয়েছিলাম”
কিন্তু
বেশ কয়েকটি যোগ্যতার অভাবের কারণে যীশু
খ্রীষ্ট কে তালিকায়
এক নম্বরে জায়গা দেওয়া
সম্ভব হয়নি কারণ যীশু
খ্রীষ্ট
কোন রাষ্ট্রনায়ক শাসক বা যোদ্ধা
ছিলেন না এমনকি যিশুখ্রিস্টের
কোন পরিবার বা স্ত্রী
সন্তান ছিল না, সেজন্য
মাইকেল হার্ড শহর ও
তার সহযোগী সকলে এক
বাক্যে স্বীকার করে নিতে বাধ্য
হয় পৃথিবীতে মহান আল্লাহর সমকক্ষ
আর কেউ নেই”
বিখ্যাত লেখক জর্জ বার্নার্ড মুহাম্মদ(সাঃ)কে ত্রাণকর্তা আখ্যা দেন!
মুহাম্মদ সাল্লাহু সাল্লাম কে মানবতার ত্রাণকর্তা
আখ্যা দিয়ে বলেন তিনি
যদি আধুনিক পৃথিবীর শাসন
ক্ষমতা গ্রহণ করতেন তাহলে
তিনি অবশ্যই সকল সমস্যার
সমাধান করতে সফল হতেন|
সেই সাথে আসতে পৃথিবীর
জন্য সুখ-শান্তি এছাড়াও
আরো বহু মুসলিম ইতিহাস
বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদর্শের প্রশংসা করেছেন”
বিগত প্রায় দেড় হাজার
বছর ধরে শত শত
কোটি মুসলিম হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা
চর্চা করে আসছে,
অক্ষর জ্ঞান শুন্য একজন
অনাথ শিশু মরুভূমির কঠোর পরিবেশে পিতা-মাতা ছাড়া বড়
হয়েছেন”
তিনি তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন
বর্বর এবং অনগ্রসর” সমাজকে
উন্নত সভ্যতা পরিণত করেছিলেন
তিনি একমাত্র দার্শনিক যে কিনা তার
জীবদ্দশায় নিজের দলকে সমাজে
শতভাগ প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছিলেন|
সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে শান্তির বাণী প্রচার করতে শুরু করেন মক্কাবাসী আত্মীয় দের দ্বারা নির্যাতিত হন!
তিনি সারাজীবন ক্ষম ও উদারতা সাধনা করেছেন মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহিস সাল্লাম মক্কা জন্মগ্রহণ করে
সেখানে বড় হন এবং
আর সততার কারণে তৎকালীন
সমাজের লোকেরা তাকে বিশ্বাসী
উপাধি দেয়” কিন্তু তিনি
যখন সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে প্রাপ্ত
প্রকৃত শান্তির বাণী প্রচার করতে
শুরু করেন তখন মক্কাবাসী
ও তার নিজের আত্মীয়
দের দ্বারা নির্যাতিত হন|
এরপর তাকে অন্যায়ভাবে হত্যার
ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচতে তিনি
স্থায়ীভাবে মদিনায় বসবাস করতে শুরু
করেন, তার 23 বছর পর
মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বিজয়ীর
বেশে মক্কায় প্রবেশ করেন| সেসময়
তিনি ইতিহাসের অন্যান্য বিজয়ী শাসকদের মত
প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি|
বরং যারা তাকে মিথ্যা
অপবাদ দিয়েছিল নির্মম অত্যাচার করেছিল
তার অনুসারীদেরকে
বিনা কারণে হত্যা করেছিল
সেই বর্বর লোকদের উদ্দেশ্যে
তিনি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা
করেন” তিনি যা শিক্ষা দিতেন
তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে
তার নিচে বাস্তবায়ন করে
দেখিয়েছেন,
তার মোহনীয় ব্যক্তিত্ব স্পর্শে সমগ্র আরব উপদ্বীপে
শান্তি কাম্য ন্যায় বিচার
প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তিনি ইসলামকে প্রতিষ্ঠা
করেছিলেন একটি দেশ এবং
একটি সরকারের আকারে. তিনি একজন
অনাথ বালক থেকে বিশাল
সাম্রাজ্যের শাসক হিসেবে অধিষ্ঠিত
হন|
সাম্রাজ্যের
শাসক কিন্তু অতিসাধারণ মাদুর বিছিয়ে মাটিতে
ঘুমিয়েছেন!
কিন্তু তারপরও তার জীবনে বিন্দুমাত্র কোনো পরিবর্তন আসেনি বিশাল রাজাদের পরেও তিনি ঠিক আগে যেমন খাবার খেতেন যেমন পোশাক পরতেন কিপ্টেমি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি কোন প্রাসাদ নির্মাণ করেন নি অতিসাধারণ মাদুর বিছিয়ে মাটিতে ঘুমিয়েছেন |এমনকি এত বড় একজন শাসক তার জামা ছিড়ে গেলে নতুন জামা নাগিনে নিজেই ছেড়া জামা সেলাই করে নিতেন তিনি ছিলেন প্রকৃত ন্যায় পরায়ন এবং একজন ন্যায় পরায়ণ শাসক”
পৃথিবীর
ইতিহাসে অন্য কোন বিজয় শাসকের মত তিনি তার রাজত্ব তার
বংশধরদের কাছে হস্তান্তর করেন
নি তিনি বিচার করার
সময় তার বন্ধু এবং
আত্মীয়-স্বজনদের প্রাধান্য দিতেন না সকলের
জন্য তারা তার আইন ছিল সমান
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর সকল
কর্মকান্ড পরিচালিত হয়তো মৃত্যুর পরের
জীবন কে কেন্দ্র করে
একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপাসনা করা ছিল
তার প্রধান বার্তা, সেইসাথে
পৃথিবীর সকল ধরনের অন্যায়
অত্যাচার সমূলে ধ্বংস করা
ছিল তার লক্ষ্য, তিনি
মানবজাতির এমন একজন শিক্ষক
ছিলেন তিনি সব সময়
উত্তম চরিত্র গঠনের শিক্ষা
দিয়ে গেছেন”
এবং নিজের জীবনকে সর্বোত্তম চরিত্রের আদর্শ হিসেবে রেখে গেছেন রাজত্ব অর্জন করতে বা ধরে রাখতে তিনি কোন চক্রান্তের আশ্রয় নেনি,
কোনদিন
তার স্ত্রী তার বন্ধু
এমনকি শত্রুর গায়ে হাত
তোলেন নি!
আর এখানেই হযরত মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম অন্য
সকল শাসক থেকে আলাদা
তিনি জীবনে কোনদিন
তার স্ত্রী তার বন্ধু
এমনকি শত্রুর গায়ে হাত
তোলেন নি|শুধুমাত্র সেই সূত্র ধরেই
তিনি মোকাবেলা করেছেন যারা আল্লাহর
হুকুম এবং তার বার্তা
প্রতি সরাসরি বিরোধিতা করে তার উপর
আক্রমণ করেছে,
সে ক্ষেত্রেও তিনি প্রতিহত করেছে
মাত্র সাধারণত কোন সম্রাট বা
শাসক নিজে যুদ্ধের ময়দানে
সরাসরি অংশগ্রহণ করে না কিন্তু
তিনি ছিলেন একজন দক্ষ
সমরনায়ক, এবং অকুতোভয় বীর
যোদ্ধা তিনি সৈন্যদলের পেছনে
না থেকে সরাসরি শত্রুদের
মাঝে গিয়ে যুদ্ধ করেছেন|
একই সাথে আবার তিনি ছিলেন শান্ত মার্জিত এবং সকলের প্রতি আন্তরিক একজন শাসকের যাদের দায়িত্ব থাকে দিনের বেলায় তিনি সেই সকল কাজ করতেন, এছাড়া রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা বজায় রাখতেন বিচারকের দায়িত্ব পালন করতেন অতিথিদের সাথে সাক্ষাৎ করতেন দরিদ্রদের খাবার দেন অসুস্থ কে দেখতে যেতেন নিজের ব্যক্তিগত কাজ নিজেই করতেন|
একজন সাধারণ মানুষ থেকে
শুরু করে একজন শাসক
যা কাজ করে তিনি
তার সবই করতেন এরপর
রাতের বেলা তিনি দীর্ঘ
পার্থনা মনোনিবেশ করতেন প্রতিরাতে একটানা
4 -5 ঘন্টা নামাজে দাড়িয়ে থাকার
জন্য তার পা ফুলে
যেত” কিন্তু পরের দিন
সকাল থেকে আবারও ইসলামী
জীবন বিধান শিক্ষা দেওয়া
পবিত্র কুরআন ব্যাখ্যা করা
সহ যাবতীয় কাজ নিরলসভাবে করে
যেতেন|
একজন মানুষ কিভাবে একসাথে
সবগুলো কাজ সঠিক ভাবে
করতে পারে পারিবারিক সামাজিক
রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সকল ক্ষেত্রে তিনি
ছিলেন উৎকর্ষতার চূড়ান্ত উদাহরণ, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহিস সাল্লাম ছাড়া ইতিহাসে এমন
নজির আর দ্বিতীয়টি নেই”
মুহাম্মদ
(সাঃ)ও তার শাসনামলে একজন
রাজা আর একজন দাসের
মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল
না!
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তার
শাসনামলে একজন রাজা আর
একজন দাসের মধ্যে কোন
পার্থক্য ছিল না তিনি
ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাইকে
এক কাতারে নিয়ে নামাজ
আদায় করতেন” পশ্চিমারা আজীবন
বর্ণবাদের কুচিত চর্চা করে
সাম্প্রতিক সময়ে খুব সাধু
সাজার চেষ্টা করে|
কিন্তু
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম বর্ণবাদ
বিলুপ্ত করেছিলেন আজ থেকে দেড়
হাজার বছর আগে তিনি
সেই প্রাচীনকাল এই বলে গেছেন
কালোর উপর সাধারণ শ্রেষ্ঠত্ব
নেই” শুধু তাই নয়
তৎকালীন সময়ে সারা পৃথিবীতে
নারী অধিকার ছিল উপেক্ষিত
নারীদেরকে অনেকাংশে মানুষ হিসেবেই গণ্য
করা হতো না’সেখানে তিনি
নারীদেরকে সম্পত্তি লাভের অধিকার প্রদান
সহ নানান ক্ষেত্রে নারী
অধিকার নিশ্চিত করেছেন|
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তার জীবনে কখনো কোনদিন মিথ্যা কথা বলেন কিন্তু এই মহামানবের প্রতি সবচেয়ে বড় মিথ্যাচার হলো তিনি নাকি পবিত্র কুরআন নিজে রচনা করেছেন; অথচ তিনি পড়ালেখায় জানতেন না যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া হয় কুরআন তাঁর রচনার সে ক্ষেত্রে এই গ্রন্থ জুড়ে তার নিজের কোন গান বেশি বেশি থাকার কথা ছিল, কিন্তু পবিত্র কুরআনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের বর্ণনার চেয়ে ইহুদি ধর্মের নবী হযরত মূসা আলাইহিস সাল্লাম এবং খ্রিস্টান ধর্মের নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম যিশুখ্রিস্টের বর্ণনায় কুরআনে এসেছে, মুসলিম এবং অমুসলিম সকলেরই উচিত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সম্পর্কে আরো গভীরভাবে জানার চেষ্টা করা,
কেউ যদি মুক্তমনে মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম সম্পর্কে
অধ্যয়ন করেন তাহলে এই
মহামানব এর প্রতি তার
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জাগবে|মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ
যে ব্যক্তি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি
করতে পারবে সেই মুহাম্মদ
সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম এর অনুসারী হতে
পারতো’ আমাদের সকলেরই উচিত
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই মানবের জীবন
এবং কর্মকে অনুধাবন করে
তাকে তার যোগ্য সম্মান
টুকু দেওয়া?