23 তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী!

23 তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী!

 

                        23 তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

ক্লিক হেয়ার

দেশের 23 তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ পরে নিয়ম অনুযায়ী শপথনামায় সই করেন নতুন প্রধান বিচারপতি

শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহনে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদের সদস্য” বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বিচারপতির সিনিয়র আইনজীবী সহ-আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগদেন এর আগে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ|

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ তাকে নিয়োগ দেয়!

23 তম প্রধান বিচারপতি বলেন আইন বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ তাকে এই নিয়োগ দেয়,বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রক্রিয়া যে প্রকাশিত হয় শুক্রবার বিকেল চারটায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ তাকে শপথ পড়ানোর সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও উপস্থিত ছিলেন|আপিল বিভাগের বিচারপতি দের মধ্যে সিনিয়রিটি পথে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দ্বিতীয় বিভাগে প্রথম অবস্থানে ছিলেন বিচারপতি, মোঃ ইমান আলী অবশ্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের|

আগামী 2023 সালে অনুষ্ঠিত হবে যখন সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিচারপতির আসনে থাকবেন 23 তম প্রধান বিচারপতি, নির্বাচনকে উপলক্ষ করে সৃষ্ট রাজনৈতিক 900 আসনে সামনে সে সময় প্রধান বিচারপতির   ভূমিকা নেবে,বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী 2017 সালের 26 সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রতনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন,তার বাবা মরহুম আবদুল গফুর মোল্লা অপূর্ব মাধুর্য 1972 সালে সংসার চাঁদপুর পাইলট হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন,

এবং 1974 সালে সরকারি পিসি কলেজ থেকে টিসি সম্পন্ন করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে বিএ পাস করার, পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন,পরে ধানমন্ডি কলেজ থেকে এলএলবি পাস করে,

আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন 2001 সালে হাইকোর্ট!

              21 তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বহুল আলোচিত পদত্যাগের

পরিষ্কার সালে ঢাকা জজকোর্টে হাই প্রেসার যুক্ত হওয়ার 1983 সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং 1999 সালের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন, 2001 সালে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান এরপর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর,

তাকে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ থেকে বাদ দেওয়া হয় পরে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে 2009 সালের 25 মার্চ উন্নয়ন বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান, এরপর 2013 সালের মার্চ মাসে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান 2015 সালের 30 এপ্রিল তাকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়|প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী খুলনা সিটি কর্পোরেশন কুষ্টিয়া পৌরসভা জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন|

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে কাজ করেছেন তারা বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক,নামের বিভাগের বিচারপতি হিসেবে অবসর চান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বহুল আলোচিত পদত্যাগের!

প্রসঙ্গত থেকে 21 তম প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বহুল আলোচিত পদত্যাগের পর 22 তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে,2018 সালের তেসরা ফেব্রুয়ারি শপথ নেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন 47 প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন শেষে 2021 সালের|

30 শে ডিসেম্বর 67 বছর পূর্ণ হওয়ার প্রতিকার অবসরে যান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী 2020 সালের 25 শে সেপ্টেম্বর অবসরে যাবেন তিনি”

37 বছর ধরে আইন পেশায় যুক্ত সৈয়দ মাহমুদ হোসেন 20 বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ করার পর 2001 সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হণ, তিনি, আপিল বিভাগে আসেন আরো 10 বছর পর ছেলে নির্বাচন কমিশন সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান,

কুমিল্লা নাঙ্গলকোট উপজেলার  সৈয়দ মুস্তাফা আলী বেগম কাউসার জামান দম্পতির ঘরে 1954 সালের 31 ডিসেম্বর জন্ম সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বিএসসি ডিগ্রী নেওয়ার পর”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি করেন তিনি 1981 সালে  জেলা আদালতে আইন পেশায় যুক্ত হন,

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি  ছিলেন!

তিনি 1983 সালে ছিলেন চলে আসেন হাইকোর্টে 16 বছর পর  তাকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান 2001 সালের 22 ফেব্রুয়ারি দু'বছর পরে স্থানীয়রা নিয়োগ দেওয়া হয়,

তাকে এর 10 বছর পর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি 2011 সালের 23 ফেব্রুয়ারির আপিল বিভাগের  বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন, বিচারপতি ওহাবমেয়ে বিচারপতি ইমান আলী ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নির্বাচন সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন| স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি  ছিলেন

আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম এর পর দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ এবি মাহমুদ হোসেন, একা একা দায়িত্ব পালন করেন কামাল উদ্দিন হোসেন,  এফকেএমএ মুনিম, বজলুল হায়দার চৌধুরী, শাহাবুদ্দিন আহমেদ, এমএইচ রহমান,

এটিএম আফজাল,মোস্তফা কামাল, লতিফুর রহমান, মাহমুদুল আমিন চৌধুরীর, মাইনুর রেজা চৌধুরী, খন্দকার কামাল হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ হুসেইন, ,রুহুল আমিন, এস এস রুহুল আমিন,তোফাজ্জল ইসলাম, মোঃ ফজলুল করিম ,এবিএম খায়রুল হক ,মোয়াজ্জেম হোসেন এস কে সিনহা

এসকে সিনহা বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি দায়ে আদালতে দোষী সাব্যস্ত!

এসকে সিনহা বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি যিনি দুর্নীতির দায়ে আদালতে দোষী সাব্যস্ত ও দন্ডিত হলেন রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে 2017 সালের 10 নভেম্বর বিদেশে ছুটিতে থাকা অবস্থায় পদত্যাগ করেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি প্রধান বিচারপতির  দেশের ইতিহাসে আর কোন প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ নজির নেই|

সংবিধানের 16 সংশোধনী বাতিলের রায় এবং রায়ের পর্যবেক্ষণে কারণে তোপের মুখে পড়েন এসময় প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা এসকে সিনহা এরপর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অর্থপাচার আর্থিক অনিয়ম ও নৈতিক স্খলন সহ সুনির্দিষ্ট সংবিধানের 11 টি অভিযোগ কথা জানায় হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন”

এ ছাড়া তার সঙ্গে একই পেজে বিচারকাজ পরিচালনা করতে অপারগতা জানান আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা একপর্যায়ে 2017 সালের 11 নভেম্বর বিদেশ থেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন,বাংলাদেশের 21 তম প্রথম প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা

এসকে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রের  বসে ব্রকেন ড্রিম একটি বই লেখেন!

দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এসকে সিনহা যুক্তরাষ্ট্রের  বসে ব্রকেন ড্রিম একটি বই লেখেন বইতে উল্লেখ করেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে 2019 সালের জুলাইয়ে এসকে সিনহা  বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আপিল বিভাগের যে বেঞ্চই বাতিল হন এসকে সিনহার ছিলেন তার অন্যতম সদস্য,  এছাড়া 2011 সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় চূড়ান্ত রায় দেওয়ার বেঞ্চ ও সদস্য ছিলেন তিনি 2015 সালের 17 জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়ার|

সুরেন্দ্র কুমার সিনহার জন্ম মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার তিলেতপুর গ্রামের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয় পড়াশোনা শেষে 1974 সালে সিলেটে কর্মজীবন শুরু করেন, 1978 সালে হাইকোর্টে এবং 1990 সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন,1999 সালের হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান 2009 সালের জুলাইয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি প্রধান হন সাবেক এই বিচারপতি|

আসলে সত্যি কথা বলতে কি দুনিয়াতে এখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে টিকে থাকাটাই কষ্ট সাধ্য কোন না সুরেন্দ্র এসকে সিনহা কে ও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে কারন সত্য বলে এ সমাজে টিকে থাকবে এটা এখন স্বপ্নের মত

 

{-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন