বিশ্বের প্রথম ফোন আবিষ্কার মার্টিন কুপার!একটি কল 30 মিনিট ওয়েট করতে হতো
ক্লিক হেয়ার
আজকাল ক্যামেরা ছাড়া কোন মোবাইল ফোন নেই মোবাইলের সামনে-পেছনে তিন থেকে চারটি করে ক্যামেরা থাকে সব গুলো ক্যামেরা 12 মেগাপিক্সেল থেকে শুরু করে 108 মেগাপিক্সেল পছন্দ হয়েছে, হোয়াইট অ্যাংগেল মাইক্রো ম্যাক্রো বিচিত্র সব রকমের ক্যামেরা রয়েছে এখনকার সব মোবাইলে কিন্তু জানেন কি প্রথম ক্যামেরাযুক্ত মোবাইল ফোন কবে এসেছিল|মার্কেটে সর্বপ্রথম
ক্যামেরা সংযুক্ত মোবাইল ফোনটি সাডেন কোম্পানির তৈরি মডেল JSH নামে পরিচিতি লাভ করে,
2000 সালের নভেম্বর মাসে ফোনটি বাজারে আসে ক্যামেরাটি ছিল 0.11 মেগাপিক্সেল এই ফোনটির
দাম ধরা হয়েছিল 500 ডলার বাংলাদেশি টাকায় যার বর্তমান মূল্য 45 হাজার টাকা|
এই মোবাইল সর্বোচ্চ 20 ছবি তোলা যেত!
এছাড়া বর্তমানে
স্মার্টফোন মার্কেটে রাজত্ব করার স্যামসাং ফোন 2000 সালে তাদের প্রথম ক্যামেরা ফোন
HESB 200 অভ্যন্তরীণ বাজারে ছাড়ে এতে ছিল 0.35 মেগাপিক্সেল এর ক্যামেরা এই মোবাইল
সর্বোচ্চ 20 ছবি তোলা যেত,
পৃথিবীর অর্ধেকের
ও বেশি মোবাইলে ক্যামেরা যুক্ত করা হয় মূলত 2006 সালে এসে 2005 সালের এসে নোকিয়া
ফোনের ক্যামেরা বিক্রির এক নতুন রেকর্ড গড়ে, নোকিয়া এন নাইনটি ফোনে টু মেগাপিক্সেল
ক্যামেরা অটো ফোকাস এলআইডি ফ্লাশ যুক্ত নজরকাড়া ফোনের ক্যামেরা টি যেদিকে খুশি সেদিকে
ঘুরানো যেত, এই দিকে ক্যামেরা যুক্ত ফোনের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ 22 বছর মোবাইল কোম্পানিগুলো
ফোনের ক্যামেরা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এবং এ কাজে তারা বেশ সফল|
মোবাইল ফোন আমাদের ভাবনাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে!
আমরা যদি ইতিহাসের
দিকে নজর দিই তবে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি বদলে যাওয়া জিনিসটি হল মোবাইল ফোন এটি আমাদের
ভাবনাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে, আর এখন আমার প্রত্যেকটি দৈনন্দিন কাজ এই মোবাইলের সাহায্য করতে পারি,
পুরো জগৎ এখন
আমাদের একটিমাত্র আঙ্গুল এর ছোয়া দূরে ইউটিউব ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ টিকিট বুক করা থেকে
শুরু করে, আরো কত কি যা কখনো আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে করতাম তার সবকিছুই আমার মোবাইলের
মাধ্যমে একটি ক্লিক করে ফেলি,
আর এইসব কিছুই
তৈরি হয়েছে বিগত 10 বছরে প্রথম মোবাইল কবে তৈরি হয়েছিল আমরা যদি কিছু বছর পেছনে যাই
তখন দেখবো সেই সময় মোবাইল ফোনে আজকের মত স্মার্ট ছিল না, এই ইতিহাস জানতে আমাদের যেতে
হবে 1960 সালে কারণ তখন মোবাইলে লাগানো থাকত গাড়িতে,
কারণ গাড়ির ব্যাটারি
একমাত্র পাওয়ার জেনারেটার করতে পারতো এই মোবাইল গুলো চালানোর জন্য তাই গাড়ি ছাড়া
এই মোবাইল গুলো অন্য কোথা ও ব্যবহার করা যেত না এছাড়া আপনাকে কারো সাথে কথা বলতে হলে
অন্তত 30 মিনিট পর্যন্ত ওয়েট করতে হতো একটি মাত্র কল লাগানোর জন্য|
মোবাইল ফোনকে
গাড়ি থেকে মানুষের হাতে বের করে!
এই সমস্যা দূর
করতে মোবাইল ফোনকে গাড়ি থেকে মানুষের হাতে বের করে আনতে তখনকার দিনে দুই হেভিওয়েট
কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল
এই
দুই কোম্পানির ছিল এটিএন্ডটি এবং মোটরওয়ালা এখানে বলে রাখা দরকার এটিএন্ডটি এবং মোটরওয়ালা
এর মধ্যে মোটরওয়ালা ছিল তুলনামূলকভাবে অনেক
ক্ষুদ্র কোম্পানি তাই মটোরোলা কাছে চ্যানেলটা বেশি ছিল,
যে
এই নতুন ধরনের মোবাইল তৈরি করার আর 1973 সালে মোটরওয়ালা
কোম্পানির আরএনডি বিভাগের ডঃ মার্টিন কুপা মোবাইলের পুরোটাই তৈরি করে ফেললেন, থার্ড
এপ্রিল নিউইয়র্ক একটি প্রেস কনফারেন্স করে তিনি এই মোবাইল লঞ্চ ও করলেন,
আর
ডঃ মার্টিন কুপাট এই মোবাইলের টেস্টিং করেন অনারি প্রতিযোগী এএনটি কোম্পানি সেলুলার
নেটওয়ার্ক টিমের হেড জুয়েল এঙ্গেলকে কল করে”
প্রথম মোবাইল ওজন ছিল এক কেজি,চার্জ করতে
সময় লাগতো 10 ঘণ্টা!
1983
সালের মোটরওয়ালা এই প্রথম মোবাইল মানুষের হাতে আসে এটি ছিল মোটরওয়ালা ডায়না ডেট
এটির ওজন ছিল এক কেজি|
এবং
এটির দাম নির্ধারণ করা হয় চার হাজার ইউএস ডলার এটি ছিল দুনিয়ার প্রথম পোর্টেবেলা মোবাইল ফোন এটি নিয়ে
আপনার যেখানে ইচ্ছা যাওয়া-আসা করতে পারতেন” কিন্তু এটিকে চার্জ করতে সময় লাগতো
10 ঘণ্টা এবং এর সাহায্যে আপনি ফোনটি ব্যবহার করতে পারতেন মাত্র 30 মিনিট এরপর একের
পর এক মোবাইল আসতে থাকে উন্নত হতে থাকে মোবাইলের প্রযুক্তি|
অতীতে কোনো ইলেকট্রনিক
পণ্যের এত বিস্তার ঘটানি!
অতীতে কোনো ইলেকট্রনিক পণ্যের মোবাইল ফোন এর মত এত বিস্তার করে ঘটেনি মোবাইল ফোনে এখন আর কোন বিলাসিতা নয় বরং দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় “ প্রায় পাঁচ দশক আগের সেই মোবাইলের তুলনায় আজকের স্মার্টফোন গুলি সাথে যেন সুপারকম্পিউটার রূপ ধারণ করেছে
1973 সালে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি করেন তাই মার্টিন কুপার কে মোবাইল ফোনের জনক বলা হয় তিনি তখনকার একজন টেলিকম কোম্পানি মোটরওয়ালা কাজ করতেন, এমন স্বপ্ন ছিল তার একদিন আসবে যখন সবার হাতেই নিজস্ব ফোন থাকবেন চাইলে যেকোন মুহূর্তে কাউকে ফোন দিতে পারবে ,
আর সেই ফোনের যেকোন
সময় নেই তার সাথে
যোগাযোগ করা যাবে সে
সময় টেলিফোন মানে ছিল এমন
একটা জিনিস যা মানুষের
কাজ টেবিল বা বাড়িতে তারের
সাথে যুক্ত থাকে’ সে
কারণে সাধারণ
মানুষের কাছে মোবাইল ফোনের
ধারণা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর মতোই ছিল, ডিকটিসি
নামের আমেরিকান একটি
কমিকের চরিত্রের এক ধরনের রেডিও
হাতঘড়ির সাহায্যে পরস্পর যোগাযোগ করতো|
পৃথিবীতে প্রথম
মোবাইলটি ছিল 10 ইঞ্চি লম্বা
2 ইঞ্চি চওড়া প্রায়
চার ইঞ্চি মোটা!
সেটা দেখেই প্রথমবার মার্টিন কুপার এর মাথায় মোবাইল ফোনের চিন্তা এসেছিল সেই জিনিসটাই মার্টিন কুপার এর নেতৃত্বে 20-30 জনের একটি দল মাত্র 30 দিনের মধ্যে তৈরি করেছিল, মোবাইলটি আজ থেকে 48 বছর আগে মার্টিন কুপার 1973 সালের এপ্রিল মাসে নিউইয়র্কের হিলটন হোটেলের প্রথম মোবাইলের মডেল বিশ্বের সামনে তুলে ধরে আলোরন সৃষ্টি করেছে’
প্রথম
মোবাইল ফোনটি ছিল 10 ইঞ্চি
লম্বা 2 ইঞ্চি চওড়া এবং
প্রায় চার ইঞ্চি মোটা
সেই মোবাইল ফোনের ওজন
ছিল এক কেজির বেশি
মাত্র 20 মিনিট কথা বললেই
ফোনের ব্যাটারি শেষ হয়ে যেত
সেই ফোন দেখে অনেকেই
হাসাহাসি করেছে তবে সত্যিকার
অর্থে ওই সময়ে এরকম
একটি ফোন ফোনের চার্জ শেষ হয়ে যেত,
এই ফোন অনেকে হাসাহাসি শুরু করেছে তবে সত্যিকার অর্থেই ওই সময় এরকম একটা তৈরি করা ও ছিল এক প্রকার চ্যালেঞ্জ পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মোবাইল কলটি ও করেছিলেন মার্টিন কুপার, তিনি নিউইয়র্কের সিক্স এভেনিয় দিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে এটিএনটি কোম্পানিতে কর্মরত তার এক ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুকে কলটি করেছিলেন,
এটিএনটি তখন শুধু আমেরিকা নয় বরং সমগ্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিকম কোম্পানি ছিল এটিএনটি আবিষ্কৃত সেলুলার টেকনোলজি নামের এক প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করেই মোবাইল ফোন আবিষ্কার হয়েছিল| হাতে করে ফোন নিয়ে ঘোরার কথা এটিএনটি মোটেও ভেবেনি|
1983 সালে
প্রথমবারের মতো বাজারে আসে
মোটরওয়ালা ডায়না টিএসসি!
তারা এই প্রযুক্তি উদ্ভাবন
করেছিল মূলত গাড়িতে টেলিফোন
সংযুক্ত করার জন্য কিন্তু
ছোট্ট কোম্পানি মটোরোলা তৎকালীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিকম এটিএনটি
কল্পনার সীমানাকে ও ছাড়িয়ে যায়, তবে প্রথম
মোবাইল ফোনটি বাজারে আসতে
আরো দশ বছরের কত
সময় লাগে,
1983 সালে
প্রথমবারের মতো বাজারে আসে
মোটরওয়ালা ডায়না টিএসসি এইস থাউজেন্ড এক্স
মডেলের ফোনটি সেই মোবাইলের দাম
ছিল চার হাজার ডলার
বর্তমান সময়ে তার বাজারমূল্য
প্রায় 9 লক্ষ টাকা এছাড়া
তখন কল রেট এতটাই
বেশি সে যুগে মোবাইল
বড়লোকদের খেলনা হিসেবে ব্যবহৃত করতো,
মার্টিন
কুপার এর নাম দিয়েছিলেন
ডায়নামিক অ্যাডাপটিভ টোটাল এরিয়া কভারেন্স!
ওই ফোনটি অনেকের কাছে ইটের মতো আবার কারো কাছে জুতার মতো দেখতে মনে হয়েছে তাই অনেকে একে বলতো দীপবৃদ আবার অন্যরা বলতো সুজ ফোন, তবে মার্টিন কুপার এর নাম দিয়েছিলেন ডায়নামিক অ্যাডাপটিভ টোটাল এরিয়া কভারেন্স,
সংক্ষেপে ডায়নামিক সেই মোবাইল ফোন যে মানুষের জীবনে এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে তা হয়তো কেউ উপলব্ধি করেনি আজকাল মোবাইল রেডিও-টিভি মিউজিক প্লেয়ার ক্যামেরা ইন্টারনেটসহ কিনেই বর্তমান পৃথিবীর জনসংখ্যা মোট 87 শতাংশের বেশি লোক মোবাইল ফোন যোগাযোগ এর আওতায় এসেছে এবং 511 কোটির বেশি মানুষ নিয়মিত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সেই মটোরোলা দিয়ে শুরু হলেও বর্তমান বিশ্বে স্মার্টফোন বাজারে 76 শতাংশের দখল করে রেখেছে মাত্র 10 টি কোম্পানি
{-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}