সূচনা:- বাংলাদেশের ছেলে ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)পুরো সৌদি আরবের ইমাম সাউদ ইউনিভার্সিটি তে ফাস্ট হয়ে ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর তাক লাগিয়ে দিয়েছেন পুরো মুসলিম বিশ্বকে’ যাকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল সৌদি দৈনিক `আর-রিয়াদ’ পত্রিকায় যিনি চারটি বিষয়ে 100 নম্বর সহ গড়ে 97 নাম্বার পেয়েছেন ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর করেছেন পিএইচডি এতকিছুর পরেও বড় বড় চাকরির লোভ ফেলে 17 বছর পর কেন দেশে চলে আসলেন|
ক্লিক হেয়ার
আর এতদিন পর দেশে আসার সময় কিছু না এনেই ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) এনেছেন 3500 কেজি বই সৌদি আরবের ইমাম সাউথ ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় সেমিস্টারে পুরো ফ্যাকাল্টিতে ফাস্ট হলেন’ আরব দেশে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নন আরব ফাস্ট হলেন এটা যেন চমক লাগানো সংবাদ”
সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নেবার জন্য ছুটলেন সে ছাত্রের কাছে সাক্ষাৎকারটি পরদিন ছাপা হয় রিয়াদের সেরা দৈনিক `আর-রিয়াদ’ পত্রিকায় সে ছাত্রের গড়ে নাম্বার ছিল 97 চারটি বিষয়ে পেয়েছিলেন 100 তে 100’
কিং সাউদ বিশ্ববিদ্যালয়!সম্পাদনা
আপনি কি জানেন সেই
কৃতি ছাত্র কে ইমাম সাউদের কৃতি ছাত্র আর কেউ নয়
তিনি হলেন খোন্দকার
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) 1986 সালে তিনি ইমাম সাউদ ইউনিভার্সিটি থেকে লিস্যান্স’ 1992 সালে মাস্টার্স 1998 সালে
পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন
তিনিই প্রথম বাংলাদেশী এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন চূড়ান্ত পরীক্ষায় গড়ে 96 মার্ক পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্থান অধিকার করেন|
আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) পরপর দুবার বাদশাহ আযিযের কাছ থেকে সেরা ছাত্রর পুরস্কার গ্রহণ করেন সৌদি আরবের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সেরা ছাত্রের খেতাব পাবার পাশাপাশি তার সামনে সুবর্ণ সুযোগ ছিল সেখানে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ার’
আব্দুল্লাহ
জাহাঙ্গীর ইংল্যান্ড’ আমেরিকা’ অস্ট্রেলিয়া’ থেকেও চাকরির অফার পায়! সম্পাদনা
ইংরেজিতে পারদর্শী হবার ফলে চাকরির অফার পেয়েছিলেন ইংল্যান্ড’ আমেরিকা’ অস্ট্রেলিয়া’ থেকেও কিন্তু তিনি কি করলেন পিএইচডি সমাপ্ত করেই ব্যাগ গোছাতে শুরু করলেন’ তার জীবনী লেখক তাকে পরামর্শ দিলেন সৌদিতে সম্পন্ন সময়টা পড়ালেখা করে কাটালেন|
এবং এই সময়ে ব্যাংক ব্যালেন্স বলতে কিছু নেই কিছুদিন সৌদি থেকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে দেশে গেলে হয়না’ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ)বললেন পিএইচডি শেষ করে দেশে যাবো বলে আল্লাহর সাথে আমি ওয়াদা করেছি|
আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হলো আমি আল্লাহর সাথে কৃত আমার ওয়াদা রক্ষা করতে চাই পড়া লেখার সুবাদে প্রায় 17 বছর থেকেছেন সৌদি আরবে”
এই 17 বছরে যেসব বই তিনি পড়েছেন’ সে গুলোকে কিভাবে সংরক্ষণ করব!সম্পাদনা
1998 সালে যখন দেশে ফিরবেন নিশ্চয়ই অনেক শপিং করবেন কাপড় কিনবেন’ সৌদি আরবের আতর থেকে শুরু করে এমন সব জিনিস কিনবেন” সেগুলো সাধারনত দেশে গেলে পাওয়া যায় না কিন্তু না তার দুশ্চিন্তা হলো এই 17 বছরে যেসব বই তিনি পড়েছেন’
সংগ্রহ করেছেন সেগুলো তো আর দেশে গেলে পাওয়া যাবে না সেগুলো দেশে নিয়ে যাবেন কিভাবে বিমানে একজন মানুষের সর্বোচ্চ 25 থেকে 30 কেজির পণ্য নিতে পারে তার বইগুলো ওজন তো এর 100 গুণ বেশি’
তিনি বইগুলো দেশ নিয়ে যাবার জন্য কার্টুনে ভরে ট্রান্সপোর্ট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করলেন প্রায় 100টি কার্টুনে 3500 কেজি বই দীর্ঘ 17 বছরের সম্বল আত্মস্থ ইলম এবং 3500 কেজি ওজনের বই নিয়ে 1998 সালে’ ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ দেশের মাটিতে পা রাখেন|
নিজের
ঘর অন্ধকার রেখে পাশের গ্রামে
তিনি যেতে চাননি!
তার সামনে সুযোগ ছিলো নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে উজ্জ্বল ঈর্ষণীয় ক্যারিয়ার গড়ার কিন্তু নিজের ঘর অন্ধকার রেখে আলোর দাওয়াত নিয়ে পাশের গ্রামে তিনি যেতে চাননি|
ফিরে আসেন নিজের শিকড়ে কুষ্টিয়া’ ঝিনাইদহ’ এই অঞ্চল দুটোকে মানুষ চিনে লালন ফকির আর পাগলা কানাই ফকিরের এলাকা বলে” শিরক বেদা’আত কুসংস্কার আর বাউল ফকিরদের তীর্থস্থান এই অঞ্চল এরকম একটা এলাকায় জন্মগ্রহণ করে এলাকার অধঃপতন দেখে কিভাবে ডঃ খন্দকার (রাহিমাহুল্লাহ) বিদেশে এসির রুমে বসে দ্বীন কায়েমের স্বপ্ন দেখবেন|
তিনি ফিরে এসে নিজ এলাকায় ধর্মীয় কুসংস্কার দূর করার উদ্যোগ নেন 1998 সালের দোসরা 3 সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার হিসেবে যোগদান করেন, চাকরি করেই ক্ষান্ত হননি শিক্ষা সংস্কারের জন্য একটি একাডেমী প্রতিষ্ঠা করেন|
ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে!সম্পাদনা
আল ফারুক একাডেমী নামে 2011 সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘আস সুন্নাহ ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন মাহফিলে ওয়াজ করতে যেতেন”হাসিমুখে জটিল বিষয় গুলোর যুথসই সমাধান দেবার চেষ্টা করতেন’
একজন আলেম শুধুমাত্র হাসি দিয়েই মানুষের মন জয় করতে পারেন আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যারকে না দেখলে এটা বোঝার কোনো উপায় ছিল না হয়তো মানুষকে দূরে সরিয়ে দেবার বদলে কাছে টেনে নেবার প্রবণতা ছিল তার বেশি’
ইখতেলাফি বিষয়ের আলোচনায় তার শব্দচয়ন মানুষকে মুগ্ধ করতো বাংলাদেশের মিডিয়ায় আলোচিত আলেমগণের মধ্যে এমন সহনশীল এপ্রেচের সাথে মানুষজন আগে পরিচিত ছিলো কিনা কে জানে”
তার ওয়াজ সুরেলা
ছিল না তবুও মানুষ
আগ্রহ নিয়ে তার ওয়াজ শুনতো সুরেলা ওয়াজ না
করেও তিনি ছিলেন বাংলাদেশের
একজন জনপ্রিয় বক্তা’
ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)স্যারের লেখা বই গুলো ছিলো এমন স্টাইলের যে একজন সাধারণ শিক্ষিত মানুষও তার 500 পৃষ্ঠার বইগুলো সহজে পড়তে পারতো যা বলতে চাচ্ছেন তা সহজে লিখতে পারতেন|
কিন্তু
আজ ডঃ খান্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার আর নেই
আল্লাহর ডাকে সাড়া
দিয়ে তিনি চলে গেছেন
না ফেরার দেশে আল্লাহর
তার কবুল করুক এর বিনিময়ে তাকে
জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী আলেমেদ্বীন!সম্পাদনা
প্রখ্যাত ইসলামী
চিন্তাবিদ টিভি আলোচক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের
সাবেক প্রফেসর ডঃ খন্দকার মোঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এক কথায় তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার
অধিকারী আলেমেদ্বীন’
তবে কথায় আছেনা
কীর্তিমানের মৃত্যু নেই এই কথাতেই তিনি এখনো বেঁচে আছেন কোটি কোটি অনুসারির মনের মনিকোঠায়
এখনো তার যত বই পড়ি এবং ওয়াজ শুনি তাতে তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বেড়েই চলেছে,
মনেপ্রাণে বিশ্বাস
করি তার মত যদি আর 15 20 জন আলেম বাংলাদেশ থাকতেন তাহলে আমাদের মুসলিমদের মধ্যে হিংসা
কাদা ছোড়াছুড়ি একে অন্যের দোষ-ত্রুটি বলা অনেক কমে যেত
ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) 55 বছরের জীবনে
এই আলেমে দ্বীন প্রচারে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা আলোচনা ওয়াজ
করার উত্তম আখলাক ও মুসলিম মহাকল্যাণ চিন্তা যেকোনো পরিস্থিতিতে হককে গ্রহণ করার শিক্ষা
আমাদের দিয়ে গেছেন তার প্রচার-প্রচারণা হওয়া বড্ড জরুলি
ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)পরপর দুবার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন!সম্পাদনা
অধ্যায়নকালে
বর্তমান সৌদি বাদশা ও তৎকালীন রিয়াদের গভর্নর প্রিন্স সালমান বিন আব্দুল আজিজ এর হাত
থেকে পরপর দুবার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ
তিনি বিয়াতে
অধ্যায়নকালে শেষ সময়ে তিনি উত্তর রিয়াদ ইসলামী সেন্টারে যায় সৌদি আরবে বসবাসকারী
মার্কিন সৈন্য ও ইংরেজী ভাষাভাষী দের মধ্যে দাওয়াতি কাজে দূর্ভাষী হিসেবে প্রায় তিন
বছর কর্মরত ছিলেন,
এছাড়া তিনি রিয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুবাদক হিসেবে কাজ করেছিলেন মাস্টার্সে পড়াকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) কুরআনুল কারীমের 18 পারা মুখস্ত করা নির্ধারিত ছিল তিনি 18 পারা মুখস্ত করেন
আর বাকি পাড়াগুলো
বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং এম্বাসিতে যাওয়া-আসার পথে প্রায় চল্লিশ বছর বয়সে মুখস্ত
সম্পন্ন করেন এবং দেশে এসে পুরোপুরি ইয়াদ করেন
ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ) সবসময় চাইতেন কিভাবে মানুষকে শিরক থেকে দূরে রাখা যায়’ তিনি জীবনের শেষদিন পর্যন্ত শিরক মুক্ত করার লড়াই চালিয়ে গিয়েছে |
https://worlda-znewsbangla.blogspot.com{-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ | worlda-znewsbangla | আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -worlda-znewsbangla.blogspot.com}