তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন কোথায় আছে|তার ছেলে আত্মহত্যা করেছে
ডঃ ফখরুদ্দীন আহাম্মেদ”সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা |
হঠাৎ করে দেশের ক্ষমতার মসনতে
বসে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম
দিয়েছিলেন ডঃ ফখরুদ্দীন আহাম্মেদ”সেনা
সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালীন দুর্দান্ত পতাতে দেশ চালিয়েছেন দুই
বছর,তার আমলে গ্রেফতার হন দেশের দুই
প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ
ও বিএনপি'র শীর্ষ
নেতা শেখ হাসিনা ও খালেদা
জিয়া”দুই দলের প্রভাবশালী নেতাদের
একে একে কারাগারে রেখে|
ফখরুদ্দীন
আহাম্মেদ কোথায় আছেন কেমনআছেন জানার
আগ্রহ সবার!
শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার ক হয়, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার হয় 23 সেপ্টেম্বর |
এর মধ্যে এক বারও
দেশে আসেননি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি একবার সৌদি আরবে একবার হজ্ব করতে গিয়ে ছিলেন এর
আগে অবশ্যই তাকে ভারতের কলকাতা দেখা গেছে,2009 সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়
আসার পর বেশ কিছুদিন
সরকারের বিশেষ নিরাপত্তায় তিনি দেশে ছিলেন|111
কর্মকাণ্ডের কিছু বিষয় খতিয়ে দেখতে গঠিত সংসদীয় কমিটির জেরার জন্য তলব করছে মর্মে
খবর প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই ফখরুদ্দীন সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান”
ফকরুদ্দিন আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের 2টি বাড়ির মালিক!
আগে থেকেই ফকরুদ্দিন
আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড ইনস্টিটিউট বটমিতে 2টি বাড়ির মালিক একই বাড়িতে
এখন তিনি ও তার স্ত্রী নিনা আহমেদ, সেখানে অবসর জীবনযাপন করছেন অন্য বাড়িতে থাকে তার
মেয়ের পরিবার বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে এখনো তিনি পেনশন ভোগ করছেন”
খন্ডকালীন শিক্ষক
নিয়োগ ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্টার্টেজ বিষয়ে গবেষণা ও শিক্ষকতা
করছেন ডঃ ফখরুদ্দীন আহমে` যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন স্টেজ কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে জানা
গেছে মাঝেমধ্যে সেখানকার সামাজিক অনুষ্ঠানে ফকরুদ্দিন আহমেদ কে দেখা যায়’
তার ওপেন হার্ট
সার্জারি হয়েছে কিছুদিন আগে!
তবে সেটা খুবই
কম কিছুদিন আগে ও তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে কিছুদিন আগেও ভয়েজ অব আমেরিকা সাংবাদিক
সরকার কবিরের ছেলে জানাযায় ফকরুদ্দিনকে অংশ নিতে দেখেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা’অবশ্য
সেখানে বেশ একজন খোব প্রকাশ করলে জানাজা শেষে দ্রুত তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যান|
তা ছাড়া বন্ধুবান্ধব ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ফকরুদ্দিনকে প্রায়ই দেখা যায় বিশেষ করে কত বছর বয়সে, বিশেষ করে গত বছর ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের আয়োজিত একটি বইমেলায় তাকে দেখা গেছে ফকরুদ্দিনের কর্পোরেট অফি বিভাগে চাকরি রত আছে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে’কয়েক বছর আগে তাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে তার আরেক ছেলে আত্মহত্যা করেছেন|
1940 সালে জন্মগ্রহণ করেন ফখরুদ্দিন আহমেদ!
কে এই ফখরুদ্দিন
আহমেদ 1940 সালে পহেলা মে মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ডিফোর ইউনিয়নের রাবনগর কান্দী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফখরুদ্দিন আহমেদ,
তার বাবার নাম ডক্টর মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফখরুদ্দিন আহমেদ অর্থনীতিবিষয়ক
1960 সালে স্নাতক এবং 1961 সালে স্নাতকর উভয়টিতে
প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন|
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের
ম্যাসাচুসেটস উইলিয়ামস কলেজ থেকে উন্নয়ন অর্থনীতি মাস্টার্স এবং প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে অর্থনীতিতে ডক্টরএত সম্পন্ন করেন শিক্ষাজীবনে সম্পন্নের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে
কিছুদিন শিক্ষকতা করেন’এরপর তিনি তৎকালীন পাকিস্তানের কর্মকমিশনের যোগ দেন বাংলাদেশের
স্বাধীনতার পর 1978 সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ কর্ম কমিশনে চাকরি করেন’
সে বছরই ফখরুদ্দিন
আহমেদ বিশ্ব ব্যাংকের যোগদান
2001
সালের 19 নভেম্বর বিশ্বব্যাংকের তারপদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশী কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদে ব্যাংকের গভর্নর
হিসেবে যোগদান করেন|2005 সালের
30 এপ্রিল গভর্নর হিসেবে তার
মেয়াদ শেষ হওয়ার পর
তিনি পল্লী কর্ম-সহায়ক
ফাউন্ডেশনে কর্মরত ছিলেন
ইয়াজউদ্দিন
আহমেদ দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন!
জাতীয় নির্বাচনকে
ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিশৃঙ্খলার পরিপ্রেক্ষিতে
2007 সালের 12 ই জানুয়ারি তৎকালীন
রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ দেশে জরুরি অবস্থা
ঘোষণা করেন’একই সাথে একটি সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক
সরকার গঠিত হয় যার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ফখরুদ্দিন আহমেদ নিয়োগ করা হয়|
জানা গেছে গভীর
রাতে ফখরুদ্দিনকে ফোন করে ঘুম থেকে এবং জাগানো হয় প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার আমন্ত্রণ
পেয়ে স্ত্রী সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় চান আধা ঘন্টা পিত্তি ফোনে সম্মতি জানান তিনি’ফখরুদ্দিন
আহমেদ ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয়ে ইতোপূর্বেই রাষ্ট্রপতিকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত
তত্তাবোধক সরকার বিলুপ্ত হয়|
ফখরুদ্দিন আহমেদ
দায়িত্ব গ্রহণের পর রাজনৈতিক অবদান রাখে!
তিনি দুই বছর
কেয়ারটেকার ছিলেন ফখরুদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পর তৎকালীন জাতীয় জীবনে রাজনৈতিক
ও সামাজিক অস্থিরতা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য বেশ প্রশংসিত হন’সে সময় বিশ্বের
সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের তত্তাবোধক সরকার ফখরুদ্দিন মাহমেদ
দুর্নীতি বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার কাজ হাতে নেন|
সে সময় দেশের
প্রায় 160 জন রাজনীতি সরকারি কর্মকর্তা নিরাপত্তা কর্মকর্তা নামের অর্থ আত্মসাৎ ও
অন্যান্য দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করা হয়, 2007 সালের 11 জানুয়ারি সেনাবাহিনীর
হস্তক্ষেপের সংগঠিত রাজনৈতিক পরিবর্তন 111 নামে প্রচার লাভ করে, সেনাবাহিনীর সমর্থন
ওই সময় গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হয়েছিলেন ফখরুদ্দীন আহমদ তবে ক্ষমতার মূল
কেন্দ্র ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান মইনইউ আহমেদ|
কথা ছিল তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের নেতৃত্বাধীন দ্রুততম জাতীয় নির্বাচন দেবে!
কথা ছিল ফখরুদ্দীন
আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দ্রুততম সময়ে দেশবাসীকে একটি গ্রহণযোগ্য
জাতীয় নির্বাচন উপহার দেবে’ কিন্তু তারা উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়ন
করে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে দেশ রাজনীতি থেকে বিদায় চেষ্টার অভিযোগ ওঠে|
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ ওজরুরি অবস্থা জারির ছয় মাসের মধ্যে 2007 সালের 16 জুলাই ভোররাতে
শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয় 23 সেপ্টেম্বর আন্দোলন
সংগ্রামের মাধ্যমে মুগ্ধ হন শেখ হাসিনা ওবেগম খালেদা জিয়া|
একটি সাধারণ নির্বাচনের
বিষয়ে সেনা-সমর্থিত সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে অবশেষে 2008 সালের 29 ডিসেম্বর সব দলের
অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়’এবং এতে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশ আসনের জয়ী
হয়ে সরকার গঠন করলে ফখরুদ্দিন আহমেদ গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হয়”
ফেসবুকে অনেক
লেখালেখি হচ্ছে ইদানিং!
ফখরুদ্দীন আহমেদের
নিয়ে ফেসবুকে অনেক লেখালেখি হচ্ছে ইদানিং তিনি নাকি জাতীয় বেইমান অনেকেই বলছেন আবার
অনেকে বলছে আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল আমার শাসন কাল চোখে দেখার’উনি আসলেই জাতীয় বেঈমান’
কারণ সাধারণ মানুষ
নির্বাচন করতে পারতো কারণ এই লোকটার আমলেই মানুষ যে কোন ধরনের সমস্যা পুলিশের সেবা
নিতে পারতো কোন প্রকার ঘুষ দিতে হতো না|তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোন সরকিরি অফিসের
কাজের জন্য এক টাকা ঘুষ দিতে হয়নি এই লোকটার আমলে মেয়েরা নিরাপদ নির্ভয় চলাচল করতে
পারতো,
এমন কোন মেয়ে
যদি রাত দশটার পরে ও রাস্তা দিয়ে চলাচল করত কোন মানুষকে রুপি জানোয়ার ছিলো না এই
লোকটার আমলে বাংলাদেশের ইতিহাসে রেপ সর্বনিম্ন পর্যায়ে ছিল,
এই লোকটার আমলে চাকরিনিতে কোন ঘুষ দিতে হয়নি কোন মারামারি হানাহানি কোন ধর্মীয় সংখ্যালঘুর কোনো কথা ছিল না সবাই সমান অধিকার ভোগ করত,এই লোকটার আমলে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া হত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কোন মারামারি ছিলনা’
কোন লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্টকারী কোন ছাত্র নেতা ছিল না কোন গাড়ির মালিক এবং ড্রাইভার বলতে পারবেনা যে গাড়ি চালাতে গিয়ে তাদেরকে কখনো একটাকা চাঁদা দিতে হয়েছে,এয়ারপোর্টে কাউকে হয়রানির শিকার হতে হতো না সময় সে নিশ্চিন্তে মানুষ ঘুমাতে পারতো গুম হয়ে যাওয়ার ভয় থাকতো না|আসলে সত্য বলতে কি বাংলাদেশের যে হক কথা বলবে তাকে দমন করার চেষ্টা করে
{-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}