ব্ল্যাকহোল টেলিস্কোপ মাধ্যমে প্রথম ব্ল্যাকহোলের ছবি তোলা হয়

ব্ল্যাকহোল টেলিস্কোপ মাধ্যমে প্রথম ব্ল্যাকহোলের ছবি তোলা হয়

ব্ল্যাকহোল
ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে কিন্তু 15 বছর আগে আল-কোরআনে এসম্পর্কে বলা হয়েছে

ক্লিক হেয়ার

মহাজাগতিক বস্তুর মধ্যে অন্যতম রহস্যময় এক বিষয় ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহবর আমাদের সাধারণ বিচারবুদ্ধি দিয়ে ব্ল্যাকহোল অনুধাবন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, কোন কিছুর অস্তিত্ব মানুষ কখনো  সরাসরি প্রত্যাখ্যা করেনি মহাজাগতিক স্থান সময় এর নিহত পরিবর্তনের ফলে বলতে চাচ্ছে সম্পূর্ণ সৃষ্টি জগত,ব্ল্যাকহোল মহাকাশের এমন এক  অদ্ভুত বিস্ময়কর উপাদান বাংলা একে বলা হয় কৃষ্ণগহবর বা কৃষ্ণবিবর ব্ল্যাক হোল মহাকাশের এমনএক অঞ্চল যেখানে মহাকর্ষ বল অত্যন্ত প্রবল|

মহাবিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম সত্তা আলো!

এই টেলিস্কোপ  নাম দেওয়া হয়েছে ইভেন্ট হরাইজন

আমরা সবাই জানি মহাবিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম সত্তা আলো আমরা জানি পর্যন্ত ব্ল্যাকহোলের  চিহ্ন করতে পারে না,এর ফলে ব্ল্যাকহোল থেকে কোন আলো আমাদের চোখে এসে পৌঁছানো সম্ভব না তাই ব্ল্যাকহোল কখনো দেখা সম্ভব না তবে  ব্ল্যাকহোলের নামে যা দেখা যেতে পারে. তাহলেও এর চারদিকে সীমানা ব্ল্যাকহোলের সীমানাকে বলা হয় ইভেন্ট হরাইজন ঘটনাটি দিগন্ত,

কোন বস্তু এই সীমানা অতিক্রম করার সাথে সাথে তার ব্ল্যাকহোলের অতল গহবরে হারিয়ে যায় ঘটনা দিগন্তের মধ্যবর্তী স্থান থেকে কোন বস্তুর কখনো ফিরে আসতে পারেনা, বিংক শতক পর্যন্ত ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব সম্পর্কে মানুষের তেমন  কোনো ধারনাই ছিল না|

তৎকালীন জ্যোতির্বিদ্যার কন্সটেলেশন সিগন্যাল ব্ল্যাকহোল আবিষ্কার করেন!

1916 সালে জার্মান পদার্থবিদ কার্লসবার্ড আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব ব্যবহার করে হিসেব করেন যেকোনো বল ব্ল্যাকহোলের পরিণত হতে পারে যদি থাকে যথেষ্ট সংকুচিত করা যায়,

এই তথ্যের মাধ্যমে ব্ল্যাকহোলের ধারণা মানুষের সামনে আসে দীর্ঘদিন এই আলোচনার শুধু তত্ত্বের মাধ্যমে ছিল 1971 সালের এই তত্ত্বের বাস্তব উদাহরন আমাদের সামনে হাজির হয়| তৎকালীন জ্যোতির্বিদ্যার কন্সটেলেশন সিগন্যাল বা বক মণ্ডল পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে  ব্ল্যাকহোল আবিষ্কার করেন|

মহাবিশ্বের এত বিপুল ব্ল্যাকহোল ছড়িয়ে আছে যা বিজ্ঞানীদের ধারণারও বাইরে বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের ব্ল্যাকহোলের ধারণা প্রদান করেছেন, স্ট্রালার এবং সুপার্মাসিভ ব্লাক হোল এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত যখন অতিবৃহৎ তার মৃত্যু ঘটে তখন স্টেলার ব্ল্যাকহোল জন্ম নেয়|এরা সাধারণত আমাদের সূর্যের 10 থেকে 20 পর্যন্ত বড় হতে পারে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এরকম বহু কৃষ্ণবিবর বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে রয়েছে,

আকাশগঙ্গা ছায়াপথের দশ লক্ষেরও বেশি!

শুধুমাত্র মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির বা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের দশ লক্ষেরও বেশি স্ট্রালার ব্ল্যাকহোল রয়েছে এর পরেই রয়েছে সুপার্মাসিভ ব্ল্যাকহোলের এর নাম থেকেই প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়|এরা আকারে অতিবৃহৎ একেকটি সুপার্মাসিভ ব্লাক হোল আমাদের সূর্যের চেয়ে কয়েক বিলিয়ন গুন বড় হতে পারে বিজ্ঞানীরা এদের সম্পর্কে শুধু ধারণা করতে পারে’

এদের সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান মানুষের  নেই’ তবে প্রত্যেকটা ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি সুপার্মাসিভ ব্লাক হোল রয়েছে| এমনকি আমরা যে ছায়াপথের বাসিন্দা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রীয় সুপার্মাসিভ ব্লাক হোলের অস্তিত্ব আছে, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা সুপার্মাসিভ ব্লাক হলের নাম সাগিটারিয়াস এ ধারণা করাহয় এই কৃষ্ণগহ্বরের পর আমাদের সূর্যের চেয়ে প্রায় 40 লক্ষ গুণ বেশি,

আমাদের পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের সমান সবচেয়ে ব্লাক হলের আশ্চর্য ব্যাপার হলো এগুলো সবই অদৃশ্য’এখনো পর্যন্ত যত সব চিত্র দেখানো হয়েছে তার সবই বিজ্ঞানীদের কল্পনা আর শিল্পীদের বিশেষ দক্ষতা তৈরি করা অতিকায় এই মহাজাগতিক বস্তু চোখে দেখা না গেলেও এর অস্তিত্ব অস্বীকার করার কোনো  পথ নেই,

কারণ ব্ল্যাকহোলের এমন পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ধরনের মহাজাগতিক বস্তু থেকে এখনো পর্যন্ত এদের অস্তিত্বের সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়’কৃষ্ণবিবরের প্রতিবেশী মহাজাগতিক বস্তুর উপর তাপের প্রভাব পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহ করে’

এমন একটি আলামত হলো  আসিক্রেশন ডিস্ক আসিক্রেশন ডিস্ক হলো বিভিন্ন ধরনের নাক্ষত্রিক ধ্বংসাবশেষ যা ব্ল্যাকহোলের এই অতি অংশ চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে অতি বৃহৎ এক ধরনের বলয় তৈরি করে ফেলে’

100 বছরের ব্ল্যাকহোল নিয়ে গবেষণা  হলেও এর  ছবি বিজ্ঞানীদের কাছে ছিলনা!

এরা হলো সেইসব গ্যাস এবং মহাজাগতিক বর্জ্য যা অল্পের জন্য ব্ল্যাকহোল গ্রাস করে নিতে পারেনি এরা   ব্ল্যাকহোলের ভেতরেও যায়নি আবার ব্ল্যাকহোলের তান অস্বীকার করতে পারেনি, সুপার্মাসিভ ব্লাক হলেস আর  একটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হলো কুয়েশার কুয়েশারকে আপাত নক্ষত্র বলা হয়,

এরা অতি উজ্জ্বল তড়িৎচুম্বকীয় শক্তি এদের উজ্জ্বলতা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের সময় কয়েক হাজার উজ্জ্বলতার চেয়েও অনেক বেশি,100 বছরের বেশি সময় ধরে ব্ল্যাকহোল নিয়ে গবেষণা করা হলেও এর প্রকৃত কোন ছবি বিজ্ঞানীদের কাছে ছিলনা 2019 সালের 10 এপ্রিল মহাকাশ গবেষণার এক অবিস্মরণীয় দিন’

কারণ ওদিন প্রথমবারের মতো কোনো কৃষ্ণনগরের ছবি তোলা সম্ভব হয় এই সুপার্মাসিভ ব্লাক হোলটি অতি বৃহৎ ছায়াপথের Messier 87কেন্দ্রে অবস্থিত, এর অতি উজ্জ্বল আলো আমাদের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন এবং এর অন্ধকার অংশ আমাদের থেকে ক্রমশ  দূরে সরে যাচ্ছেন| 

এই আলোক উজ্জ্বল  অংশে রয়েছে বিশেষ ধরনের আয়নিক গ্যাস যাকে বলে প্লাজমা একে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা হিসেবে  বর্ণনা করা হয়, এই সুপার্মাসিভ ব্লাকহোল অত্যন্ত সক্রিয় অর্থাৎ এই ব্লাক হোল তার আসিক্রেশন ডিস্ক অঞ্চল থেকে প্রতিনিয়ত  বিভিন্ন মহাজাগতিক বস্তু গ্রাস করে নিচ্ছে’

প্রায় 200 জন বিজ্ঞানীর 20 বছরের নিরলস পরিশ্রমের ফসল এই ছবি!

এর কোয়েসার কমপক্ষে পাঁচ হাজার আলোকবর্ষ পর্যন্ত বিস্তৃত এর একটা পাস সরাসরি আমাদের দিকে তাক করে আছে সেজন্য আমরা এর আলোর গতি পথ দেখতে পারছিনা, প্রায় 200 জন বিজ্ঞানীর 20 বছরের নিরলস পরিশ্রমের ফসল এই ছবি,অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এত চেষ্টা পরেও ব্ল্যাকহোলের এই  ছবি অস্পষ্ট কেন এর প্রধান কারণ হলো অতি বৃহৎ এই ব্ল্যাকহোল আমাদের থেকে  বহু দূরে অবস্থিত,

2বছর 200 সাইন্টিস্ট 12000 সিমুলেশন 60টি  ইনস্টিটিউট এবং ইন্টারন্যাশনাল টেলিস্কোপ মাধ্যমে তোলা হয় প্রথম ব্ল্যাকহোলের ছবি.এই ছবিটির সাইজ এতটাই বড় যা আপনাকে অবাক করে দিবে এই পুরো প্রজেক্টটা শেষ হতে খরচ হয়েছে 505 কোটি টাকার,বিজ্ঞান যদিও সম্প্রতিক জানতে পারল ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে কিন্তু 15 বছর আগে আল-কোরআনে এসম্পর্কে বলা হয়েছে|

এর রত আমাদের সূর্যের চেয়ে সাড়ে ছয় বিলিয়ন গুণ বেশি এবং ব্ল্যাকহোলটি অন্ধকার অংশ আমাদের সম্পূর্ণ  সৌরজগতের সমান|ব্ল্যাকহোলটি এত বড় আকৃতির বস্তু হলেও এর অবস্থান আমাদের থেকে প্রায় সাড়ে 5 কোটি আলোকবর্ষ দূরে,

প্রায় 400 বছর আগে বিজ্ঞানী গ্যালিলিও সর্বপ্রথম টেলিস্কোপ আবিষ্কার!

আর সে কারণেই কৃষ্ণবিবরের প্রথম এই ছবিতে  একে এত ছোট আরও অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এমনকি এই অস্পষ্ট  ছবি দেখার জন্য আমাদের পৃথিবীর সমান একটি টেলিস্কোপ এর দরকার ছিল,

মানুষের পক্ষে যেহেতু পৃথিবীর সমান বড় টেলিস্কোপ বানানো সম্ভব নয় তাই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা 8টি টেলিস্কোপ সাহায্যে পৃথিবীর সমান এই টেলিস্কোপ তার ছদ্মবেশ ধারণ করেছে, এই টেলিস্কোপ  নাম দেওয়া হয়েছে ইভেন্ট হরাইজন  টেলিস্কোপ এবং টেলিস্কোপ গুলো এমন যে প্রতিনিয়ত নিজেদের সংশ্লিষ্ট সকল তথ্য জোড়া দিয়ে এই ছবি তুলতে সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়,

ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ এর সাহায্যে মেশিয়ের 87 ব্ল্যাকহোল ছাড়াও আমাদের নিজেদের ছায়াপথের ব্ল্যাকহোল পর্যবেক্ষণ  করা হয়েছে, কিন্তু  নানান জটিলতার কারণে আমাদের নিজস্ব ছায়াপথের ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলা এখনো সম্ভব হয়নি সেজন্য বিজ্ঞানীদের অপেক্ষা করতে হবে আরও বেশকিছু সময়,

প্রায় 400 বছর আগে বিজ্ঞানী গ্যালিলিও সর্বপ্রথম টেলিস্কোপ আবিষ্কার মাধ্যমে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ এক নতুন যুগের  সূচনা করেছিলেন, তারপর থেকে জ্যোতির্বিদ্যার অগ্রগতি হলেও মহাকাশের অতি সামান্য রহস্য আমরা উদঘাটন করতে পেরেছি,অসীম এই অজানাকে জানার যাত্রায় যে কয়েকটি যন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে হাবল টেলিস্কোপ তারমধ্যে অন্যতম  

 {-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন