2040 সালের মধ্যে পৃথিবীর পানি শুকিয়ে যাবে|1% শতাংশ মিঠা পানির
কিছু অঞ্চলে জমে বরফ হয়ে আর কোথাও বা বাতাসের জলীয় বাষ্প আঁধারে আছে |
আমাদের
পৃথিবীর একটি নীল গ্রহ এই গ্রহে পানির
কোন অভাব নেই পৃথিবীতে 326 মিলিয়ন
বিলিয়ন ক্যানন প্রাণী আছে
326 এরপরে
000.000.000.000.000.000 টি
0 এত
বড় সংখ্যাঃ লক্ষ বা কুটিতে গণনা করা সম্ভব না, এই বিপুল
পরিমান পানি পৃথিবীর বিভিন্ন
সাগরের তরল আকারে কিছু
অঞ্চলে জমে বরফ হয়ে
আর কোথাও বা বাতাসের
জলীয় বাষ্প আঁধারে আছে|
পানির 97 শতাংশই লবণাক্ত বাকি দুই শতাংশ মিঠাপানি!
কমপক্ষে 10 কিলোমিটারের মধ্যে মিঠা পানির ব্যবস্থা আছে |
পৃথিবীর পানির
শেষ হয়ে যাচ্ছে একবার
মানে
100 ভাগের এক ভাগ মিঠা
পানি শেষ হয়ে যাচ্ছে
এই একবার মিঠাপানির বেশিরভাগই রয়েছে মাটির নিচে
তাউত্তোলন করা সহজ নয়’
তাই অতীতকাল থেকে মানুষের সেইসব
অঞ্চলে বসতি গড়ে তুলেছেন
যেসব অঞ্চলের মাটির উপরে পানি পাওয়া
যায় যেমন নদী বা রত বর্তমানে পৃথিবীর
90% লোক এমন সব এলাকায়
বাস করেন যার কমপক্ষে 10 কিলোমিটারের মধ্যে মিঠা পানির
ব্যবস্থা আছে|
100 বছরে
পানির ব্যবহার বেড়েছে 7 গুন!
দশ বছরে 29 ট্রিলিয়ন গ্যালন ভূগর্ভস্ত পানির মজুদ কমে গেছে |
মাটির
নিচে যে পানি থাকে
তাকে বলা হয় একুইফারস
বা ভূগর্ভস্ত জলস্তর মাটির নিচ
থেকে ইচ্ছামতো পানি অনেক ধরনের
ক্ষতিকর দিক আছে, এর
ফলে কোন অঞ্চলের মাটিতে
ঢেবে যেতে পারে প্রচুর পানি উত্তোলনের
কারণে মেক্সিকো সিটির কোন কোন
জায়গা প্রতিবছর 9লঞ্চে করে ঢেবে
যাচ্ছে’
ভারতের
উত্তরাঞ্চলে মাত্র দশ বছরে
29 ট্রিলিয়ন গ্যালন ভূগর্ভস্ত পানির মজুদ কমে গেছে
পৃথিবীর সকল অঞ্চলের পানির ব্যবহারের
কারণে আর কিছুদিনের মধ্যেই
ভূগর্ভস্ত পানির শেষ হয়ে যাবে’
সেই সাথে বৃষ্টি এবং তুষারপাত কমে গেছে আশঙ্কাজনক
হারে এর ফলে বিশ্বের
সকল অঞ্চলের নদী এবং রত
শুকিয়ে যাচ্ছে,
প্রতি
10 জনের 7জনের বাড়িতে পানির লাইনের সংযোগ
আছে!
জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অনেক এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে শুষ্ক মৌসুম বর্তমানে পৃথিবীর প্রতি 10 জনের 7জনের বাড়িতে পানির লাইনের সংযোগ আছে’ এত সহজে পানি পাওয়ার ফলে আমরা ভুলে গেছি টেব ছেড়ে পানি পাওয়ার জন্য মানব সমাজকে অপেক্ষা করতে হয়েছে হাজার হাজার বছর|
অতীতের
সকল সভ্যতা গড়ে উঠেছিল
পানির উৎস কে কেন্দ্র করে
অতীতে এবং বর্তমানের বহু
বসতি বিলীন হয়ে গেছে শুধু পানির অভাবে পানির জন্য বিভিন্ন অঞ্চলের
ইতিমধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত তৈরি হয়েছে’
সুদানের দারফুরে যুদ্ধের লগার অন্যতম কারণ ছিল পানি সিরিয়ার
গৃহযুদ্ধে ও 2006 সালে খরার অনেক
প্রভাব ছিল|
ধারণা
করা হচ্ছে 2040 সালের মধ্যে পৃথিবীর মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য
পর্যাপ্ত পানি থাকে না বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান সেক্স ভবিষ্যৎবাণী করেছে একবিংশ
শতাব্দীতে পানি পেট্রোলিয়াম এর চেয়ে দামী হয়ে উঠতে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এখন
থেকে বিপুল পরিমাণ পানির মজুদ করতে শুরু করেছে ভবিষ্যতে অধিক দামে বিক্রির আশায়,
পৃথিবীর বৃহত্তম
শহর গুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপডাউনের সবার আগে পানি ফুরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা
ছিল 2018 সালের 9 জুলাই এর পর শহরটির বাসাবাড়িতে চিরতরে পানি সরবরাহ বন্ধ হবার কথা
ছিল পানি ফুরিয়ে যাওয়ার এই দিনটিকে বলা হচ্ছিল Day Zero’
বিষয়টি আলোচনায়
আসে Day Zero মাত্র 92 দিন আগে’ এরপর থেকে কেপডাউনের প্রত্যেকেই সচেতনভাবে পানি খরচ
করেছেন 2014 সাল থেকে 2018 সালের মধ্যে কেপডাউনের বাসিন্দা তাদের পানির ব্যবহার অর্ধেকের
বেশি কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে|
বড় শহরের অচিরেই
পানির সংকট তীব্র হবে!
শুধু কেপডাউনের
নয় লন্ডন টকিও ইস্তাম্বুল মেলবন সাওপাওলো বার্সেলোনার কাজাকাস্তান ঢাকা মেক্সিকো সিটির
মতো বড় শহরের অচিরেই পানির সংকট তীব্র হবে, এমনকি সকল শহরে একদিন ফুরিয়ে যাবে এখন
দেখার বিষয় হচ্ছে কার পানি আগে ফুরিয়ে যায়’
পানির সংকট যদি
এখানে শেষ হতো তাতেও সমস্যা ছিলনা আসল সমস্যা হল আমরা পৃথিবীর মাত্র একবার পানি কিভাবে
ব্যবহার করছি মানুষের প্রতিদিন প্রায় 4 লিটার পানি পান করা উচিত|
এছাড়া তাপমাত্রার
দাঁত মাজা গোসল করা হাত ধোয়া খাবার রান্নাকরা থালা বাসন মাজা খাবার জনপ্রতি আরো
50 লিটার বেশি পানি খরচ হয়’ একবার টয়লেট প্লাস করলে 5 থেকে 8 লিটার পানি চলে যায়
পৃথিবীর মানুষের বাৎসরিক পানির ব্যবহার এর মধ্যে দৈনন্দিন কাজে খরচ হয় মাত্র 8 শতাংশ
পানি|
বেশির ভাগ পানি
কৃষি এবং শিল্প কারখানায় কাজ ব্যবহার হয়!
বেশির ভাগ পানি
ব্যবহার হয় কৃষি এবং শিল্প কারখানায় কাজ করতে পৃথিবীর কত শতাংশ এবং শিল্প-কারখানায়
22 শতাংশ পানি ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন দেশের সবচেয়ে সবচেয়ে
খরচ হয় মাত্র
8 শতাংশ পানি বেশির ভাগ পানি ব্যবহার হয় কৃষি এবং শিল্প কারখানায় সেজ কাজ করতে পৃথিবীর
70 শতাংশ এবং শিল্প কারখানায় 22 শতাংশ পানি ব্যবহৃত হয়’ বিভিন্ন দেশ তাদের সবচেয়ে
শুষ্ক অঞ্চলে এমন সব কৃষিপণ্য চাষ করে যেগুলোতে পানির চাহিদা অনেক বেশি’
বিশ্বের বেশির
ভাগ কৃষি জমিতে চাষ করা হয় খুবই অদক্ষ উপায়ে পানির লাইন চালু করে খেত পানিতে তলিয়ে
দেওয়া হয়, পানির যদি আমরা মূল্য দিতে জানতাম তাহলে এভাবে পানির অপচয় করা হতো না
এবার তাকায় শিল্প কারখানা দিকে|
600ml কোকাকোলা
তৈরি করতে বিভিন্নধাপে 28 লিটার পানি খরচ হয় আর এর ভৌতল তৈরি করতে লাগে 7 লিটার পানি
এক কাপ কফি তৈরি
করতে পানি লাগে 130 লিটার পানি!
এক কাপ কফি তৈরি
করতে পানি লাগে 130 লিটার, আপনি হয়তো ভাবতে পারেন এক কাপ কফি বানাতে তো এক কাপ পানি
দরকার, কিন্তু না সেই কফি জমিতে চাষ হওয়া থেকে শুরু করে ফ্যাক্টরিতে প্রক্রিয়াজাত
হওয়া পর্যন্ত হিসাব করলে পরিমাণটা তেমনি ধারায়|
একটি টি শার্ট
তৈরি করতে ফ্যাক্টরিতে দুই হাজার 500 লিটার পানি খরচ হয় এরকমভাবে প্রতিটি শিল্প কারখানাতে বিপুল পরিমাণ পানির ব্যবহার হয়’ আমাদের
ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে শিল্পোৎপাদন বেড়েই চলেছে আমরা যেহেতু প্রয়োজনের তুলনায়
অধিক করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি তাই এর চরম মূল্য আমাদের দিতেই হবে|
সকল দেশের পানির
মজুদ এবং মূল্য সমান নয় মাথাপিছু পানির পরিমাণ ভিত্তিতে পৃথিবীর সবচেয়ে দরিদ্র দেশ
কুয়েত সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ কানাডা, কুয়েত চেয়ে দ্বিগুণ বা দশগুণ বেশি নয় 10 হাজার
গুণ বেশি পানি আছে’অনেক দেশে মিঠা পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য
গত 10 বছরে সমুদ্রের জল লবণ মুক্ত জন্য প্রক্রিয়া দ্বিগুণ হয়েছে’কিন্তু একভাগও সম্ভব হয়নি!
গত 10 বছরে সমুদ্রের
জল ডিসালিজেসং লবণ মুক্ত করার জন্য প্রক্রিয়া দ্বিগুণ হয়েছে’কিন্তু আমরা যে পরিমাণ
পানি ব্যবহার করি তার একভাগও এই প্রক্রিয়ায় উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি সমুদ্রের পানি
লবনাক্ত করতে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি এবং অর্থ
খরচ হয়’যা কিছুতেই প্রাকৃতিক মিঠা পানির বিকল্প হতে পারে না’
আমাদের বাড়িতে
আজকে পানি আছে বলে আমরা এর মূল্য উপলব্ধি করতে পারছি না অনেক বাসাবাড়িতে পানির ট্যাংক
পড়ার পরে পানি উপচে পড়ে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ লিটার পানি অপচয় হচ্ছে’ শুধু বাংলাদেশ
বা ভারত নয় পৃথিবীর সকল দেশের পানির লাইনে অনেক লিক আছে এইসব পানির যেন কোনো মূল্যই
নেই|
চিন্তা করুন তো
আপনার বাড়িতে যদি মাত্র একদিন পানি না থাকে পানি কতটা মূল্যবান তা উপলব্ধি করতে হবে
এবং পানি শেষ হয়ে যাওয়ার আগের ত্রর পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে,
আমরা অনেকেই হয়তো
ভাবছি পানিপুরি এ গেলে আমার কি’আমি বেঁচে থাকতে পানি শেষ হবে না সে ধারনাও ভুল বর্তমান
পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ তাদের জীবন দশায় পানির চরম সংকট দেখার সম্ভাবনা অনেক
বেশি|
আমরা পানির কষ্ট
ভোগ না করলেও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম নিশ্চিন্তে পানির সংকট দেখবে আজকে থেকে আমরা প্রত্যেকে
সকল কাজের আগে যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করতাম তারচেয়ে কম পানি ব্যবহার করার চেষ্টা
করব,