মুখের হাসি কেড়ে নিল 11- দিনের জন্য সত্যি কি আইন প্রয়োগ হবে
অনলাইন ডেস্ক ২০ ডিসেম্বর" ২০২১ ১৭:৪৯ । খুব স্বল্প সময়ে-পড়া যাবে ২ মিনিটে
এই সেই ব্যক্তি মুখের হাসি কেড়ে নিল |
কিম জং উন 11- দিনের
জন্য
হাসি
বন্ধ
করে
দেয়
পৃথিবীতে একেক সময় একেক দেশের সরকার প্রধানরা আজব কিছু নিয়ম করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে কেমন হবে যদি দেশের শাসক জনগণের হাসি 11- দিনের জন্য হাসি বন্ধ করে দেয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন তার পিতা এবং সাবেক শাসক কিম জং ইলের 10 তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেশটিতে হাসি মদ পান এবং কেনাকাটার উপরে 11 দিনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তিনি,উত্তর কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম জং ইলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার ছেলে বর্তমান প্রেসিডেন্ট কিম জং উন 11 দিনের জন্য দেশজুড়ে হাসি নিশ্চিত করেছেন|
ভয়ঙ্কর সরকার কিং জং উন |
শুনতে অবাক হলেও এটাই সত্যি কিং জং উন এর আগেও জিন্স প্যান্ট পরা স্টাইল করে চুল কাটা এবং কান ফোটানো বিশুদ্ধ করার মত অদ্ভুত সব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন,উত্তর কোরিয়ার জনগণের জন্য পিতার দশম মৃত্যুবার্ষিকীতে শুধু 11 দিনের হাসি নিষিদ্ধ নয় বাজার করাও মদ খাও নিষিদ্ধ করেছেন-তিনি একই সঙ্গে সব ধরণের বিনোদনমূলক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন পিয়ংইয়ং কর্তৃপক্ষ আমরা চাই বাবার দশম মৃত্যুবার্ষিকী পুরো দেশের জনগণ তাঁকে স্মরণ করুন তিনি উত্তর কোরিয়াকে উন্নত করার জন্য অনেক অবদান রেখেছিলেন উত্তর কোরিয়ার জনগণ তার প্রতি সর্বদা কৃতজ্ঞ আগামী এগারো তিন কিম জং ইলের মৃত্যুর শোক পালন করবে উত্তর কোরিয়া, তাই ওই সময় কোন শেষকৃত্য করা যাবেনা জন্মদিন পালন করা যাবে না শোক পালনের এই সময়ে কোন পরিবারের সদস্য মারা গেলে উচ্চস্বরে কাদা যাবে না শোক পালন শেষ হয়ে গেলেই কেবল মৃতদেহ বের করা যাবে|
মানুষের মুখের গান কেড়ে নিল |
প্রশাসনের
পক্ষ থেকে নির্দেশ সম্বলিত
আদেশে বলা হয়েছে 11 দিনে
সব নিয়ম ভাঙলে দেশটির
বাসিন্দাদের কঠোর শাস্তির মুখে
পড়তে হবে সুখের এই
দিন গুলোতে উত্তর কোরিয়ার
সাবেক এই নেতার নানা
কর্মকাণ্ড প্রদর্শনীর মাধ্যমে দেশবাসী সামনে তুলে ধরা
হবে” কিম জং ইলের
কিন পরিবারের দ্বিতীয় শাসক দীর্ঘ 17 বছর
যাবৎ তিনি উত্তর কোরিয়ার
শাসন করেছেন 2011 সালের 17 ডিসেম্বর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত
হয়ে মৃত্যুবরণ করেন কিম
জং ইলের শাসনকালকে উত্তর
কোরিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার সময় হিসেবে বিবেচনা
করা হয়, 1994 থেকে 1998সাল পর্যন্ত দেশটিতে
দুরর্ভিক্ষের শিকার হয়েছিল প্রায়
3.5 মিলিয়ন নাগরিক যারা কিনা
রোগ এবং অনাহারে মারা গিয়েছিল?
বিভিন্ন মানবাধিকার রক্ষাকারি সংগঠনের দাবী দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি কিক অফ সোনা এবং অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার অপরাধে 2012 থেকে 2014 সালের মধ্যে অন্তত 7 জনকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেন এর মধ্যে 6 টি ঘটনা ঘটেছে হিস্তান প্রদেশে শুধু তাই নয় ওই সময় কিমের নির্দেশে প্রিয় জনদের বাধ্য করা হয়েছিল মৃত্যুদণ্ড দেখতে এবং নিকটাত্মীয়দের কেও বাধ্য করা হয়েছিল জনের মৃত্যুদণ্ড দেখতে
হাসিতে
নিষেধাজ্ঞা জারি
করেছেন উত্তর কোরিয়া
কিম জং উন কখনো তার বিরুদ্ধে
অভিযোগ উঠেছে তিনি নিজের চাচাকে হিন্সরও কুকুরের মুখে ফেলে হত্যা
করেছেন কখনো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
উঠেছে দেশের সেনা প্রধানকে গায়েব করে দিয়েছে
বলে অভিযোগ উঠেছে জনপ্রিয় ফোক গান সোনার অভিযোগে 7 জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দক্ষিণ
কোরিয়ার কিম জং উন
বিরুদ্ধে অভিযোগ
পৃথিবীতে
চমকে
দেয়
অদ্ভুত রাষ্ট্র উত্তর
কোরিয়ায়
নিউম আর বিধিনিষেধে এ পৃথিবীতে চমকে
দেয় উত্তর কোরিয়া কখনো
ভয়য়াত্ত কখনো মজার সব
নিয়মকানুন শোনা যায় অদ্ভুত
রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায় কিছুদিন
আগে উত্তর কোরীয় আলোচিত
ওয়েব সিরিজ স্কোজ গেমসের
পাইরেসির অপরাধে একজনকে গুলি
করে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন
উত্তর কোরিয়ার নিয়ন্ত্রক কিম জন উন
এছাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ উত্তর কোরিয়ার
আজব বিধি নিষেধ আছে
যা বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে রক্ষণশীল দেশগুলোতে
অনেক পোশাকে পরা নিষিদ্ধ
কারণটা কমবেশি একই ওসব পোশাক কেএ
দেশগুলো সংস্কৃতির পরিপন্থী উত্তর কোরিয়াতে অনেক
ধরনের পোশাকই নিষিদ্ধ যদিও
সবগুলো কি একই কারণে
নিষিদ্ধ করা হয়নি একই
পোশাক নিষিদ্ধ হয়েছে এক এক কারণে
তবে শুধু পোশাক নয়
আরো অনেক রকমের সাজসজ্জায় নিষিদ্ধ
দেশটিতে সেরকমই কিছু নিষিদ্ধ
কাজ করমের ও সাজ-সজ্জার কথা জেনে
নিই
পশ্চিমা
সংস্কৃতির
অংশ
আসুন
বিখ্যাত কোম্পানির টি শার্ট বিখ্যাত টি-শার্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানি
গুলো অধিকাংশ ইউরোপ-আমেরিকার তবে দেশে তৈরি
টি শার্ট পড়তে কোন বাধা নেই
আট
শার্ট জিন্স উত্তর কোরিয়ার
সর্বোচ্চ নেতা কিম জং
উনের মতে আসার দেশে
নিজস্ব সংস্কৃতির পরিপন্থী তার মতে সম্পূর্ণ
পশ্চিমা সংস্কৃতির অংশ হিসেবে এরকম
পোশাক পরা যাবে না
তাই কিম জং এরকম
পশ্চিমা ধাঁচের প্যান্ট উত্তর
কোরিয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন
অবিবাহিত
মেয়েদের
বড় চুল নিষিদ্ধ
উত্তর কোরিয়ায় বিবাহিত মেয়েরা বড় চুল রাখতে পারলেও অবিবাহিত মেয়েরা তো একদমই নিষিদ্ধ নাক ফোঁড়ানো বারণ উত্তর কোরিয়ার নাক ফোঁড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ করা নিষিদ্ধ ঠোঁট ফটো করানো ও খুব বেশি ইচ্ছে করল বড়জোর কান ফুটো করতে পারে তাও একটি বেশি নয়,
ছেঁড়া জিন্স আট শার্ট জিন্সের এর মতো ছেঁড়া জিন্স ও উত্তর কোরিয়ায় নিষিদ্ধ এই জিন্স নিষিদ্ধ করার কারণ ও একি এটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অংশ মাও সেতুং এর মতো সুট কিম জং উন ফরেন তাই দেশের আর কারো এই সুট ফরার অনুমতি নেই,
চশমার উপর ও নিষেধাজ্ঞা নেই বটে কিন্তু চশমা বাছাইয়ের সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয় খেয়াল রাখতে হয় তারও আবার কিম জং উন চশমা সঙ্গে যেন কিম জং উন চশমার কোন মিল না থাকে বিশেষ করে রঙের মিল থাকা তো নয়,
তিনি
উত্তর কোরিয়ার এই রহস্যপুরুষ নিজেকে
রহস্যের চাদরে ঢেকে রাখতে
পছন্দ করেন কেবল নিজেকে
নয় তার দেশের অনেক কিছুই আড়াল
করে রাখেন তিনি ওই
দেশে এখন কি ঘটছে
বাইরে থেকে বুঝে ওঠা
কঠিন এমনকি কিম জং
উন বেঁচে আছে কিনা মারা গেছেন সেই খবরটাও
বিশ্বকে শুনতে হয়েছে দক্ষিণ
কোরিয়া থেকে আজ আমরা
রহস্যপুরুষ কিম জং উনের
জীবনের নানা দিক নিয়ে
আলোচনা করব,
বিশ্বের
মাথা
ব্যাথার
শেষ
কিম জং উনকে নেই
কিম জং উন কখন কিভাবে
থাকেন তা নিয়ে বিশ্বের মাথা ব্যাথার শেষ
নেই এই ব্যথার কারণে আমেরিকা তার পেছনে লাগিয়ে
রেখেছে ডাকসাইটে গোয়েন্দা আর পাশের দেশ
দক্ষিণ কোরিয়ার সব সময় ধারালো
চোখ কিম জং উন উপর,
এর আগে একবার দেশটির সাদা পাহাড়ে সাদা ঘোড়া নিয়ে দেখা গিয়েছিল উনকে সাদা বরফের ঢাকা পবিত্র বিত্র পর্বতে উনের দাদা কিন ইলসুনের সমাধি রয়েছে আবার ধারণা করা হয় ওই পাহাড় চূড়াতে জন্মেছিলেন উনার বাবা,
কিম জং উন এইসব নানা কারণে পাহাড়টি উত্তর কোরিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ,
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা গেল উন সাদা ঘোড়ায় চড়ে দুলকি চালে পাহাড়ের পাথরের শরীর বেয়ে উঠছে কিছু সময় পর দেখা গেল তার সঙ্গে আরো কয়েকজন =এরপর আরো কয়েকজন পরে দেখা গেল সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী রি সোল জু একটি পাহাড়ি ছড়ায় দুজনের মন খোলা ছবিও দেখা গেছে ,
এতোটুকু ছবিকে অবলম্বন করে তৈরি হলো গুঞ্জন তিনি কেন গেলেন ঐ পাহাড়ে নিশ্চয়ই কোনো গোপন মিশন হতেও পারে কিম জং উন পরিবারের জন্য ওই সাদা পাহাড় এর অর্থ আলাদা সেই সঙ্গে সাদা ঘোড়া ও ইঙ্গিত করে কিছু একটার কিন্তু সেই কিছু একটা কি এখনো খোলা হয়নি,
গণমাধ্যমগুলো
সরকার
নিয়ন্ত্রিত
মূলত উত্তর কোরিয়ার অনেক কিছুই বিশ্বের কাছে রহস্য করাকরি আইনের কারণে দেশটির সরকার যা চায় না তা বাইরে প্রকাশ হয় না এমনকি গণমাধ্যমগুলো সরকার নিয়ন্ত্রিত উত্তর কোরিয়া বিষয় বিশ্ব থাকে অন্ধকারে,
কিম জং উন ব্যাপারেও তিনি ঠিক
কবে জন্মেছিলেন এই ইতিহাস টা
পর্যন্ত জানা নেই বাইরের
দুনিয়ার এই তথ্য জানার
জন্য ধরনা দিতে হয়
বিশ্লেষকদের কাছে রাজনীতির বিশ্লেষকদের
কেউ কেউ মনে করেন
,কিম জন্মেছিলেন 983 সালের
8 ই জানুয়ারি কেউ মনে করেন
তাঁর জন্ম হাজার 984 সালের
8 ই জানুয়ারি কবে তবে কিম জন্মে সাল ব্যবহার করে 982 সালে
কিন্তু এই তথ্যের বিশ্লেষকদের
সন্দেহ রয়েছে 1982 সালে ছিল তার
দাদা ইল সানের জন্মের
70 বছর এবং তার বাবা
জং ইল
জন্মের 40 বছর তার দাদা ও বাবার সঙ্গে
মিলিয়ে রাখার স্বার্থে তার
জন্মের সাল টি লেখা
হয় 1982 সাল?
কেবল জন্মের সাল নয় তার জীবনের অনেক কিছু নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে দুনিয়ায় খুব সম্ভবত তাঁর ও তাঁর দেশ নিয়ে বিশ্বকে বোকা বানাতে পছন্দ করেন !
তিনি কিম জং উন বিশ্বের ক্ষমতাধর দের নিয়ে যতটা খেলেছেন তার বাবা এবং তার দাদা পক্ষে যতটা সম্ভব হয়নি তার দাদা মার্কসবাদী সমাজতান্ত্রিক নেতা কিম ইল সান দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়াকে আলাদা করে নেন,
দক্ষিণ কোরিয়ার আদর্শ হয় মার্কেট পুঁজিবাদ আর উত্তর কোরিয়ার আদর্শ সমাজতন্ত্র দাদা পর বাবা কিম জং ইল 2011 সাল পর্যন্ত ছিলেন,
কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা তাঁর মৃত্যুর
পর উত্তরাধিকারী হিসেবে ক্ষমতায় বসেন
কিং জং উন তার
এই ক্ষমতা নেয়ার পেছনে
আছে এক অভিনব গল্প
বাবা কিম জং-ইলের স্ত্রী
ছিল তিনজন তার সন্তান ছিল ছয়
জন 971 সালে প্রথম স্ত্রীর ঘরে এক
ছেলের জন্ম হয়,
তারপরে স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি
হয়ে যায় তাকে নির্বাসনে
যেতে হয় মস্কোতে সেখানে
মৃত্যু হয় তার ছেলে কিম জং ম্যান থেকে যায়
বাবার সঙ্গে দ্বিতীয় স্ত্রীর
ঘরে জন্ম হয় দুই
কন্যার, জং-ইলের তৃতীয় স্ত্রী কই ইয়ং হয়ে পূর্বপুরুষ
ছিল জাপানি তিনি গান গাইতেন নাচতে তার ঘরে জন্ম হয় দুই ছেলে একজন ইনজংশন অন্যজন কিম
জং উন ইয়ং হই হয়ের ঘরে
আসি আরও এক কন্যা কিম
ইও-জং এই পুত্র-কন্যাদের
একজন কিম জং উন এখন
উত্তর কোরিয়ার শাসক আর তার
কন্যা কিম ইও-জং
কে ভাবা হয় দ্বিতীয়
ক্ষমতার কেন্দ্র উনের মৃত্যুর গুজব
টাওয়ার হওয়ার পরবর্তী নেতা
হিসেবে তার বোন কিম ইও-জং এর নাম বিশ্লেষণ মুখে মুখে ঘুরতে থাকে,
প্রথমে স্ত্রী-সন্তান অর্থাৎ
কিম জং-ইলের বড় ছেলে কিম জং
ম্যান ভাবা হতো বাবার উত্তরসূরি হিসেবে
কিন্তু 2001 সালে ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে জাপানের টোকিও যাওয়ার পথে ধরা পড়েন তিনি এতে বাবা আস্থা-হারানো
তার প্রতি তাকে ম্যাকাওয়ে নির্বাসনে পাঠানো হয় পরে মালয়েশিয়ার গুপ্ত ঘাতকদের হাতে
মৃত্যু হয় তার ধারণা করা হয় এর পেছনে হাত রয়েছে কিম জং উনের
কেন্দ্রীপূজিত
প্রকাশিত আত্মজীবনী
ভাইদের জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে
তারপর আসছে কিং জন চলে নাম কিন্তু বাবা থেকে উত্তরাধিকার হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে যাননি
কেন দিয়ে যাননি সে বিষয়ে রয়েছে নানা জনের নানা মত,
তবে কিং পরিবারের সাবেক বাবুর্চি
কেন্দ্রীপূজিত প্রকাশিত আত্মজীবনী থেকে জানা গেছে কিং জন চলের মধ্যে কিছুটা মেয়েদের
স্বভাব ছিল এ কারণে বাবা তাকে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পছন্দ করেনি পূজির মতে 2001
সালে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে ছিলেন কিম জং-উনের ভাই কিং জন চলকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল
2015 সালে লন্ডনে এরপর থেকে তিনি কোথায় আছেন কেউ বলতে পারছেন না
বাবার
প্রিয়
পাত্র
কিম জং উন
তৃতীয় পত্র কিম জং উন বাবার
প্রিয় পাত্র ছিলেন ছোটবেলা
থেকেই তখন থেকেই তার
মধ্যে আলাদা ব্যক্তিত্ব খুঁজে
পেয়েছিলেন তিনি শৈশবে বাস্কেটবল
খেলার সময় থেকেই বাবা
বুঝতে পেরেছিলেন জং উন হাঁটতে
পছন্দ করেন না ,এসব
কারণেই উনের 8 তম জন্মবার্ষিকীতে
বাবা তাকে সেনাবাহিনীর জেনারেল
একটি ইউনিফর্ম উপহার দেন তখনই
বুঝে যায় কে
হচ্ছে পরবর্তী নায়ক
তখন থেকে দেশটির সেনাবাহিনীর সমীহ করতে থাকে তাকে শিশুর উনের সামনে মাথা নত করে শ্রদ্ধা দেখাতে থাকেন জেনারেলরা এরপর থেকেই চীনের রাজনৈতিক উত্থান শুরু হবে তার শৈশবের জীবনটা ছিল আড়ালে বড় হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত তিনি কেমন ছিলেন সে নিয়েছিলো রহস্য
এমনকি তার ছোটবেলার ছবি খুঁজে পাওয়া ছিল দুষ্কর উত্তর কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায় শৈশবে কিম জং উন ছিলেন দারুন রকম মেধাবী এরপর থেকে কিম জং উন রাজনৈতিক উত্থান শুরু
কিন্তু তার সহপাঠী দাবিদার অনেকে বলছেন স্কুলে পড়াই মোটেও মেধাবী ছিলেন না উন ধারণা করা হয় ঊনিশো ছিয়ানব্বই থেকে চার বছর সুইজারল্যান্ডে পড়েছেন উন পড়ার সময় নিজের পরিচয় গোপন রেখেছেন উন সহপাঠীরা জানতো উত্তর কোরিয়ার এক কূটনীতিকের সন্তান
সুইজারল্যান্ডে লেখাপড়া করার পর বাড়ি ফেরার উন দেশে এসে 2006 সালেই কিম জং উন মিলিতারি ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন পরে তার উত্থান শুরু হয় সামরিক বাহিনীতে
উনের
পরামর্শদাতা ছিলেন তার এই
চাচাই
ও চাচী
কিম
জং ইলের মৃত্যুর 2011 সালে
এরপর ক্ষমতায় বসেন তখন অনেকেই
ধারণা করেছিলেন উনের ক্ষমতার বর্ষা প্রতিকি মূলত
দেশ চালাবেন তার চাচা ‡জsগ্ সং _¨vB সেনাবাহিনীতে
তার ছিল যথেষ্ট প্রভাব
শুরু থেকে সবচেয়ে কাছের
পরামর্শদাতা ছিলেন তার এই
চাচাই সঙ্গে ছিলেন সঙ্গে
ছিলেন
চাচী ও wKs wKDb nB উনের
বাবা বলে গিয়েছেন তারা
যেন উনাকে দেখে রাখেন
উনের কাছে যেন ক্ষমতা
থাকে সেদিকে খেয়াল রাখেন
চাচা-চাচী সেই দায়িত্ব
পালন করেছিলেন কিন্তু বছর দুয়েকের
c‡i
পরিস্থিতি পাল্টে যায় তখন
উন নিজেই বড় বড় সিদ্ধান্ত
নিতে থাকেন
কিম
জং উন চাচা ও চাচী মেরে ‡d‡jb
সামরিক বিদ্রোহের অভিযোগে তাi PvPv‡K মেরে ‡d‡jb চাচিকে I মেরে ‡d‡jb এরপর একে একে মেরে ‡d‡jb হয় সামরিক বাহিনীতে ধাকা চাকা কর্মকর্তাদের ধীরে ধীরে ক্ষমতার কেন্দ্র নিয়ে আসতে থাকেন তার কাছে
এর আগে তার বাবা ও দাদা দেশ শাসন করার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর মতামতকে গুরুত্ব দিতেন রাজনৈতিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির গুরুত্ব ছিল Kg কিন্তু কিম জং উন ওয়ার্কার্স পার্টির ক্ষমতা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেছেন আর এর মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন
তবে সেটা করতে গিয়ে দেশকে I‡bKUv পিছিয়ে দিয়ে উন দাদার সময় অর্থনীতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার ছেয় শক্তিশালী ছিল উত্তর কোরিয়া কিন্তু GLb দক্ষিণ থেকে উত্তর অনেক পিছিয়ে
কোরিয়ার
স্বীকৃতিমূলক
পারমাণবিক
শক্তিধর
কিং জং উন সমান্তরাল উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়ন করছেন তিনি চাইছেন সমান্তরালভাবে পারমাণবিক এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটুক দেশটির সেইসঙ্গে পারমানবিক ক্ষমতা কারনে জাতিসংঘের উত্তর কোরিয়ার স্বীকৃতিমূলক পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে রাজনৈতিক বিধি-নিষেধ
এবং একনায়কতন্ত্রের অভিযোগে বিশ্বের উনের সমালোচনা
থাকলেও উত্তর কোরিয়ার তার
জনপ্রিয়তা কে খাটো করে
দেখার মতো নয় উনের
দাদা জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী নাতি
দেখতে অনেকটা দাদার
মতই হয়েছে এ কারণে
ভক্তরা তাকে এদেশের ত্রাণকর্তা
হিসেবে দেখছেন
এমনকি কিং জং উন নিজ নীতিতে চলতে দেখা যায় দেখে মনে হয় তিনি সবসময় দুশ্চিন্তামুক্ত থাকেন যখন তাকে দেখা যায় তখনই থাকে তার হাসিমুখ সেইসঙ্গে নিদারুন এক ব্যক্তিত্ব ও পরিপাটি তাকে আবেদনময়ী বলে উল্লেখ করেছেন সংবাদমাধ্যমে পরিপাটি রহস্য পুরুষের