পৃথিবীর সবচেয়ে পাপের শহর,ইসরাইলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর তেল আবিব,
ক্লিক হেয়ার |
ইজরায়েলের বিখ্যাত
শহর তেল আবিব প্রতিষ্ঠা হয়েছিল
1909 সালে!
ইহুদির
অধিবাসীরা আবাসন
প্রকল্পের মত করে এই
শহরের গোড়াপত্তন করেন তবে তখন
শহরটি গড়ে উঠেছিল ভূমধ্য
সাগরের প্রাচীন বন্দর নগরী জাপাকে
কেন্দ্র করে, এখনো পর্যন্ত
জাপা এলাকাটি তেল আবিব শহরের সবচেয়ে অতি
প্রাচীন এবং পুরনো অংশ তেল
আবিব একটি জনপদ হিসেবে প্রথম পরিচিতি বা স্বীকৃতি পায়’
1950 সালের
জাপান শহর কেউ তেল
আবিবের ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করে!
1921 সালে তখনও
এটি জাপাও পৌর শহরের অধীনে ছিল পরবর্তীতে 1934 সালে এটি একটি আলাদা শহরে পরিণত হয়’
1947 থেকে 1949 সালের ফিলিস্তিন যুদ্ধের
পর তেলআবিব শহরের মধ্যে বহু
এলাকার নতুন করে অন্তর্ভুক্ত
হয়|
1950 সালের জাপান শহর কেউ তেল আবিবের ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করে এই শহরের নাম রাখা হয় তেলা আবিব বিএফ বর্তমানে এই শহরের আয়তন 52বর্গ কিলোমিটার,
2021 সালের হিসাব অনুযায়ী প্রায় 4 লক্ষ 60 হাজার মানুষ তেলআবিব শহরে বাস করেন, বর্তমানে এটি ইজরায়েলের সবচেয়ে জনবহুল শহর 1948 সালে এই শহর থেকেই ডেভিড বেনগুরিয়ান ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল’
পবিত্র
শহরকে জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী ঘোষণা
করল!
তারা পবিত্র শহর জেরুজালেমকে
তাদের রাজধানী ঘোষণা করলেও তৎকালীন
সময়ে জেরুজালেম শহর জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে
ছিল সেখানে ইহুদীরা তাদের
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তেল আবিব
শহরটি বেছে নেয়, 1967
সাল পর্যন্ত তেলআবিব ইসরাইলের রাজনৈতিক রাজধানী ছিল বর্তমান বিশ্বের
সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর ইসরাইল তেল আবিব”
2021 সালে প্রথমবারের মতো 173 শহরের মধ্যে তেলআবিব ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে শহরগুলোর বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মূল্য বিবেচনা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়, ডলারের বিপরীতে ইজরাইলি মুদ্রা সাইকেলের মূল্যকমে যাওয়ার কারণে তেলআবিবের জীবনযাপনের খরচ অনেক বেড়ে গেছে বিশেষ করে শহরের পরিবহন খরচ এবং মুদি দোকানের খরচ পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে|
তেল আবিবকে বলা হয় মধ্যপ্রাচ্যের মেয়াআমি এখানকার সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে গেলে পার্থক্য করা মুশকিল এটি আসলে তেল আবিব না মেয়াআমি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পার্টি করা শহরগুলোর মধ্যে তেল আবিব প্রথম দিকে থাকবে”
শুরুর
দিকে ধর্মের উপর ভিত্তি
করে এই শহর তেলআবিবের
বেশিরভাগ মানুষই ধর্মনিরপেক্ষ!
শুরুর
দিকে ধর্মের উপর ভিত্তি
করে এই শহর তথা
সমগ্র দেশটি প্রতিষ্ঠিত হলেও
তেলআবিবের জনগণ ধর্মচর্চার প্রতি
খুব বেশি আগ্রহী নয়,
বরং বেশিরভাগ মানুষই ধর্মনিরপেক্ষ 2013 সালে
তেলআবিবের মেয়র সমকামী পর্যটকদের
আকৃষ্ট করতে 85 লক্ষ টাকা বরাদ্দ
দিয়েছিল”
এই শহরের মানুষ আনন্দ-ফুর্তিতে এমনভাবে মেতে থাকে যে তারা যেন এই অঞ্চলের রাজনৈতিক বাস্তবতা ভুলেই গেছেন সন্ধ্যা থেকে তেলআবিবের নৈশক্লাব এবং বারগুলোতে বিরামহীন পার্টি চলতেই থাকে” সে কারণে অনেকেই তেলআবিবকে বলে যে শহর কখনো ঘুমায় না,রাতের উন্মাদ জীবনযাপনের কারণেই তেল আবিবকে ইসরাইলের পাপের শহর বলা হয়|
বর্তমান
তেল আবিব ইসরাইলের প্রদান অর্থনৈতিক কেন্দ্র তেল
আবিব ইসরাইলের ব্যবসা এবং
প্রযুক্তি রাজধানী হিসেবে
পরিচিত, এই শহরটি ইসরাইলের প্রযুক্তি বিপ্লবের সূতিকাগার,
তেল আবিব
শহরে প্রায় 1500 বেশি কোম্পানি রয়েছে!
তেল আবিব বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি পরেই সবচেয়ে বেশি স্টাট আপ কোম্পানি রয়েছে তেলআবিবের”সিলিকন ভ্যালি নামে এখানেও এক প্রযুক্তি শহর গড়ে উঠেছে তেল আবিব শহরে প্রায় 1500 বেশি কোম্পানি রয়েছে এসব কোম্পানির বেশিরভাগই প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠান,
আন্তর্জাতিক
বহু কোম্পানি তেল আবিবে গবেষণা ও উন্নয়ন
অফিস স্থাপন করেছে” মাইক্রোসফট,
অ্যাপেল,গুগোল, ফেইসবুক, অ্যামাজন, আলিবাবা, আইবি,ফিলিপস, সিমেন্টের, অ্যালকাটেল,এইচপি,কোয়ালকম,ইন্ডিয়ান,
মোটওয়লা, ,আইবিএম, মতো অসংখ্য আন্তর্জাতিক
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তেলআবিবে অফিস খুলেছে”
নতুন কোম্পানি গঠনের জন্য বিশেষ
আইনি পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান
করা হয়!
এইসব প্রতিটি কোম্পানিতে তেল আবিবের 43 হাজার মানুষ কাজ করে বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্টার্টআপ তেল আবিবের অফিস খোলার জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়, সম্ভাবনাময় উদ্দি কোম্পানির উদ্যোক্তাদেরকে অস্থায়ী বাসস্থান এবং অফিস দেওয়া হয় নতুন কোম্পানি গঠনের জন্য বিশেষ আইনি পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদান করা হয়|
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ তেল আবিবের নতুন কোম্পানি গড়ে তোলার কারণে শহরের জায়গা জমির দাম 84 শতাংশ বেড়ে গেছে” এই শহরের লোকজন যেমন আমত প্রিয় তারা তেমনি ওদিক কাজ করতে ভালোবাসেন,
ব্লাড ক্যান্সার নিরাময়ের একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়েছে তেল আবিবের বিশ্ববিদ্যালয়!
তেল আবিবের
শিক্ষাব্যবস্থা ও বেশ উন্নত
তেলআবিবের বিশ্ববিদ্যালয়
পৃথিবীর শীর্ষ 100 বিশ্ববিদ্যালয়ের
মধ্যে অন্যতম সম্প্রতি ব্লাড
ক্যান্সার নিরাময়ের একটি পদ্ধতি আবিষ্কার
করা হয়েছে তেল আবিবের বিশ্ববিদ্যালয়|
শএকবিংশ তাব্দীতে
তেলআবিবের গুরুত্বপূর্ণ
সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে
তেলআবিবের হোয়াইট সিটি 2003 সালে ইউনেস্কো
বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি
পেয়েছে, এই হোয়াইট সিটি এলাকার ভেতরে প্রায়
4000 বিল্ডিং আছে 1930 সালের পর
থেকে ইহুদীরা স্থপতিরা এইসব অনুপম ভবনের নকশা করেছিল,
তেলআবিবের
আর্ট
মিউজিয়ামের বহুমূল্যবান শিল্পকর্ম সংরক্ষিত আছে আধুনিক আর্টের
বহুশাখা যেমন জার্মান এক্সপ্রেশনিজম
কিউবিজম ফিউচারিজম রাশিয়ান কন্সট্রাকটিভিজম এবং শারীরিজিএম এর মত বহু
বাড়ানোর শিল্পকর্ম এখানে দেখতে
পাওয়া যায়|
প্রতি
বছর প্রায় 85 লক্ষ মানুষ এসব
সৈকতে গোসল করে!
সেখানে
তেলআবিব শহর সংস্কৃতি দিক থেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ তেল
আবিব শহরে 13 টি প্রধান
সমুদ্র সৈকত রয়েছে প্রতি
বছর প্রায় 85 লক্ষ মানুষ এসব
সৈকতে গোসল করে ন্যাশনাল
জিওগ্রাফিক তেলআবিবকে বিশ্বের নবম সেরা বিট সিটি বা সৈকতের শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে|
তেল আবিব
রেষ্টুরেন্টগুলো সুস্বাদু খাবারের জন্য খুবই বিখ্যাত
এই শহরের জাপানি খাবার
সুসি বেশ জনপ্রিয় তেল
আবিব 100 টিরও বেশি সুসি রেষ্টুরা
আছে নিউইয়র্ক এবং
জাপানের পরে এখানেই সবচেয়ে
বেশি সুসি রেষ্টুরা রয়েছে,
তেলআবিবের
খাবারের সুখেতি এখানেই শেষ নয় ইতালি
সরকার তেল আবিবের ব্রণ্ড নামের একটি
রেস্টুরেন্টে ইতালির বাহিরে সবচেয়ে সেরা
ইতালিয়ান রেষ্টুরান্ট হিসেবে পুরস্কার দিয়েছে
এছাড়া এই শহরের অলিতে
গলিতে প্রচুর জুসের দোকান রয়েছে|
যে শহরে পাপের রাজত্ব বেশি সেই শহরে আল্লাহর অভিশাপ ও বেশি এই বিষয়টা মানুষ হিসেবে সবার মাথায় রাখতে হবে যদি আল্লাহর আজাব থেকে বাঁচতে চাও তাহলে এখনো সময় আছে আল্লাহর আদেশ এগুলো মানার চেষ্টা করেন এবং ধর্মকে প্রাধান্য দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা কর আল্লাহ তুমি হেদায়াত দেও তেলআবিবের নগরীকে