সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে কি কারনে
ক্লিক হেয়ার |
কাজে আসেনা পৃথিবীর শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়!
ছাত্রছাত্রীরা
বিষয়গুলো ভালভাবে শিখতে কিনা তা এখানে মুখ্য বিষয় নয় ইলন মাস্ক বিশ্ববিদ্যালয় হল
সমবয়সীদের একসাথে মিলেমিশে মজা করার জায়গা,অথচ তাদের এই সময়টাতে সরাসরি কোনো কাজে
যুক্ত হওয়ার কথা ছিল সিলিকন ভ্যালির কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী এবং পেপালের সহপ্রতিষ্ঠাতা
পিটার থিল মনে করেন’ সকল ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় বর্জন করা উচিত,
উচ্চশিক্ষা মূলত এক ধরনের ব্রেনওয়াশিং!
কারণ উচ্চশিক্ষা
মূলত এক ধরনের ব্রেনওয়াশিং ইউনিভার্স ড্রপ আউট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা ছেড়ে
দিয়ে যারা নিজের কোম্পানি তৈরি করেছে| তাদেরকে পিটার থিল একটি সেলোশিপ প্রদান করেন
এই সেলোশিপপের উদ্যোক্তাদের 1 লক্ষ ডলার বা 85 লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়”
বর্তমান বিশ্বের
সবচেয়ে মূল্যবান কম্পানি অ্যাপলের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী ছেয়ে কর্মী দক্ষতাকে প্রাধান্য
দেওয়া হয়’ অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক জানান দলের কর্মীদের অর্ধেকেরই চার বছরের
বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী নেই’
এমনকি অ্যাপলের
প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছিলেন মাত্র এক সেমিস্টারের স্টিভ
এর মতো আরো বহু সফল উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা বাদ দিয়ে ছিলেন’
মাইক্রোসফট বিলগেটস,ফেসবুকের
উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেড়ে কোম্পানি তৈরি করেন!
বলতে গেলে তারাই
আজকের বিশ্বব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা ছেড়ে নিজের কোম্পানি তৈরিতে মনোযোগ দিয়েছিলেন,ফেসবুকের
উদ্যোক্তা মার্ক জাকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা বাদ দিয়ে ছিলেন’
যারা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে নিজের কোম্পানি গড়ে তুলেছেন ইলন মাস্ক তাদের তারিপ করেছেন
এমনকি তিনি নিজেও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি করতে গিয়ে মাত্র দুই দিন
পরে ছেড়ে দেন” তার চেয়েও মজার আশ্চর্য বিষয়
হলো ইলন মাস্ক বলেছেন আমার সাথে কাজ করার জন্য প্রথম শর্ত হলো বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী
থাকতে হবে এমন নয়,
তার পরিচালিত
কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্পেস এক্সপ্লোরিং কোম্পানির মতো বেশ কয়েকটি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ
পৃথিবীর শীর্ষ কোম্পানি রয়েছে’
গুগোল একটি অনলাইন
স্কুল খোলছে এই কোর্স গুলো বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী বিকল্প হিসেবে কাজ করবে!
করণা মহামারীর
মধ্যে এর মধ্যে গুগোল একটি নিজস্ব অনলাইন স্কুল খোলার ঘোষণা দিয়েছে গুগলের এই স্কুলের
ডাটা এনালাইসিস, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন কোর্স শেখানো
হবে এই কোর্স গুলো বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী বিকল্প হিসেবে কাজ করবে|
গুগলে চাকরির
ক্ষেত্রে মাত্র ছয় মাসের এইসব অনলাইন কোর্স চার বছরের বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি সমান
মর্যাদা হিসেবে বিবেচনা করা হবে’ গুগলের ছয় মাসের অনলাইন কোর্স করতে একজন শিক্ষার্থীর
খরচ হবে মাত্র 234 ডলার বাংলাদেশি টাকায় 20 হাজার টাকা মাত্র’
অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের
বই খাতা সহ শিক্ষা উপকরণ কিনতে এর চেয়ে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়ে যায়, গুগলের কোর্স
ধারীরা প্রতি মাসে সাড়ে চার লাখ টাকা এবং বছরে প্রায় 55 লাখ টাকা বেতনের চাকরির সুযোগ
পাবে”বর্তমান চাকরির জন্য যে গানটা দরকার এখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে
না’খুব কম বিষয়ে পড়ানো হয়,
আমেরিকার শিক্ষাব্যবস্থা
অনেক উন্নত বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়!
আমরা মনে করি
আমেরিকার শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত তাই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট হয়তো অনেক
এগিয়ে থাকে|কিন্তু বিষয়টি মোটেও সেরকম নয় ডিজিটাল টেকনোলজি সমস্যা সমাধানে আমেরিকান
অবস্থান 18 নম্বরে.
এক্ষেত্রে সবচেয়ে
ফিনল্যান্ড সুইডেন এবং সিঙ্গাপুর গাণিতিক সমস্যা সমাধানে আমেরিকার অবস্থান 27তম এই
ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশগুলো হলো জাপান ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন
একাধিক ভাষা দক্ষতা যেমন মানুষকে চাকরির বাজারে যেমন এগিয়ে রাখে ঠিক তেমনিভাবে কোডিং এর দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি কে শীর্ষক অভিযাত্রিক কোম্পানিগুলো চাকরির ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়’ কারণ কোডিংয়ের জ্ঞানী মানুষের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ায়,
অ্যাপলের
টিম কুক মনে করেন
হাইস্কুলের শেষ
করার আগে শিক্ষার্থীর
কোডিং শেখা উচিত!
অ্যাপলের
প্রধান নির্বাহী টিম কুক মনে
করেন হাইস্কুলের লেখাপড়া শেষ করার আগে
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কোডিং শেখা উচিত,
শিশু শিক্ষা থেকে শুরু
করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সবাইকে সঠিক কোডিং
শেখানোর জন্য 2016
সালে অ্যাপলের একটি
প্রোগ্রাম চালু করেছিল,
বর্তমান
বিশ্বকে হাতের মুঠোয় নিয়ে
আসা প্রযুক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠানগুলোর যাত্রা
শুরু হয়েছিল কোন না কোন
কোডিং জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে’
বর্তমানে কোডিং এমন
সব চাকরি পাওয়া সম্ভব, যার বিশ্ববিদ্যালয়
ডিগ্রী দিয়ে কম কখনো
অর্জন করা সম্ভব নয়’
বিশ্ববিদ্যালয়
ডিগ্রী বেশিরভাগ দেশেই অনেকটা ব্যয়বহুল
আমেরিকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে প্রায় 32 লক্ষ
টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশের
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে কমপক্ষে 5 থেকে
15 লক্ষ টাকা খরচ হয়
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একজন
ছাত্রের পতি বছরে এক থেকে দেড় লাখ
টাকা সরকারি ভর্তুকি দেওয়া
হয়|
বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার খরচ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় 19 গুন বেশি!
সে কারণে বাংলাদেশের বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখার খরচ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের
তুলনায় 19 গুন বেশি’ এছাড়াও
তথাকথিত প্রধান সালের বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখার খরচ আকাশচুম্বী’ এই
বিপুল অর্থ যোগান দিতে বাংলাদেশি অভিভাবকদের নাবিশ্বাস উঠে যায়|
অন্যদিকে
আমেরিকানরা প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ
এডুকেশন লোন বা
শিক্ষা ঋণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে, এবং পরবর্তীতে
এসব ঋণ পরিশোধ করতে গেজুয়েট দের
হিমশিম খেতে হয়’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী বিপক্ষের নানান অভিমত থাকলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ভর্তি হওয়ার বা যাওয়ার অনেক কারণ অবশিষ্ট আছে বলে মনে করছেন|
বহু বিষয়ে গবেষণার জন্য
এখনো
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রধান
কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে
বিশ্বব্যাপী আলোচনা তৈরি হয়েছে
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা বাদ দেয়ার জন্য
নয়’ বরং বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রিতে
যুগোপযোগী শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার
জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী মান অপ্রাসঙ্গিক হবার পেছনে বিশেষ কারণে রয়েছে বিশ্বের শীর্ষ
নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় কে দায়ী করা
হচ্ছে এর দায় কখনও এড়াতে পারবে
না বিশ্ববিদ্যালয়|
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছে ঠিকই!
সেখানে
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান যাচ্ছেতাই বাংলাদেশের
পাই প্রতিটি জেলায় ঢাকা শহরের
পাড়া-মহল্লায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয়
চালু হয়েছে ঠিকই কিন্তু
এগুলোতে শিক্ষার মান এতটাই ক্ষুদ্র
শিক্ষার মান একেবারে তলানীতে রয়েছে’
বাংলাদেশের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশ্বের
শ্রেষ্ঠ ৫00 বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরেও
নেই এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে
বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চ
শিক্ষা সম্পন্ন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোদ
মঞ্জুরি কমিশনের মান নিয়ে
শঙ্কা প্রকাশ করেছে|
বাংলাদেশের
অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েশন শেষ সরকারি চাকরি
পাব বিসিএস এর জন্য
প্রস্তুতি গ্রহণ করে মজার ব্যাপার হলো’
বিসিএস এর জন্য ও
বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা কোন কাজে আসে
না বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী গ্র্যাজুয়েটদেরকে চাকরি ও দিতে পারছে না’
আবার উদ্ভাবক বা উদ্যোক্তা ও তৈরি করতে পারছে না সবকিছু মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রী এক ধরনের আলংকারিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে যার ফলে বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি মূল্যহীন হয়ে যাচ্ছে
{-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}