সুদ মুক্ত ব্যাংক দুবাই ইসলামী ব্যাংকের যাত্রা শুরু 1975 সালে
ইসলামী ব্যাংক
এর যাত্রা শুরু হয়েছিল 1975 সালে দুবাই ইসলামী ব্যাংক সর্বপ্রথম শরিয়াভিত্তিক আধুনিক
ব্যাংকিং সেবা প্রদান করেন, বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী ব্যাংকিং চালু হয়েছিল হাজার 1983
সালে বর্তমানে বাংলাদেশের 10 টি ইসলামী ব্যাংক আছে অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে
ইসলামী ব্যাংকের মূল পার্থক্য হল সুদ, ইসলামী ব্যাংকের সুদ লেনদেন জঘন্য অপরাধ এবং
সুদের কারবার হারাম|
ইসলামী ব্যাংক গুলোর দিকে ঝুঁকছে!
প্রতিটি ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব শরিয়া বোড থাকে |
কিন্তু তাকে ঘুরিয়ে
পেচিয়ে মুনাফা হিসেবে উপস্থাপন করা হয় ইসলামী ব্যাংকের মুনাকি আসলের সুদ ইসলামী ব্যাংক
পুরোপুরি শরিয়া অনুযায়ী চলছে কিনা’ তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য প্রতিটি ইসলামী ব্যাংকের
নিজস্ব শরিয়া বোড থাকে’
দুইটির মূল নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত!
শরিয়া আলোকে
ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসলামী ব্যাংকিং মূলত দুইটির মূল নীতির
উপর প্রতিষ্ঠিত’ লাভ ও লোকসান এর ভাগ নেওয়া এবং সুনির্দিষ্ট হারের বৃদ্ধিতে লেনদেন না করা’
ইসলামী ব্যাংক
মূলত টাকার ব্যবসা করে না তাদের কার্যক্রম হল সম্পদ ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করা আর্থিক
প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুদী ব্যাংকের সাথে ইসলামী ব্যাংকের লেনদেনের ধরনের কোনো কোনো ক্ষেত্রে
মিল থাকতে পারে,
সুদী ব্যাংকে
যেমন মানুষ হিসেবে
একজন মুসলিম ও একজন অমুসলিমের বাহ্যিক মিল থাকে কিন্তু তাদের বিশ্বাস ও কাজে কর্মে
পার্থক্য দেখা যায়’ উদাহরন দিয়ে বলতে গেলে সুদী ব্যাংকে গাড়ি কেনার জন্য ঋণ চাইলে
ব্যাংক আপনাকে 100 টাকা ঋণ দেবে’
তার সাথে সুদ
যোগ হবে 10 টাকা তার মানে আপনি ব্যাংকের 110 টাকা ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন কিন্তু ইসলামী
ব্যাংকে গাড়ি কেনার কথা বললে ব্যাংক আপনাকে বলবে আমরা টাকার ভেতরে আপনাকে গাড়ি কিনে
দেবো’
গাড়িটি 100 টাকায়
কিনে!
ব্যাংক গাড়িটি
100 টাকায় কিনে আপনার কাছে 110 টাকা বিক্রি করবে এখানে 10 টাকা ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা
পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করা শরিয়াসম্মত,
কিন্তু সাধারন
মানুষ অনেক সময় এই বিষয়টিকে ঘুরিয়ে সুদ খাওয়া বলে মনে করে প্রক্রিয়াগত মৌলিক পার্থক্য
হলো ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকদের সরাসরি টাকা দেয় না’
বরং পণ্য কিনে
দেয় আবার ঋণ শোধ করতে না পারলে ইসলামী ব্যাংক গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত চার্জ গ্রহণ
করেনা
কিন্তু প্রচলিত
সুদী ব্যাংক যেকোনো মূল্যে গ্রাহকের কাছ থেকে সুদ আদায় করে থাকে ইসলামী ব্যাংক গুলো
সুদী ব্যাংকের মত নির্ধারিত মুনাফার হার বিচার করে গ্রাহকের সাথে লেনদেন করে’
মোহরানা
100000 টাকা ধার্য করে!
কিন্তু এক্ষেত্রে
দুই ধরনের ব্যাংক এর পার্থক্য আছে আর তা হলো তাদের ব্যবসা পরিচালনার মনোভাব সহজ করে
বলতে গেলে কোন ব্যক্তি আপর এক ব্যক্তিকে যদি বলে’ আমি আপনার মেয়ের সাথে বিবাহ ছাড়াই
বসবাস করতে চাই বিনিময় আপনাকে আমি এক লাখ টাকা দিব,
তখন সেই লোক এবং
তার মেয়ে যদি এই প্রস্তাবে রাজি হয় তাহলে এই কাজটি হবে অপরাধ কিন্তু লোকটি যদি অন্যভাবে
বলে আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই আমি বিয়ের মোহরানা 100000 টাকা ধার্য করছি,
তখন সেই ব্যক্তি এবং তার মেয়ে যদি এই প্রস্তাব গ্রহণ করন তাহলে বিষয়টি শরিয়া অনুযায়ী
বিয়ে বলে গণ্য হবে|
দুটি ঘটনার মধ্যে
একটিতে বিয়ের মোহরানা শব্দদুটি ছিল না অপরদিকে ছিল ইসলামী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সুদী
ভিত্তিক প্রচলিত ব্যাংক এর পার্থক্যটা ঠিক একই রকম বাইরে থেকে উভয় ব্যাংকের কাজটা
একি মনে হলেও তাদের ব্যবসায়িক মনোভাব আলাদা’
ব্যাংকের মধ্যে
ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার!
প্রচলিত সুদী
ব্যাংকে টাকা জমা রাখা ও ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহক ব্যাংকের মধ্যে ঋণদাতা ও ঋণগ্রহীতার
সম্পর্ক হয় এবং তাদের চুক্তিটি মূলত সুদ দেওয়া-নেওয়ার চুক্তি অন্যদিকে ইসলামী ব্যাংকিং
গ্রাহকের এর সাথে ক্রেতা ও বিক্রেতার সম্পর্ক’
বা ব্যবসায়িক
সম্পর্ক স্থাপন করে এবং লাভ-লোকসানের ভাগনেয় সেজন্য ইসলামী ব্যাংকের অর্জিত মুনাফা
সুদনয়|
ডিপিএস বা মাসিক
সঞ্চয় প্রকল্প!
সুস্থ মস্তিষ্ক
সম্পন্ন যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিক নিজ নামে মাসিক সঞ্চয় প্রকল্প হিসেবটি
খুলতে পারবেন নাবালোক বা নাবালিকার নামে ও তার পিতা অথবা মাতার অথবা বৈধ অভিভাবক গান
এই হিসেবটি খুলতে পারবেন’
অর্থাৎ নাবালোকের
নামে ও এই হিসেবটি খোলা যাবে যার 18 বছর বয়স হয়নি তার নামে এই হিসেবটি খুলতে পারবেন
প্রত্যেক আমানত কারিকে প্রতি মাসের পহেলা তারিখ হতে শেষ তারিখের মধ্যে মাসিক কিস্তির
অর্থ জমা করতে হবে,
অর্থাৎ আপনাকে
প্রতি মাসের 1 তারিখ থেকে 30 তারিখ পর্যন্ত ডিপিএস এর কিস্তি জমা করতে পারবেন অর্থাৎ
এক মাস সময় এক মাসের মধ্যে যে কোনোদিন এই ডিপিএস এর অর্থ জমা করতে পারবেন
মাসের শেষ তারিখ
যদি সরকারি ছুটির দিন হয়ে থাকে তাহলে তার পূর্ববর্তী কার্য দিবসে কিস্তি অর্থ জমা
করতে হবে’ অর্থাৎ যে মাসের কিস্তি সে মাসের মধ্যেই জমা করতে হবে,
ব্যাংক থেকে লভ্যাংশ
দেওয়া হবে!
গ্রাহক ইচ্ছা
করলে অগ্রিম কিস্তি জমা দিতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে অগ্রিম কিস্তি জন্য ব্যাংক
থেকে লভ্যাংশ দেওয়া হবে, এটা অন্যান্য অনেক ব্যাংকে দেয়া হয়না ইসলামী ব্যাংকের এই
সুবিধাটা দেয়া হয়ে থাকে,
অগ্রিম কিস্তির
জন্য ইন্টারেস্ট দেয়া হয়ে থাকে অন্য কোন ব্যাংকে সেটা দেয়া হয় না এই ডিপিএস এর
মেয়াদ তিন বছর 5 বছর 10 বছর মেয়াদপূর্তির পূর্বে যদি আপনি এই টিপসটি ভেঙে ফেলতে চান’
সে ক্ষেত্রে আপনাকে
যেভাবে লভ্যাংশ দেয়া হবে সেগুলো হলো এক বছরের যদি কম হয় তাহলে কোন ধরনের মুনাফা দেওয়া
হবে না’ অর্থাৎ আপনি ডিপিএস করার পর এক বছর পূর্বে যদি আপনি জিপিএস বন্ধ করে দিতে চান
তাহলে আপনাকে কোন ধরনের মুনাফা দেয়া হবে না’
আপনি এডিসিএসটা
ভেঙে ফেলতে চান!
এক বছরের এর উপরে
হলে আপনাকে মুনাফা দেয়া হবে এক বছরের বেশি কিন্তু তিন বছরের কম হলে সঞ্চয়ী হিসাবের
হারে আপনাকে লাভ মুনাফা দেয়া হবে’ এক বছর পূর্ণ হয়েছে ধরুন আপনি তিন বছর মেয়াদী
ডিসিএসটা করেছেন, এক বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পরে আপনি এডিসিএসটা ভেঙে ফেলতে চান,
সে ক্ষেত্রে আপনাকে
সঞ্চয়ী হিসাবের লাভের হার দেয়া হবে সঞ্চয়ী হিসাব হল সেভিং একাউন্টে টাকা জমা রাখার
পর প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর যেভাবে লভ্যাংশ দেয়া হয়ে থাকে’ সেভাবে লভ্যাংশ দেয়া
হবে তবে সেটা খুবই কম পরিমাণে দেয়া হয়ে থাকে’
5 বছর মেয়াদী
ডিসিএসটা করেছেন!
তিন বছরের বেশি
কিন্তু পরবর্তী মেয়াদ পূর্তি হয়নি সে ক্ষেত্রে তিন বছর মেয়াদী ডিপিএস এর হারে লভ্যাংশ
দেয়া হবে, ধরুন আপনি 5 বছর মেয়াদী ডিসিএসটা করেছেন তিন বছর পূর্ণ হওয়ার পরে আপনি
ডিপিএস ভেঙ্গে ফেলবেন,
সেক্ষেত্রে তিন
বছরের যে ডিসিএসটা রয়েছে সে হারে আপনাকে লভ্যাংশ দেওয়া হবে 5 বছরের হারে আপনাকে লভ্যাংশ
দেওয়া হবে না কারণ আপনি তিন বছর পরে ভেঙে ফেলছে,আর যদি চার বছর পরে আপনি ভেঙে ফেলতে
চান তাহলে তিন বছরে পূর্ণ প্যাকেজ হিসেবে আপনাকে লভ্যাংশ দেওয়া হবে আর এক বছরের জন্য
সেভিং 4a আপনি লভ্যাংশ দেওয়া হবে