বিশ্বব্যাপী বুলেট ট্রেন ঘণ্টায় পায় 600 কিলোমিটার হাই স্পিড

বিশ্বব্যাপী বুলেট ট্রেন ঘণ্টায় পায় 600 কিলোমিটার হাই স্পিড

ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া ২০২১,
পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম ট্রেনের নাম কি,
Railway Bullet Train,
বুলেট ট্রেন বাংলাদেশ,
বুলেট ট্রেন ভিডিও,
Bangladesh Bullet Trian,
জাপানের বুলেট ট্রেন,
ভারতের বুলেট ট্রেন,
Bullet Train,
Bullet Train Bangladesh,
বুলেট ট্রেনের গতিবেগ কত,
ঢাকা চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন প্রকল্প,
bullet train in bangladesh,
ঢাকা চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন,
bullet train speed,
bullet train japan,
bullet train india,
bullet train japan speed,
bullet train movie,
bullet train video,
train,
metro train,
ঢাকা চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন প্রকল্প

রেলগাড়ি প্রথম আবিষ্কার হয়েছে 1804 সালে প্রথম ট্রেনের গতি ছিল ঘণ্টায় মাত্র 10 কিলোমিটার তার 200 বছর পরে উচ্চ গতির ট্রেন প্রথম ট্রেন এর চেয়ে 30 গুণ দ্রুত চলতে পারে’ একসময় ঘণ্টায় 200 কিলোমিটার বেগে চলতে থাকা ট্রেনকে হাই স্পিড ট্রেন হিসেবে বিবেচনা করা হতো| এই গতিসীমা সর্বপ্রথম অতিক্রম করেছে জাপান যা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বব্যাপী’ জাপানের এসব হাই স্পিড ট্রেন কে বলা হত বুলেট ট্রেন,

বর্তমানে ইউরোপ এবং এশিয়ার অনেক দেশে ঘন্টায় 250 কিলোমিটার গতিবেগে রেলগাড়ি সেবা দিয়ে যাচ্ছে  অবশ্য বর্তমানে বিশ্ব ও যেন তার সীমানা অতিক্রম করেছে’ এখন পর্যন্ত রেলগাড়ি সর্বোচ্চ গতিসীমা রেকর্ড করা হয়েছে ঘণ্টায় পায় 600 কিলোমিটার’ দূর ভবিষ্যতে এই গতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা কেউ বলতে পারে না|

তৎকালীন রেলগাড়ির জন্মস্থান 1964 সালে জাপান!

জাপানের বুলেট ট্রেন

উচ্চ গতিসম্পন্ন রেলগাড়ির জন্মস্থান 1964 সালে জাপান সর্বপ্রথম রেলগাড়ি সাধারন গতি সীমা অতিক্রম করেছে, তৎকালীন সময়ে জাপানের এই রেল সেবার নামে পরিচিত ছিল যা পরবর্তীতে ইংরেজিতে বুলেট ট্রেন নামে প্রতিষ্ঠিত হয়|

জাপান তাদের রেলযোগাযোগের উন্নয়নের ধারা এখন পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছে বর্তমানে সেখানে রেল গাড়ি চলাচলের জন্য 9টি লাইন রয়েছে, জাপানের প্রধান 22টি নগরকে এক সুতোয় আবদ্ধ রেখেছে এই বুলেট ট্রেন বা সিংকশ্চেন রেল  যোগাযোগের সবচেয়ে ব্যস্ততম দেশটিতে প্রতিদিন প্রায় 4 লক্ষ মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্র রেলগাড়ি ব্যবহার করে, কেননা সেখানে তাদের প্রতিনিয়ত সময় এর সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়|

সময় বাঁচাতে রেলগাড়ি তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এখানে রেলগাড়ি ঘণ্টায় 300 কিলোমিটার গতিতে ভ্রমণ করতে পারে জাপানের যাত্রীরা তাদের শুধু ক্ষতি নেই আছেন নিয়ন্ত্রণ,বিগত 50 বছরে জাপানের ট্রেন দুর্ঘটনার কোনো রেকর্ড নেই’ রেল যোগাযোগের আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে ইউরোপে জাপানের উচ্চ গতির ট্রেনের ধারণা পরবর্তীতে ইউরোপের খুব ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে’তবে তারা শুরু করেছিল জাপানের অনেক পরে|

1981 সালে ফ্রান্স সর্বপ্রথম রেল যোগাযোগ  চালু করেন!

1981 সালে ফ্রান্স সর্বপ্রথম উচ্চগতিসম্পন্ন রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করেন তখন এই সেবা প্যারিস থেকে লিওন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল, বর্তমানে এই লাইন এর দৈর্ঘ্য 2800 কিলোমিটারেরও বেশি জার্মানির 1991 সালে হাই স্পিড ট্রেনের যাত্রা শুরু করেছে, এবং বর্তমানে এটি পুরো জার্মানিতে এক সুতায় গেঁথে রেখেছে তবে ফ্রান্স-জার্মানি চেয়ে 10 বছর এগিয়ে থাকার কারণে তার প্রভাব পড়েছে পুরো ইউরোপ জুড়ে|

জার্মানি ছাড়া অন্য সকল ইউরোপীয় দেশের উচ্চ গতিসম্পন্ন রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা ফ্রান্সের আদলে গড়ে উঠেছে জাপান রেল যোগাযোগের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেও তা পরবর্তীতে জল ছড়িয়েছে ইউরোপে’ কেননা ইউরোপের রেলপথ শুধুমাত্র জাতীয় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং এটি আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বিস্তৃত হয়েছে|

ফ্রান্স এর যৌথ উদ্যোগে গড়ে উঠেছে  আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্ক!

ইতালি এবং ফ্রান্স এর যৌথ উদ্যোগে আরো কিছু দেশ কে সাথে নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগের নেটওয়ার্ক’ অন্যান্য দেশগুলো হলো সুইজারল্যান্ড অস্ট্রিয়া এবং স্লোভেনিয়া আল্পস পর্বতমালা দিয়ে একটি দীর্ঘ সুড়ঙ্গ তৈরির মাধ্যমে এই রেল লাইনের কাজে লেগে যাচ্ছে,

2007 সালে ইউরোপিয়ান রেলওয় কর্পোরেশনের সহযোগিতায় একটি কমিটি গঠিত হয় যার প্রধান উদ্দেশ্য পুরো ইউরোপ  উচ্চ গতিসম্পন্ন রেল যোগাযোগের আয়তো ভুক্ত করা, 2015 সালের এক হিসেব অনুযায়ী এই প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে প্রায় 2 লক্ষ 42 হাজার 826 কোটি টাকার এত বিপুল পরিমাণ অর্থ নিশ্চিত করা ইউরোপের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ|

1990 সালের চীন উচ্চ গতিসম্পন্ন রেল সেবা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল তবে চীনে সর্বপ্রথম উচ্চগতির রেলগাড়ি সেবা চালু হয়েছে 2008 সালে, এখনো পর্যন্ত উচ্চ গতির রেল যোগাযোগে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে চীন high-speed রেল লাইন এর দৈর্ঘ্য প্রায় 27 হাজার কিলোমিটার আরো 10 হাজার কিলোমিটারের বেশি রেলপথ নির্মাণাধীন রয়েছে|

চীনের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে স্পেনের রয়েছে!

চীনের পরে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্পেনের রয়েছে মাত্র 3 হাজার 220 কিলোমিটার দীর্ঘ high-speed রেল পথ’ এই  থেকে সহজেই বুঝা যায় চীন এত অল্প সময়ে কোথায় চলে গেছে তাদের প্রথম high-speed রেল সেবা  বেইজিং থেকে তিয়ানজিন পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল’ পরবর্তীতে তারা 45 হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ তৈরির উদ্যোগ নেই 2025 সালের মধ্যে চীনে 38 হাজার কিলোমিটার হাইস্পিড রেল লাইনের কাজ শেষ হতে যাচ্ছে|

মাত্র এক যুগের ব্যবধানে তাদের এই অগ্রগতি সারা বিশ্বের সকল দেশকে পেছনে ফেলে দিয়েছে তাদের এই উদ্যোগে মোট অর্থ বরাদ্দ ছিল প্রায় 25 লাখ 74 হাজার 134 কোটি টাকা’ চীন রেল সেবা  বিনিয়োগ করেই ক্ষান্ত থাকেনি 2015 সালের সমীক্ষা অনুযায়ী উচ্চ গতির রেল থেকে দেশটির বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ 8.500 80 কোটি টাকারও বেশি, বিশাল  আয়তনের দেশটি  নিছ ভূখণ্ডের সর্বোচ্চ যোগাযোগের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে|

আমেরিকার বুলেট ট্রেনের পেছনে টাকা খরচ করতে আজ ও সাহস করেনি!

বর্তমানে চীন ইউরোপসহ আমেরিকাকে সবদিক থেকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে অন্যদিকে আমেরিকার এত বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠী না থাকার কারণে বুলেট ট্রেনের পেছনে তারা বেশি টাকা খরচ করতে আজ ও সাহস করেনি’ কেননা পর্যাপ্ত যাত্রী পরিবহন করতে না পারলে এই খাত অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবেনা, বিভিন্ন দেশের হাই স্পিড ট্রেন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পরিচালিত হয় প্রতিটি দেশই তাদের মত কিছু নিজস্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছে এইসব গতি দানব এর উদ্ভাবন নিয়ন্ত্রণ এবং রক্ষণাবেক্ষণে|

যেসব বুলেট ট্রেন মানবজাতির ভ্রমণে অভূতপূর্ব পরিবর্তন নিয়ে এসেছে বা ভবিষ্যতে নিয়ে আসবে এমন কিছু ভুলের ট্রেন সম্পর্কে আলোচনা করা যাক’ এল সিরিজ ম্যাচ লাইভ, সেন্ট্রাল জাপান রেল কোম্পানির উদ্যোগে এ রেলগাড়ি উদ্ভাবিত হয়েছে’রেলগাড়িটি আশ্চর্যজনকভাবে ঘণ্টায় 600 কিলোমিটার গতিপথ অতিক্রম করবে এটি 2027 সালে জাপানের মাটিতে  চলতে শুরু করবে|

TVCPOS  জাপানের রেলপথের উন্নয়নের ধারা!

এই রেলগাড়িটি চুম্বক শক্তি ব্যবহার করে তার গতি বৃদ্ধি করবেন চুম্বক শক্তির  এই ব্যবহারিক দিক বিজ্ঞানের যাত্রায় এক বিস্ময়কর ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে’ TVCPOS  জাপানের রেলপথের উন্নয়নের ধারা ফ্রান্সেও প্রভাব রেখেছে টিভি জিপিএস  রেলগাড়ি ইউরোপের যোগাযোগের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা|

CRH380A Hexie এই রেলগাড়িটি উদ্ভাবন করেছে চীন!

এই হাই স্পীড ট্রেন 175 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগে ছুটতে পারে বিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে এই ট্রেন তার গতি বৃদ্ধি করে’CRH380A Hexie এই রেলগাড়িটি উদ্ভাবন করেছে চীন গাড়িটি তার প্রথম পরীক্ষায় ঘণ্টায় 487 কিলোমিটার  গতি তুলেছিল, অবশ্য এই গতি ও চীনের গবেষকরা অতিক্রম করে ফেলতে পারে তাদের গবেষণা অগ্রগতির ধারা থেকে তা সহজেই অনুমান করা যায়|

রেলগাড়ি চুম্বক শক্তি!

Shanghai Maglev জাপানের এল ওসিরিজ  এর মত এই রেলগাড়ি চুম্বক শক্তি দ্বারা তাড়িত এই ট্রেন ঘন্টায় 432   কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে’ তবে জাপানের রেল গাড়িটি এখনো প্রস্তাবনার পর্যায় রয়েছে অথচ এই ট্রেন ইতোমধ্যে  চীনের যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে|

HEMU430X মডেলের এই রেলগাড়ি!

HEMU430X জাপান চীন ইউরোপের চেয়ে পিছিয়ে নেই দক্ষিণ কোরিয়া HEMU430X মডেলের এই রেলগাড়িটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে দ্রুতগতিতে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা’ যদিও প্রথমে দেশটির কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল তবে পরবর্তীতে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠেছে, এবং বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে উচ্চগতিসম্পন্ন রেল সেবা কার্যক্রমের নিজেদের যুক্ত করতে পেরেছে|

{-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন