" লজ্জা পেয়েছি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের"

 " লজ্জা পেয়েছি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের"



"অনলাইন ডেস্ক   ২ নভেম্বর, ২০২১ ১৬:৪২ | খুব সহজে পড়া যাবে 3 মিনিটেপ্রিন্ট"

'সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের লজ্জা পেয়েছি'মণ্ডপে হামলায় নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা টানা ১২ বছর ধরে এ দেশের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। যাতে হিন্দুদের ওপর কোনো নির্যাতন না হয় এবং এর মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কোনো অনুষ্ঠানে হামলা ও দুর্ঘটনা হয়নি।

কিন্তু এখন একটি দল নির্বাচন সামনে রেখে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করেছে । এবং দেশের মানুষকে অস্থির করে রাখতে চাচ্ছে, আওয়ামী লীগের প্রতি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যে আস্থা তা নষ্ট করার জন্য ও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। এবং একটি দল উঠে পড়ে লাগছে

আজ মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয় 'সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সহিংসতায় এবং হিন্দু ভাইদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের' মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে থেকে মানবিক উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।এবং সেতুমন্ত্রীর মন্তব্য পেশ করলেন

ওবায়দুল কাদের বলেন, কুমিল্লা ঘটনার পর সারা দেশের নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকলে অন্যান্য জায়গায় এসব ঘটনা ঘটত না।  আর যদি নেতাকর্মীরা আর একটু কঠোর  হতো তাহলে দুর্ঘটনা এতদূর গড়াতো না  আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আরো সতর্ক থাকলে সাম্প্রদায়িকতার ঘটনা ঘটানোর সাহস পেত না।

 

বাংলাদেশের মানুষ 71 সালের পর থেকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে বসবাস করতেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে ভ্রাতৃত্বক বজায় রেখে

কাদের বলেন,যখন যুদ্ধ হলো তখন  কি হিন্দু ভাইরা যুদ্ধ করে নাই যখন ভোটের প্রয়োজন হয় ভোটের সময় আসে তখন কি হিন্দু ভাইরা ভোট দেয় নাই" এবং তাদেরকে কিছু আশার বাণী শোনাতে পারি না আমরা  এ প্রশ্ন আপনাদের প্রত্যেকের বিবেকের কাছে আমি রেখে গেলাম।

সবকিছুতে প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকতে  হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের এত বড় সংগঠন, এত কর্মীবাহিনী। কুমিল্লার ঘটনার পরদিন চৌমুহনীর ঘটনা ঘটেছে। যদি কঠোরভাবে সতর্কতা আপনারা অবলম্বন করতেন? এ রকম তাণ্ডব চৌমুহনীতে তারা করে গেল।সবাই কোথায়  ছিলেন

কী জবাব দেব আজকে হিন্দু সম্প্রদায়কে।এটা ভেবে  আমার ঘুম আসেনা তিনি আরো বলেন, এতগুলো মণ্ডপ চৌমুহনীতে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিল, আপনারা কি নীরব দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন? আপনার কথায় ছিলেন আপনাকি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আকাশের তারা গুনতে ছিলেন, একটা প্রতিরোধও তো হলো না। এটা নোয়াখালীর সন্তান হিসেবে আমাকে দুঃখ দিয়েছে। আমি নিজে লজ্জা পেয়েছি। 

সংখ্যালঘু ভাইদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আপনাদের সঙ্গে আছে, আওয়ামী লীগ আপনাদের সঙ্গে আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে, ভয় পাবেন না। সাম্প্রদায়িক হামলায় যেসব পূজামণ্ডপ ভাঙা হয়েছে,সে মন্দিরগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে আপনাদেরকে উপহার দেওয়া হবে সেগুলো আবার নতুন করে সরকারি সহয়তায় নির্মাণ করা হবে। শেখ হাসিনা সবসময় কাজে বিশ্বাসী কথা নয় সে প্রমাণ করে দেবে।

সাম্প্রদায়িকতার ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু  চিহ্নিত হয়েছে, তাদেরকে চিনে রাখতে হবে।এবং তাদেরকে সর্বোচ্চ বিচারের আওতায় আনতে হবে, নির্বাচন সামনে রেখে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত করছে বিএনপি। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিএনপি সবসময় চাইবেই সরকারকে বিপাকে পালার জন্য ।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। এ সময় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, আমেনা নূর ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। আরো অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন