পৃথিবীর 15 লাখ মানুষ শয়তানকে উপাসনা করে আমেরিকা 16 টি শাখা

পৃথিবীর 15 লাখ মানুষ শয়তানকে উপাসনা করে  আমেরিকা 16 টি শাখা

iblis shaitan er mrittu,
iblis soitan,
ইবলিশ শয়তান,
ইবলিশ শয়তান বই,
শয়তানবাদী ধর্মের মহাগুরু,, 
শয়তান,
শয়তান থেকে বাঁচার দোয়া,
শয়তান অর্থ কি,
শয়তান কিসের তৈরি,
শয়তানের বেহেশত,
শয়তানকে পাথর মারার ইতিহাস,
ডাইনি,
ইবলিশ,
bismillah ka jor,
trap of shaitan,
BISMILLAH KI BARKAT,
bismillah barqat,
bismillah ki taqat,
bismillah,
Shaitan,
শয়তানকে উপাসনা,
প্রাচীনকাল থেকে কিছু লোক শয়তানকে দেবতা রূপে উপাসনা করে আসছে

সমগ্র সৃষ্টিজগতের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রহলো শয়তান বহু ধর্মের শয়তানকে মানব জাতির শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হয়’ তারপরও অতি প্রাচীনকাল থেকে কিছু লোক শয়তানকে দেবতা রূপে উপাসনা করে আসছে`

প্রাচীনকালের গোপনে শয়তানের উপাসনা করা হলেও বর্তমানে প্রকাশ্যে শয়তান বাদের চর্চা করা হচ্ছে, আধুনিককালে শয়তানের উপাসনা  প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে,

শয়তানের উপাসনা এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে  স্যাটানিক ধর্ম অনুপ্রাণিত লোকের সংখ্যা সারা পৃথিবীতে 15 লাখ এবং বেশিরভাগ উপ-সহনাকারী রাশিয়া আমেরিকা ও মেক্সিকোতে বসবাস করে|

ইবলিশ হল দুষ্ট জিন যে মহান আল্লাহর হুকুম অমান্য করে!

স্যাটানিক ধর্ম

শয়তানের উপাসকদের সম্পর্কে আলোচনা করার আগে শয়তানের পরিচয় জানা প্রয়োজন আরবি ভাষায় শয়তান অর্থ বিপথগামী, হিব্রু ভাষায় সত্যন, এবং ল্যাটিন ভাষায় শাতান, অর্থ শত্রু দুশমন অনেকের মতো শয়তান শব্দটি গ্রিক ভাষা দিয়া বল শব্দ থেকে এসেছে’

যার অর্থ অপবাদ দানকারী ব্যক্তি বা অভিশপ্ত আব্রাহামিক রিলিজিয়ান শয়তান সাধারণত ইবলিশ কে বুঝায়, ইহুদি ধর্ম খ্রিস্টান ধর্ম এবং ইসলাম ধর্মকে একত্রে বোঝাতে আব্রাহামিক রিলিজিয়ান বলা হয় কারণ এই ধর্মগুলোর হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের বংশধরদের মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল’

বর্তমান বিশ্বের প্রধান তিনটি ধর্মের ইবলিশের অস্তিত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হয়েছে ইবলিশ হল দুষ্ট জিন যে মহান আল্লাহর হুকুম অমান্য করে অভিশপ্ত হয়েছিল’ আব্রাহামিক ধর্ম ইবলিশ শয়তানকে বিপথগামী দানব হিসেবে প্রকাশ করা হয়যে মানুষকে সবসময় খারাপ কাজ করতে অনুপ্রেরণা যোগায়|

কুরআনের 100 শয়তানের কথা উল্লেখ আছে!

পবিত্র কুরআনের 100 শয়তানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে শয়তান প্রসঙ্গে কুরআনে একবার কবার 1বার খান্নাস 11 বার ইবলিশ 88 বার শয়তান নামের উল্লেখ রয়েছে,

শয়তানের উপাসনা সম্পর্কে আল কুরআনে বলা হয়েছে আদম সন্তান আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে শয়তানের ইবাদত করো না সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু’

পবিত্র কুরআন এবং বাইবেলে শয়তানের প্রতি ভক্তি প্রদর্শন বা শয়তানের প্রশংসা করা কে শয়তানের উপাসনা বোঝানো হয়েছে’ ইসলাম ধর্মের শয়তানকে মানুষের প্রধান শত্রু হিসেবে গণ্য করা হয় পবিত্র কুরআনের শয়তানের শত্রুতা সম্পর্কে বলা হয়েছে,

পবিত্র কোরআনে শয়তানের সম্পর্কে বলা হয়েছে শয়তান তোমাদের শত্রু অতএব তাকে শত্রু রূপেই গ্রহণ করো’ সে তার অনুসারীদের আহ্বান করেন যেন তারা জাহান্নামী হয়,

প্রথম শয়তানবাদী ধর্মের মহাগুরু হলো অ্যালিস্টার কাওয়ালী!

শয়তানের উপাসনা উদ্ভব হয়েছিল পেজ চর্চার ডাইনি আর অপদেবতার আচার-অনুষ্ঠান থেকে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় ও শয়তানের উপাসনা করা হতো’

অধিকাংশ সময়ই বিপথগামী লোকজন গোপনে শয়তানের আরাধনা করত সে সব শয়তানের উপাসনা সংঘবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে তাদের ধর্ম মত প্রকাশ করতে সক্ষম হয়নি|

আধুনিককালে প্রচলিত শয়তানবাদী ধর্মের মহাগুরু হলো অ্যালিস্টার কাওয়ালী ছেলেবেলা থেকেই কাওয়ালী খ্রিস্টান ধর্ম কে ঘৃণা করতো সে দাবি করে 1904 সালের মিশর ভ্রমণের সময় আই ওয়াস নামের এক অপদেবতা তার সাথে সাক্ষাৎ করে”

এরপর থেকে অ্যালিস্টার কাওয়ালী নিজেকে শয়তান বাদের নবী মনে করে অনেকের ধারণা কাওয়ালী শয়তানকে প্রতীকিভাবে দেখেছিল’ আই ওয়াস নামের সে অপদেবতার কাছ থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনা|

অ্যালিস্টার কাওয়ালী একটি বই রচনা করে!

এবং অ্যালিস্টার কাওয়ালী একটি বই রচনা করে বইটির নাম দ্য বুক অফ দা লও এই বইয়ের মূলমন্ত্র হলো যা ইচ্ছে তাই করো এই হল পূর্ণাঙ্গ বিধান এই মতবাদের উপর ভিত্তি করে অ্যালিস্টার কাওয়ালী থেলেমা নামের নতুন এক ধর্মবিশ্বাস প্রচলন করে”

শয়তানবাদীরা মনে করে ধর্ম মানুষকে তার নিজস্ব মনোবৃত্তি পালনে বাধা দিচ্ছে থেলেমা ধর্মমতে অবাধ বিকৃত যৌনাচার মাদকের ব্যবহার এবং স্বেচ্ছাচারিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ এসবের মাধ্যমে নিজের প্রবৃত্তির দাসত্ব করতে হয়’

অ্যালিস্টার কাওয়ালী লেখা বই প্রচলিত স্যাটানিজম বা শয়তানবাদের প্রধানতম ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত এবং অ্যালিস্টার কাওয়ালী আধুনিক স্যাটানিজমের গডফাদার আধুনিক পপ কালচারে ও অ্যালিস্টার কাওয়ালী অনেক প্রভাব রয়েছে|

1900 ষাটের দশকে শয়তানের উপাসনা  প্রচারিত হতে থাকে!

শয়তানের উপাসকদের মধ্যে সবচেয়ে বড় কিংবদন্তী হল ইন্টার সেন্ডর লেবি তার হাত ধরেই 1900 ষাটের দশকে শয়তানের উপাসনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারিত হতে থাকে’

এন্টন  লেবি 1966 সালের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সানফ্রান্সিসকো শহরে শয়তানের গির্জা প্রতিষ্ঠা করেন|

এন্টন  লেবি শয়তানের উপাসনার  উপর বই লিখেছে!

তাকে শয়তানের উপাসকদের পপ হিসেবে তুলনা করা হয় সার্চ অফ স্যাটানি মূলত আনুষ্ঠানিক স্যাটানিজম বা শয়তান বাদের প্রবর্তক the Satanic Bible Anton Szandor Lavcy নামে তাদের একটি ধর্মগ্রন্থ রয়েছে’

বলাই বাহুল্য শয়তানের বাইবেলের রচয়িতা এন্টন লেবি এবং  এন্টন  লেবি  শয়তানের উপাসনার  উপর আরো বেশ কিছু বই লিখেছে.

বইগুলো হল the Satanic Rituals, the Gompleat Wich, the David notbook, SATAN SPEAKS শয়তানবাদের  এই মহাগুরু শুধু বই লিখে ক্ষান্ত হয়নি’ শয়তানের নামে তার তিনটি সংগীত অ্যালবাম   আছে অ্যালবাম গুলো হল  The Satanic Mass,Satan Tans A haliday, stand music|

2001 সালে গিটারেজ গিলমোর এই পদে আসীন হয়!

2997 সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এন্টন  লেবি শয়তানের গির্জা মহাজাজোক ছিল”মৃত্যুর পর সার্চ অফ স্যাটানের মহাজাজোক পদটি 4 বছর খালি ছিল 2001 সালে গিটারেজ গিলমোর এই পদে আসীন হয়, এরপর শয়তানের গির্জার সদরদপ্তর সানফ্রান্সিসকো থেকে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের hell's কিচেন স্থানান্তর করা হয়,

আধুনিক শয়তানবাদীরা  নানা ভাগে বিভক্ত তাদের মধ্যে প্রথম দুটি ধারা হলো আস্তিক নাস্তিক আস্তিক শয়তান বাদীরা অহংকার এবং ব্যক্তিবাদের ভিত্তিতে শয়তানকে ইতিবাচক শক্তি বলে মনে করে’ অন্যদিকে নাস্তিক শয়তান বাদীরা শতাংশ মানুষের সকল খারাপ বৈশিষ্ট্যের পথিক মনে করেন,

শয়তানের গির্জা থেকে ধারণা লাভ করে 2013 সালে শয়তানের মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় লুসিয়ান গ্রিমস এবং ম্যালকম জেরি শয়তানের মন্দির গড়ে তুলেছেন ম্যালকম জেরি সাধারণত জনসম্মুখে আসেনা|

শয়তানের মন্দির আমেরিকা 16 টি কানাডা 3টি যুক্তরাজ্যের 1টি শাখা রয়েছে!

লুসিয়ান গ্রিভস শয়তানের মন্দিরের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের সালেম শহরে স্যাটানিক টেম্পল এর সদর দপ্তর অবস্থিত’ বর্তমানে এই মন্দির গড়ে তুলেছেন আমেরিকা 16 টি কানাডা 3টি এবং যুক্তরাজ্যের 1টি শাখা রয়েছে,

বাকস্বাধীনতা এবং নাইনের বলে স্যাটানিক টেম্পল আমেরিকান সরকারের কাছে থেকে ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে’ শয়তানের উপাসকদের মধ্যে বর্তমানে এরাই সবচেয়ে বেশি সক্রিয় 2020 সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আরেকটি স্বতন্ত্র শয়তানের গির্জা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে পূর্বে আলোচিত গোষ্ঠীগুলোর সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই’

শয়তানের উপাসনা কে কেন্দ্র করে প্রাচীনকাল থেকে বহু গোপন সংগঠন পরিচালিত হয়েছে শয়তানকে তুষ্ট করার মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করায় তাদের উদ্দেশ্য|

নারীদের এই কারণে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল!

যে সব নারীরা এসব যাদুবিদ্যার চর্চা করত তাদের বলা হত ডাইনি আফ্রিকান ভাষায় এদের বলে কিংঢুকি ডাইনি বিদ্যা এবং মূল ধারার বাইরের যে কোনো গুপ্ত বিদ্যা চর্চা অনুশীলন ও গবেষণা নিষিদ্ধ ছিল’

এবং সে গুলোকে তদন্তের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল প্রাচীন নাইজেরিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলো যে গুলো ফ্রান্সের এবং ব্রিটেনের দেশগুলো অধীনে ছিল সেখানে প্রচুর নারীকে এই কারণে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল’

কালো জাদুর 2টি আলাদা স্থান,ম্যাজিক এর উপস্থিতি কোন পর্যন্ত হলে ডাক ব্লাক হিসেবে বিবেচিত হবে তার আলোচনা করেছেন উইলিয়াম পার্ক পোস্ত মুছে,সকল গণনাকারী জাদুকর সাধারণভাবে যাদের কাজ মানুষের অনিষ্ট করা নিজেদের খারাপ শক্তির উৎস সন্ধান করা তাদেরকে ব্ল্যাক জাদুকর বলা হয়’শয়তানকে দেবতারূপে গ্রহণ করে

{-আসসালামু আলাইকুম আপনাদের অনেক ধন্যবাদ আপনারা অনুগ্রহ করে আমার ওয়েবসাইটে এসে ভিজিট করার জন্য l আমি অনুগ্রহ করে আপনাদের কাছ থেকে লাইক কমেন্ট শেয়ার আশা করি -}

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন