আফগানিস্তানে খাবারের অভাবে নিজের শিশু সন্তানকে বিক্রি করে বাবা-মা
Click Hair |
বিভিন্ন দেশের শিশুরা যখন বই হাতে স্কুলে যাচ্ছে তখন বিক্রি হচ্ছে আফগান শিশু
পাত্র পক্ষ থেকে পাচ্ছে কিছু নগদ ডলার বাড়িতে খাওয়ার মত কিছুই নেই বলতে গেলে কয়েকদিন ধরে না খেয়ে আছি তাই বাধ্য হয়ে কন্যাকে বিক্রি করে দিচ্ছি একজনের থেকে 1000 ডলার নিয়েছি এই টাকা ফেরত না দিতে পারলে তারা আমার মেয়েকে নিয়ে যাবে|
জানি না এই টাকা শেষ হয়ে গেলে কি করব হয়তো মৃত্যু ছাড়া কোনো পথ থাকবে না শিশু কন্যা প্রাপ্তবয়স্ক হলে পাত্রের সাথে বিয়ে হবে এমন শর্তে ছেলের পরিবার থেকে অর্থ নেন মেয়ের পরিবার এই সময় পর্যন্ত বাবা-মায়ের কাছে থাকবে কন্যা শিশু" খাবার এবং ওষুধ কেনার জন্য আমার এই মেয়েকে বিক্রি করে দিয়েছি তার স্বামী অন্য শহরের থেকে আমারআর একটি কন্যা রয়েছে তাকে ও বিক্রি করতে চাই কারণ 'পরিবারের অন্যদের বাঁচাতে আমার কাছে আর কোন পথ খোলা নেই শুধু মেয়ে শিশুর নয়| অনেক পরিবার খাবারের জন্য অর্থ যোগাতে না পেরে ছেলে শিশুকে ও বিক্রি করে দিচ্ছে|পরিবারের জন্য যাদের কোনো ছেলে সন্তান নেই তারাই কিনে নিয়েছেন,
আফগানিস্তান ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকেই বাড়ছে অর্থনৈতিক সংকট
এমন খবর সত্যি কষ্টদায়ক মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে আফগানিস্তানের অনুদান পাঠানোর এটাই সঠিক সময় মূলত গেল আগস্ট তালেবান আফগানিস্তান ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকেই বাড়ছে অর্থনৈতিক সংকট এছাড়া|
বিদেশি সহায়তা বন্ধ এবং সম্পদ জব্দ থাকায় সেই সংকট এখন চরমে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী আফগানিস্থানে অপুষ্টিতে ভুগছে পাঁচ বছরের নিচে কমপক্ষে 32 লাখ শিশু,
মুসলিম এর দায় এড়াতে পারে না
সারাবিশ্বে মুসলিম এর দায় এড়াতে পারে না এর জন্য আল্লাহর কাছে জবাব দিতে হবে বিশ্বায়নের এই যুগে এমন দুর্ভিক্ষ মেনে নেওয়া যায় না|মুসলমানের এই মহা বিপদে সারাবিশ্বে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের এবং হৃদয়বান ব্যক্তিদের" এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি|
আফগানিস্তানের মানুষদেরকে মানবিক সহায়তা করুন|ধৈর্য আর চেষ্টা মানুষকে সফলতার উচ্চ স্থানে বসিয়ে দেয়| আফগানিস্তান একদিন ঘুরে দাঁড়াবে ইনশা-আল্লাহ্ আফগানিস্তানে ইসলাম ফিরে
এসেছে ইসলামের আসল সৌন্দর্য, দাস দাসী প্রথাকে আবার ফিরিয়ে আনতে ইসলামের বিকল্প নেই, নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সময় ফিরে যেতে হলে ইসলাম ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নাই আমাদের নিজ দেশে খাবার ভরণপোষণের অভাব মেয়েরা নিজে সন্তানকে বিক্রি করে দিচ্ছে । সেই খবরটি রাখেন গত দুইদিন আগে একটি টিভি চ্যানেলের নিউজ করা হয়েছে।
ঢাকা শহরে থাকা বস্তির মানুষসহ ছিন্নমূল মানুষেরা নিজেদের সন্তানদের বিক্রি করে দিচ্ছে । সরকার নাকি দেশটাকে উন্নতির দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। যে দেশে এখনো মানুষ খাবারের অভাবে সন্তান বিক্রি করে দিতে হয় সে দেশের সরকার কিভাবে বুক ফুলিয়ে কথা বল দেশ কিভাবে বলে দেশ উন্নত হয়েছে
অপুষ্টির শিকার শিশুদের আফগানিস্তান জুড়ে এমন দুরবস্থা
খাদ্য সংকট ও চলমান অস্থিতিশীলতার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে আফগানিস্তানের শিশুদের উপর ইউনিটের জানিয়েছে পুষ্টিহীনতার কারণে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের অর্ধেকের রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে এরই মধ্যে নানান রোগে|
আক্রান্ত হয়েছে অনেক আফগান শিশু তবে জরুরি ব্যবস্থা না নিলে আরো খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি এমন দৃশ্য যেন অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে কাবুলের শিশু হাসপাতালের বেডে বেডে দেখা মেলে অপুষ্টির শিকার শিশুদের |
আফগানিস্তান জুড়ে এমন দুরবস্থা শিশুস্বাস্থ্যের পর্যাপ্ত খাবারের অভাব অপুষ্টিজনিত নানা রোগে ভুগছে শিশুরা নেই সুচিকিৎসা ব্যবস্থা ও হাসপাতালে ভর্তি হলে ও ঔষধ আর সরঞ্জামের স্বল্পতা মিলছে না যথাযথ ব্যবস্থা এইখানে|
প্রতিদিনএত শিশু আসছে যে জায়গা দেয়া যাচ্ছে না সবাইকে আলাদা বেডে রেখে চিকিৎসা দেয়ার মত সক্ষমতা আমাদের নেই সরঞ্জামাদির স্বল্পতাতো আমাদের রয়েছে?
এক টুকরো রুটির জোগাড় ও নেই
আগের সরকার বা এখনকার তালেবান-সরকার কাউকে নিয়ে আমাদের সমস্যা নেই কিন্তু এক টুকরো রুটির জোগাড় ও নেই আমাদের কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ এই বেকার কিন্তু আফগানিস্তানের এমন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন?
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ সংস্থাটি বলছে দেশটির পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের অর্ধেকই রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে চলমান খাদ্য সংকট তীব্র পুষ্টিহীনতার শিকার হবে তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি ত্রাণ সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি উপ-নির্বাহী পরিচালক অমরআবতদি|
বিভিন্ন শহরে তালেবানদের রোষানলে পড়েছেন আফগান নারীরা
ভয়াবহ মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে আফগানিস্তান লাখ লাখ মানুষ এখানে খাবারের অভাবে বুকসে খাদ্য ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতির স্বল্পতায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি গোটা সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে,
এখনি জরুরী সহায়তা পেলে পরিণতি ভয়াবহ হবে আফগানিস্তানে তালেবান দখলের পর থেকে বন্ধ বিদেশি সহায়তার সরবরাহ নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশটিতে কাজ করছেনা আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুলো এর পাশাপাশি,চলমান খরার কারণে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছেছে দেশটিতে আফগানিস্থানে তালেবান ও অগ্রযাত্রার সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন আর অনিশ্চয়তা দেশটির নারীরা আশঙ্কা ফিরে আসতে পারেন দুর্যোগ আগে তালেবানের আমলের কড়া কড়ি,
মার্কিন সমর্থন পুষ্ট সরকারের 25 বছরের শাসনামলের শিক্ষা কাজের সুযোগসহ অধিকার আফগানিস্তানের নারীরা অর্জন করেছে তা আবারও খর্ব হওয়ার ভয়ে তাদের মাঝে এর মধ্যে বিভিন্ন শহরে তালেবানদের রোষানলে.পড়েছেন আফগান নারীরা
শিক্ষা বা কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল নারীরা
1996 থেকে 2001 তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের শিক্ষা বা কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল নারীরা মুখ ঢাকা ছিল বাধ্যতামূলক স্বাধীনতা ছিল না ঘরের বাইরে যাতায়াতের ভোগ করতে হতো দোররা পাথর ছুড়ে মারার"মতো ভয়ঙ্কর শাস্তি,
2001 সালে তালেবান পতনের পর আসে পরিবর্তন শিক্ষা আর কাজের সুযোগ পায় নারীরা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পান তারা আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর চলে যেতে শুরু করেলে একের পর এক. এলাকা যখন তালেবানদের দখলে যাচ্ছে আফগান,
নারীদের সামনে তখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সংখ্যা তাড়া করছে 25 বছর আগের স্মৃতি আবার সবকিছু হারানোর পথে আমরা তালেবান ক্ষমতায় এলে আমরা কেউই টিকতে পারবো না জানি আমাদের হত্যা করা হবে.
তালেবান নেতারা এসে মাকে মারধর করল
ছোটবেলায় যখন একবার আজক্রিম কিনে দিতে দোকানে গিয়েছিল মাত্রকয়েক মিনিটের জন্য মুখ খুলেছিলো খোলো তখন তালেবান নেতারা এসে মাকে মারধর করল ওই মুহূর্তে শিশু হিসেবে কতটা যে আঘাত লাগছিল
তালেবান"ক্ষমতায় এলে সেই সব দিন ফেরত আসবে তালেবান নেতারা দাবি করেছেন ক্ষমতা এলেও খর্ব হবে.না নারীর অধিকার তবে বিভিন্ন এলাকার দখল নেওয়ার পর তাদের হাতে আফগান নারীদের নিগৃহীত হওয়ার বহু অভিযোগ শোনা যাচ্ছে,
কান্দাহার হেরাথ সহ বিভিন্ন শহরে ব্যাংক কর্মকর্তা নারীদের কার্যালয় থেকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয় রাস্তাঘাটে ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে তারা তালেবান শাসন আমলে পুরুষ সহযোগিতা ছাড়া কেউ বাজারে যেতে পারত না"
কিন্তু যাদের বাড়িতে পুরুষ নয় তারা কি কিভাবে জীবন ধারণ করবে অনেকেই যুদ্ধে স্বামীকে হারিয়েছে তারা কিভাবে চলবে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা জানায় চলমান অস্থিরতায় পাই 3মাসের বসবাসরত আফগানিস্তানের আড়াই লাখ মানুষ যাদের 80 শতাংশই নারী ও শিশু